অগ্রগতির এই অভিযাত্রা অব্যাহত থাকুক
অগ্রগতির অভিযাত্রায় বাংলাদেশ। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিশ্বে আজ উন্নয়নের রোল মডেল। একজন সৎ, দক্ষ, দেশপ্রেম-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রনায়কের পক্ষেই এ অর্জন সম্ভব। আর সেই মহান রাষ্ট্রনায়ক হলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনা। যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ইউরোপ, আমেরিকার মতো উন্নত রাষ্ট্রগুলোর কাছাকাছি পর্যায়ে নিজের অবস্থানকে জানান দিচ্ছে। এটি কোনো রূপকথা নয়, বরং আজকের বাংলাদেশই তার বাস্তব উদাহরণ। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ ইন্টারন্যাশনালের (আরআই) এক জরিপেও উঠে এসেছে এমন তথ্য। বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পরিচালনায় দেশের ৮৫ ভাগ মানুষ সন্তুষ্ট। জরিপে মতামত প্রদানকারীদের মধ্যে ৮০ ভাগ উত্তরদাতা জানান, বর্তমান মেয়াদের প্রথম এক বছর আগের তুলনায় অনেক ভালো আছে; যা নিঃসন্দেহে দেশের জন্য এটি একটি শুভ সংবাদ।
রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের প্রথম এক বছরের কার্যক্রম’ সম্পর্কে পরিচালিত জনমত জরিপে রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ৮৫ শতাংশ উত্তরদাতা। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মাত্র ৩ শতাংশ। ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে দেশবাসীকে তার ওপর আস্থা রাখতে বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮৬ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, তারা প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রাখেন। মাত্র ৩ শতাংশ আস্থাহীনতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া ১১ শতাংশ কোনো মতামত দেননি। জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতা বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করতে চাননি। ২৫ শতাংশ উত্তরদাতা বিএনপির কার্যক্রম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মাত্র ৬ শতাংশ উত্তরদাতা বিএনপির কার্যক্রম সন্তোষজনক দাবি করেছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির ব্যাপারে উত্তরদাতাদের মধ্যে আগ্রহ কম পরিলক্ষিত হয়েছে বলে জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ উত্তরদাতা দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। দেশের সব বিভাগকে প্রাধান্য দিয়ে ২০ হাজার নারী-পুরুষের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ১১ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত এ জরিপ চালানো হয়েছে। এতে ৫ হাজার ৪২৯ জন অংশ নেন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ২৬৬ জন অর্থাৎ ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী তাদের মতামত দেন। যেকোনো গণতান্ত্রিক সমাজে মানুষ নিজেদের মতামত প্রকাশের অধিকার রাখে। অন্যদেরও উচিত সেই মতামতকে সম্মান দেখানো। আমরা বিগত দিনে দেখেছি, শুধু বিরোধিতার কারণে রাষ্ট্রের অনেক অর্জনকে কেউ কেউ অস্বীকার করেছেন। এতে তাদের হীনম্মন্যতা বোধের প্রকাশ ঘটেছে। আরআইয়ের জরিপে যে তথ্য উঠে এসেছে, নিঃসন্দেহে এটি বাস্তবতারই প্রতিফলন।
বাংলাদেশে দরিদ্রের সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগ আর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকায় দারিদ্র্যবিমোচন ঘটছে দ্রুত। বিশ্বের সামনে দারিদ্র্য হ্রাসে বাংলাদেশ যে এক অনুকরণীয় অবস্থানে পৌঁছেছে, অনেক আগেই তার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন জাতিসংঘকেও বিস্মিত করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে দেশের অগ্রগতির এই অভিযাত্র্রা অব্যাহত থাকবে।
"