রায়হান আহমেদ তপাদার

  ১৮ জানুয়ারি, ২০২০

পর্যবেক্ষণ

অবিসংবাদিত এক কণ্ঠস্বর

সাধারণ অর্থে কূটনীতি হচ্ছে কোনো রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিচালিত সরকারি কার্যক্রম। বর্তমান যুগে কূটনীতিতে বাস্তবিক অর্থে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাজকর্মকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রত্যেক কূটনীতিককেই তার রাজনৈতিক সম্পর্কের দিকটির সঙ্গে একই গুরুত্ব দিয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টিও ধারণ করতে হবে। রাজনৈতিক সম্পর্ক যেমন অর্থনৈতিক সম্পর্ককে দৃঢ় করতে পারে; তেমনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক একটি শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে। কূটনীতি প্রয়োগের মাধ্যমে সংঘাতময় উত্তপ্ত পরিস্থিতিকেও শান্ত করে তোলা যায়। কূটনীতি হলো সেই বিষয় যা কোনো ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর ওই ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পূর্ববর্তী কারণ এবং পরবর্তী সময়ে ওই ঘটনার রেশ ধরে ভবিষ্যতে কী ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে, তার অনুমাননির্ভর কার্যকারণ নীতি যথাযথভাবে অনুধাবন করতে পারা। সেই কারণে একজন রাজনীতিককে যথেষ্ট পরিমাণ কূটনৈতিক ধীরশক্তির অধিকারী হতে হয়। ১৯৭২ থেকে ৭৫। এই সাড়ে তিন বছর, স্বাধীন বাংলার স্বীকৃতি আদায় ও দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে বিদেশি সহায়তা লাভে, প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যে যেতে হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে। তৃতীয় বিশ্বের অবিসংবাদিত এক কণ্ঠস্বর ছিলেন তিনি। বিদেশনীতি প্রশ্নে জাতির জনক বলতেন, ভারত, মার্কিন বা চীনপন্থি নন; তিনি কেবলই জনগণের। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, পাকিস্তানের কারাগার থেকে দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে পররাষ্ট্রনীতির নতুন দিকনির্দেশনা দেন। ঘোষণা দেন বাংলাদেশ হবে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রথম মুখপাত্র হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপস্থিতি একটি স্মরণীয় অধ্যায়। সর্বোচ্চ বিশ্ব ফোরামে তিনিই প্রথম উচ্চারণ করেন, বাংলাদেশের নাম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তখন অভিনন্দন আর আমন্ত্রণ। প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্য গোটা বিশ্বে বঙ্গবন্ধু অর্জন করলেন, বিশ্বনেতার সম্মান। প্রতিবেশী ভারত সফরে দেশটির সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদি মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষর করেন। অর্থনৈতিক ও মানবসম্পদ উন্নয়নে নয়াদিল্লির সহায়তা চান জাতির জনক। সোভিয়েত ইউনিয়ন স্বাধীনতা সংগ্রামে জুগিয়েছে অকুণ্ঠ সমর্থন। বঙ্গবন্ধু সোভিয়েত নেতা বেজনেভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে সাহায্য-সহায়তার জন্য সোভিয়েত জনগণকে ধন্যবাদ জানান। বঙ্গবন্ধু যোগ দেন কমনওয়েলথে। সেখানে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে শান্তি-সৌহার্দ্য নিয়ে মতবিনিময় করেন। সৌদি বাদশাহ ফয়সালের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন জাতির জনক। রিয়াদের পক্ষ থেকে সদ্য স্বাধীন দেশটির জন্য সম্ভাব্য সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়। আলজেরিয়ায় জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দেন, মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্যতম লড়াইয়ে বাংলাদেশের কণ্ঠ সব সময়ই সোচ্চার থাকবে। তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর আত্মনির্ভরতা এবং অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সেই জোটকে কার্যকর করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এ ছাড়া জোটনিরপেক্ষ নেতা যুগোসøাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটোর সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত, বঙ্গবন্ধুকে মানবতার অন্যতম পথিকৃত হিসেবে অভিহিত করেন। কিউবা বিপ্লবের জনক, ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন বঙ্গবন্ধু।

