reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ৩০ মার্চ, ২০২০

সবার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতায় কাঁপছে পুরো বিশ্ব। তা থেকে মুক্ত নয় বাংলাদেশও। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিকিৎসকরাও এতে আতঙ্কগ্রস্ত। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে মানুষের মধ্যে ঠা-া, জ্বর-সর্দি ও কাশির সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে, ফলে হাসপাতালে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, নানা অজুহাতে অনেক চিকিৎসক এসব রোগীর চিকিৎসাসেবা দিতে অনীহা প্রকাশ করছেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা এই ক্রান্তিকালে চিকিৎকদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় আশা করছি। কারণ এরই মধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিভিন্ন হাসপাতালে সাধারণ রোগীরা চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, জ্বর বা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত অনেক রোগী বিনা চিকিৎসায় আরো মুমূর্ষু হয়ে পড়ছেন।

সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল এমনকি প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার-চিকিৎসকরাও করোনার উপসর্গ মনে করে এসব রোগী থেকে দূরে থাকছেন চিকিৎসকরা। চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে জ্বর ও সর্দি-কাশির রোগী দেখার জন্য পৃথক একটি কক্ষ চালু হয়েছে। কিন্তু জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কক্ষে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া দেশের অন্যান্য বিভিগীয় শহর থেকেও এমন অভিযোগ গণমাধ্যমে ওঠে আসছে। তবে আশার কথা, পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের কয়েকটি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ নতুনভাবে টেলিমেডিসিন ও অনলাইন চিকিৎসাসেবা চালু করেছে। তবে এ আয়োজন প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এছাড়া অনেক রোগী ও তাদের স্বজন এ ধরনের চিকিৎসাসেবা সম্পর্কে অবহিত নন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনলাইন চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ সেবা নিশ্চিতে পাঁচটি মোবাইল নম্বর ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা থাকছে। এটা সত্য যে, করোনা সংকট মোকাবিলায় সারা বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। তবে করোনাভাইরাসের আতঙ্কে স্বাভাবিক ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়া বা সাধারণ রোগীদের চিকিৎসায় অবহেলা ঠিক নয়। আমরা মনে করি, সেফটি ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সাধারণ রোগীদের সেবায় এগিয়ে আসার ও আন্তরিক আচরণ করার বিকল্প নেই। পাশাপাশি সরকারকেই অবশ্যই ডাক্তার-নার্সদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চিকিৎসকদের যত ঝুঁকিই থাক না কেন, রোগী ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। যুদ্ধের মধ্যেও চিকিৎসকদের জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালন করতে হয়। সেই ব্রত নিয়েই এ পেশায় আসতে হয় চিকিৎসকদের। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের মনোবল শক্ত রাখার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকেও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি। চিকিৎসকরা মানুষের জীবন বাঁচান, তাই তাদের জীবন বাঁচাতে সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে। চিকিৎসকদের ভয় কাটাতে না পারলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মুশকিল হবে। দেশে এখন করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে সম্মুখ সারিতে দাঁড়িয়েছেন চিকিৎসকরা। সেই বিবেচনায় তাদের সুরক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close