রায়হান আহমেদ তপাদার

  ২৩ নভেম্বর, ২০১৯

আন্তর্জাতিক

ব্রেক্সিট মনস্তাত্ত্বিক নাটকে ব্রিটেন ও ইইউ

আগামী ১২ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে ভোট দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। ব্রেক্সিট ইস্যুতে টানা কয়েক মাসের টানাপড়েনের পর আগাম নির্বাচনের পক্ষে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন পার্লামেন্ট সদস্যরা। ব্রিটিশ সরকারের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৩৮টি আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২০ জন। উল্লেখ্য যে, ১৯২৩ সালের পর এই প্রথমবার ব্রিটেনে ডিসেম্বর মাসে সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। দেশটিতে ২০১৭ সালে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, দেশের জনগণের ব্রেক্সিট এবং দেশের ভবিষ্যতের বিষয়ে মতামত দেওয়ার অধিকার রয়েছে। তিনি আশা করছেন যে, বেক্সিট চুক্তি এবং বর্তমান পার্লামেন্টে অচলাবস্থা নিরসনে তাকে নতুন করে ম্যান্ডেট এনে দেবে নির্বাচন। এর আগে ব্রেক্সিটের জন্য ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় পেয়েছে ব্রিটেন। ১০নং ডাউনিং স্ট্রিট থেকে জানানো হয়েছে, বিদ্রোহের কারণে যে ২১ জন টোরি এমপিকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাদের অর্ধেককে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারা কনজারভেটিভ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন। লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, দেশ সংস্কার এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এই নির্বাচন বর্তমান প্রজন্মের কাছে একটি সুযোগ। অপরদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে কোনো সীমান্ত চৌকি, দেয়াল বা বেড়াÑ এসব কিছুই নেই। এক দেশের লোক অবাধে যখন যেভাবে খুশি আরেক দেশে যেতে পারে, অন্য দেশে গিয়ে কাজ করতে পারে।

কিন্তু ব্রিটেন যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে তো ব্রিটেন অন্য দেশ হয়ে গেল। ফ্রি মুভমেন্ট অব পিপল্; যা ইইউএর মূলনীতির অন্যতম স্তম্ভ; তা আর তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না এবং সেক্ষেত্রে ব্রিটেন ও ইইউয়ের মধ্যে সীমান্ত ফাঁড়ি থাকতে হবে। এক দেশের লোক বা পণ্য আরেক দেশে যেতে হলে কাস্টমস চেকিং পার হতে হবে। কিন্তু ব্রিটেন হলো একটা দ্বীপপুঞ্জ। ইউরোপ ও ব্রিটেনের মধ্যে আছে সমুদ্র-ইংলিশ চ্যানেল এবং নর্থ সি। এই সাগরই সীমান্ত। কিন্তু এক-দুটি ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম আছে। যেমন আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্র এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড মিলে একটি আলাদা দ্বীপ। উত্তর আয়ারল্যান্ড ব্রিটেনের অংশ। আর আইরিশ প্রজাতন্ত্র একটি পৃথক দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। এ দুয়ের মধ্যে আছে স্থলসীমান্ত। তাই ব্রেক্সিটের পর এটিই পরিণত হবে ইউরোপ আর ব্রিটেনের স্থলসীমান্তে। ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলেই এ সীমান্তে কাস্টমস চৌকি বসাতে হবে। আয়ারল্যান্ড আর উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে যত মানুষ ও পণ্য এখন মুক্তভাবে চলাচল করে, তখন তা আর থাকবে না। শত শত ট্রাক-বাসকে এখানে থামতে হবে, কাস্টমস চেকিংয়ের জন্য লাইন দিতে হবে, পণ্য চলাচলে অনেক সময় ব্যয় হবে, দিতে হবে শুল্ক। কিন্তু অন্যদিকে এই দুই আয়ারল্যান্ডের মানুষের ভাষা এক, সংস্কৃতি এক, অনেক পরিবারেরই দুই শাখা দুদিকে বাস করে। এমনকি ইইউয়ের অংশ হওয়ার কারণে এত দিন সেখানকার লোকেরা মুক্তভাবে একে অন্যের দেশে গিয়ে চাকরি-বাকরি ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। এই সবকিছুর মধ্যেই তখন নানা বাধার দেয়াল ওঠে যাবে।

আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, উত্তর আয়ারল্যান্ডে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সহিংস বিদ্রোহের অবসানের জন্য হওয়া গুড ফ্রাইডে চুক্তিতেও আয়ারল্যান্ডের দুই অংশের যোগাযোগ যেভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে, তাও এতে বিপন্ন হতে পারে। ব্রিটেনের ইইউতে যোগদানের বছর ১৯৭৩ সাল থেকে ইইউ ছাড়ার গণভোট বা ব্রেক্সিট রেফারেন্ডামের বছর ২০১৬ পর্যন্ত আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালির প্রবৃদ্ধি থেকে অনেক বেশি হারে বেড়েছে। আর ১৯৯২ সালের প্রকৃত একক বাজার চালু হওয়ার পর (যেটি ছিল মার্গারেট থ্যাচারের বড় অর্জনগুলোর অন্যতম) ব্রিটেন তার প্রথাগত প্রতিযোগীদের চেয়ে উল্লেখযোগ্য ভালো পারফর্ম করেছে, অন্তত ২০১৬ সাল পর্যন্ত। জনসন ইইউ থেকে প্রত্যাহার চুক্তি নিশ্চিত করেছেন কিছুটা নিজের আগেকার অবস্থানে ছাড় দিয়ে ও উত্তর আয়ারল্যান্ড ব্রিটেনের বাকি অংশের মধ্যে একটি শুল্ক সীমান্তের উপস্থিতি মেনে নিয়ে এবং কিছুটা তার পূর্বসূরি প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের দরকষাকষি করা বাজে শর্তাবলির সমাধান করে। যদিও চুক্তিটিকে এখনো অনেক সংসদীয় বাধা স্পষ্ট করতে হবে এবং এ কারণে আসন্ন সংসদীয় নির্বাচন হবে সবার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা। অতি শিগগিরই সম্ভবত আমরা দেখতে পাব আমাদের জন্য ব্রেক্সিট কতটুকু ভালো বা খারাপ দিকে মোড় নিতে পারে। কিন্তু সম্ভবত আমাকে বিফোর লঙ্গ বা অতি শিগগিরই ফ্রেজটির পুনরালোচনা করতে হবে।

ধরা যাক, ব্রেক্সিট হচ্ছে, তারপর যদি ব্রেক্সিটের প্রথম কয়েকটি বছর ব্রিটেনের জন্য অর্থনৈতিকভাবে কঠিন হয়; তখন ব্রেক্সিটপন্থিরা আমাদের বলবেন যে, কিছুটা সময় তো দিতে হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জনসনের চুক্তি মোতাবেক ব্রিটেন ইইউ ত্যাগ করছে, তাহলে ইইউয়ের সঙ্গে একটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করতে হলে ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত আলোচনা চালাতে হবে, যেখানে সরকার হয়তো ইইউয়ের সঙ্গে কানাডার বিদ্যমান এফটিএকে বিবেচনায় নেবে নিজেদের পছন্দের মডেল হিসেবে। কিন্তু ভিন্ন ব্রেক্সিট দৃশ্যাবলির আওতায় ভবিষ্যদ্বাণী করা ব্রিটেনের আগামীর অর্থনৈতিক পারফরম্যান্স এ অপশনটিকে দ্বিতীয় বাজে র‌্যাংকিংয়ে ফেলছে, যা কেবল চুক্তিহীন বিচ্ছেদের ওপরে আছে। কানাডা স্টাইলের চুক্তির অনেক নেতিবাচক দিকের একটি হলো এতে সেবা খাতগুলো খুব একটা অন্তর্ভুক্ত হয় না, যাতে ব্রিটেনের ব্যবসায় উদ্বৃত্ত ইইউয়ের সঙ্গে কেবল ২০১৮ সালেই ছিল ৩৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এটি একটি কারণ যে, কেন এ ধরনের একটি চুক্তি ইইউয়ের পক্ষে বেশি সুবিধাজনক হবে ব্রিটেন থেকে। বস্তুত জনসনের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের একজন বলেছেন যে, আমরা সম্ভবত জানি না আগামী ৫০ বছর ব্রেক্সিটের পূর্ণ অর্থনৈতিক প্রভাব কী হবে। যেজন্য আমরা ইইউ ত্যাগ করতে যাচ্ছি, তা পূরণ করতে হলে এখন এবং ওই সময়ের মধ্যে ফলাফল ভালো হতে হবে। ষাটের দশকের শুরুতে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড ম্যাকমিলান এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে, পদ্ধতিগত ও দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার বিষয়টি বদলে দিতে হলে ব্রিটেনের উচিত সে সময়ের ইউরোপিয়ান কম মার্কেটে যোগদান করা।