ফিদেল বলেছিলেন, আমি হিমালয়কে দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাবে সায় দেন ফিদেল। লিবীয় নেতা মুয়াম্মার আল গাদ্দাফিও সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখান। তৎকালীন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল আসাদের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট আদম মালিকের সঙ্গেও বঙ্গবন্ধুর আন্তরিক আলোচনা হয়। ১৯৭৩ সালের ১৭ অক্টোবর প্রথম জাপান সফরে যান বঙ্গবন্ধু। টোকিওতে প্রথম সফরেই যমুনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণে জাপানের সহায়তা চান জাতির জনক। ঢাকার সাবেক মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্চার ব্লাড। বঙ্গবন্ধুর অনুরক্ত এই মানুষটির বই দ্য ক্রুয়েল বার্থ অব বাংলাদেশ বইতে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে লেখেন, ৭০-এর অক্টোবরে, ব্ল্যাডকে বঙ্গবন্ধু তার বিদেশনীতি প্রশ্নে বলেছিলেন, আমি ভারতপন্থি নই, আমেরিকাপন্থি বা চীনপন্থি নই; আমি আমার জনগণপন্থি। সাম্য-মৈত্রী, গণতন্ত্র রক্ষায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জীবদ্দশাতেই বিশ্বশান্তি পরিষদের পক্ষ থেকে তিনি পান জুলিওকুরি পদক। যা উৎস্বর্গ করেন তৃতীয় বিশ্বের অসহায় মানুষদের। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক শিক্ষা হয় অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দীর কাছে। চোখের সামনে কূটনৈতিক দাবাখেলার মাধ্যমে দেশভাগ দেখেছেন। কাজেই তার কূটনৈতিক দর্শন অত্যন্ত তীক্ষè ও প্রখর হয়ে উঠেছিল প্রথম থেকেই। তিনি ক্ষমতায় এসেই শুধু আলোচনার মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করাতে সক্ষম হয়েছিলেন। আর এটা ছিল তার রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে প্রথম কূটনৈতিক সাফল্য। এবং ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বঙ্গবন্ধু ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি বণ্টনের ফর্মুলা নির্ধারণে জোরদার উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং গঙ্গার পানির ৪৪ হাজার কিউসেক ভাগ পাওয়ার সম্মতি তিনি আদায় করেন বাংলাদেশের পক্ষে। পানিবণ্টনের এ উদ্যোগের ফলে ১৯৬৮-৬৯ সালের ১১ হাজার শক্তিচালিত পাম্পের স্থলে ১৯৭৪-৭৫ সালে পাম্পের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৬ হাজার। এতে সেচের আওতাধীন জমির পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৬ লাখ একরে উন্নীত হয়। গঙ্গা নদীর প্রবাহ থেকে অধিক পানি প্রাপ্তি, সেচ ব্যবস্থার প্রসার, ভর্তুকি দিয়ে অধিক হারে উন্নত বীজ, সার ও কীটনাশকের ব্যবহার, অতিরিক্ত খাসজমি প্রাপ্তি ২৫ বিঘা জমির ওপর দেয় কর মাফ এবং মূল্য সমর্থনমূলক সচেতন ও কৃষকবান্ধব নীতির ফলে কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রগতির যে ধারা সূচিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর সময়ে, তার ফলস্বরূপ আজও এ দেশের কৃষি ক্ষেত্রে শক্তিশালী ধারা বজায় রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সরকারের সফল কূটনৈতিক পদচারণা ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারিশমায় স্বাধীনতার মাত্র এক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আইএমএফ, আইএলও, আন্তঃসংসদীয় ইউনিয়ন, ইউনেসকো, কলম্বো প্ল্যান ও গ্যাটের সদস্যপদ লাভ করতে সক্ষম হয়। একই বছরের ৮ আগস্ট বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে আবেদন পাঠায়। দুদিন পর বঙ্গবন্ধু নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্যকে বাংলাদেশকে সমর্থনের জন্য অনুরোধ করে বিশেষ পত্র লেখেন। ২৩ আগস্ট যুক্তরাজ্য, ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুগোসøাভিয়া এক মিলিত প্রস্তাবে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তির জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে জোরালো সুপারিশ করে।

এমনকি ওই প্রস্তাবে চীনের ভেটো প্রদান সত্ত্বেও ৩০ নভেম্বর ১৯৭২ সাধারণ পরিষদ প্রস্তাবটি সুপারিশ করে। ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম স্বাধীন দেশ হিসেবে সদস্যপদ পেয়ে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করে। বঙ্গবন্ধু সব সময়ই শোষিতদের পক্ষে কথা বলতেন। তাকে তুলনা করা হতো হিমালয়ের সঙ্গে। তিনি আফ্রিকায় বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন; অবসান চেয়েছেন এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকায় বিদেশি শাসনের। বঙ্গবন্ধু যেমন ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন; তেমনি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সাইপ্রাস সরকারকে উৎখাতের নিন্দাও করেছেন। ভিয়েতনামে আমেরিকার বোমাবাজি বন্ধের দাবিও জানায় বাংলাদেশ তার আমলেই। তিনি নিজে যেমন বাংলাদেশের উন্নয়নের মিশন নিয়ে ভ্রমণ করেছেন বিভিন্ন দেশ; তেমনি বাংলাদেশেও এসেছেন বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট, সরকারপ্রধানরা। ১৯৭৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের মহাসচিব ড. কুর্ট ওয়ার্ল্ডহেইম গণভবনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যুগোসøাভিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসেন ২৫ মার্চ। বঙ্গবন্ধু ২৬-৩১ জুলাই প্রেসিডেন্ট জোসিপ ব্রোজ টিটোর আমন্ত্রণে যুগোসøাভিয়া সফর করেন। সফরকালে প্রেসিডেন্ট টিটো ন্যাম ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ব্যাপারে পূর্ণ সমর্থন জানান। বঙ্গবন্ধু অটোয়ায় ২-১০ আগস্ট অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে কানাডা সফর করেন। তিনি ৫-৯ সেপ্টেম্বর আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত চতুর্থ ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।

ওই সময় তিনি বাদশাহ ফয়সাল, প্রেসিডেন্ট টিটো, প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত, প্রেসিডেন্ট ইদি আমিন, প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফি, প্রধানমন্ত্রী সøথ প্রমুখ ব্যক্তির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন। ১৮ অক্টোবর সাত দিনের এক সফরে টোকিও গমন করেন বঙ্গবন্ধু। ওই বছর তিনি স্বল্প সময়ের জন্য মালয়েশিয়া সফরেও গিয়েছিলেন। মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রনায়ক টুঙ্কু আবদুর রহমান তাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দেন। ১৯৭৪ সালের মার্চে বাংলাদেশে এক সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি কালে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ারি বুমেদিন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ইউ নে উইন। ১২ মে পাঁচ দিনের সফরে বঙ্গবন্ধু ভারত যান। ওই সময় দুই দেশের মধ্যে সীমানা চিহ্নিতকরণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেনেগালের প্রেসিডেন্ট লিওপোল্ড সেংঘর ২৬-২৯ মে বাংলাদেশ সফর করেন। ১ জুন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ভুটানের রাজা জিগমে সিংগে ওয়াংচুকের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি পাঁচ দিনের সফরে ঢাকা আসেন ১৫ জুন। ওই মাসেই বাংলাদেশ সফর করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট নগুয়েন হু থু ঢাকায় এক সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করেন। এর সবই ছিল বঙ্গবন্ধু সরকারের কূটনৈতিক মিশনের ফল। আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক তিনি। তিনিই তার সুযোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে জাতিকে পৌঁছে দিয়ে গেছেন স্বাধীনতার স্বর্ণ তোরণে। আর সে কারণেই তিনি বিশ্বনেতা। তাছাড়া ২০১৭ সালে জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেসকো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা তথা ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল তথা মানবজাতির অমূল্য সম্পদ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়ার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ নীতি, সবার সঙ্গে সৌভ্রাতৃত্ব। অতঃপর সরকারের সামনে প্রধান কাজটিই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাওয়া। উল্লেখ্য, আগামী বছর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষেও জাতিসংঘ সদর দফতরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি ২০২১ সালে উদ্যাপন করা হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম বা ডব্লিউইএফ ২০২১ সালে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। পাশাপাশি জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেছেন তাও সবিশেষ প্রণিধানযোগ্য। বঙ্গবন্ধুর অন্যতম আদর্শ ও লক্ষ্য সর্বোপরি স্বপ্ন ছিল, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়া। প্রধানমন্ত্রী শোকবিহ্বল দীপ্তকণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা উচ্চারণ করে বলেছেন, সেই বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমেই আমরা জাতির পিতার রক্তঋণ শোধ করব- এটা আমাদের অঙ্গীকার।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close