অন্যদিকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর মার্ক কারণেই বলেছেন, চুক্তি করে ইইউ থেকে বেরিয়ে এলে ব্রিটেনের অর্থনীতি ভালো হবে, চুক্তিহীন অবস্থায় বেরিয়ে আসা থেকে। যদিও তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে, জনসনের চুক্তি থেরেসা মে যে চুক্তি করেছেন তার চেয়ে কম ইতিবাচক হতে পারে। তার পরও মের চুক্তিও দেশকে দুর্বল করে তুলবে স্বাভাবিকভাবে আমরা ইইউতে থেকে গেলে যেমন থাকব তার চেয়ে। আরেকটু পরিষ্কার করে বলা যায়, জনসনের অর্থমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ নতুন প্রস্তাবিত চুক্তির প্রভাব মূল্যায়ন ও তা তুলে ধরতে অস্বীকার করেছেন। এতে করে এসব সন্দেহ জোরদার হচ্ছে যে, এমন একটি মূল্যায়নের ফলাফল সম্পর্কে সরকার অনেক কম আত্মবিশ্বাসী। সর্বোপরি নিজের সবচেয়ে কাছের ও সবচেয়ে বড় মার্কেটকে বাইরে থেকে ব্রিটেন কীভাবে সম্ভাব্য ভালো করতে পারে? কেন আমরা সক্ষম হব আমাদের পক্ষে তুলনামূলক বড় ও ভালো চুক্তি করার জন্য ওইসব দেশের সঙ্গে যেখানে আমাদের চেয়ে তাদের বাজারের আকার দশ গুণ বড়? কিছু আশাবাদী বিশ্বাস করেন, ব্রিটেন বিশ্বকে ঝড়ের মতো টেনে আনতে পারে নিয়ন্ত্রণমুক্ত, মুক্তবাজার ব্যবসায়ী হিসেবে (সিঙ্গাপুর স্টাইলে)। কিন্তু তারা যেসব বিষয় এড়িয়ে যান, তা হলো পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা চেক এবং কর্মীদের অধিকারের বিষয় তুলে নেওয়া কনজারভেটিভ দলের জন্য রাজনৈতিক বিপর্যয় হতে পারে। এর বাইরে কানাডা পদ্ধতির চুক্তি বেশির ভাগের ক্ষেত্রে না হলেও অনেক উৎপাদিত পণ্যের ক্ষেত্রে সীমান্তে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চাপিয়ে দেবে। এসব একটি স্মরণকারী যে, ব্রিটেন ইইউ ত্যাগ করার পরও বছরের পর বছর তাকে ইইউয়ের সঙ্গে অনেক কঠোর আলোচনার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যেখানে সে দুর্বল অবস্থানে থেকে দরকষাকষি করবে।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, তার পরও প্রতি সকালে সূর্য উঠবে এবং আমাদের বিশ্বমানের অনেক প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি ও সম্পত্তি থাকবে। কিন্তু খোদ ব্রিটেনের একত্রিত থাকার প্রবণতা (ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও নর্থান আয়ারল্যান্ড নিয়ে যুক্তরাজ্য গঠিত) টানটান অবস্থায় পড়ে যাবে মূল ভূমি ইংলিশ জাতীয়তাবাদী নীতি কর্তৃক পরিচালিত হওয়ার কারণে। সর্বোপরি আমরা হয়ে পড়ব তুলনামূলক দরিদ্র। বস্তুত সরকার কর্তৃক প্রায়ই ব্যবহৃত অর্থনৈতিক থিংকট্যাংকগুলোর মূল্যায়ন অনুযায়ী, আমরা সম্ভবত এখনই ২ দশমিক ৫ শতাংশ সম্পদহীন হয়ে গেছি, যেটি ব্রেক্সিট প্রক্রিয়াহীন থাকলে হতাম না। একটি দেশের জন্য বিশ্বে কম সম্পদধারী ও কম প্রভাবশালী থাকার পথ বেছে নেওয়া বাজে একটি সিদ্ধান্ত। কেউ কেউ বলেন, এটি কোনো ব্যাপার নয়। কিন্তু চলুন, দেখি কী ঘটে যখন দেশ হিসেবে ও ব্যক্তি হিসেবে আমরা যেসব জিনিস চাই; সেগুলোর জন্য যদি আমাদের অর্থ কম থাকে। ব্রেক্সিট-সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি ও ভবিষ্যদ্বাণীগুলো অতিদ্রুত বাস্তবতার বিরুদ্ধে পরীক্ষিত হবে। যখন সেসব ঘটতে শুরু করবে, আমি তখন জনসনের ব্রেক্সিটবাদীদের একজন হতে চাইব না। ব্রিটেনের ব্রেক্সিট মনস্তাত্ত্বিক নাটক এখনো চলছে। যদিও ব্রিটিশ সরকার ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বিচ্ছেদের সংশোধিত একটি চুক্তিতে পৌঁছেছিল মধ্য অক্টোবরে; কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার প্রত্যাশিত ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইইউ ত্যাগের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পার্লামেন্টকে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে ইইউ নেতারা ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সীমারেখার জন্য আরো তিন মাস বাড়তি সময় মঞ্জুর করেছেন। এরই মধ্যে ১২ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা বর্তমান অচলাবস্থা নিরসনে সহায়তা করতে পারে।

ব্রিটেন কোন শর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হবে, তার একটি বোঝাপড়া হয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দুজনেই ঘোষণা করেছেন যে, এই প্রশ্নে একটি মীমাংসা চুক্তিতে পৌঁছানো গেছে। উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্ট্যাটাস কী হবে, প্রধানত এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতভেদের কারণে ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোটের প্রায় সাড়ে তিন বছর পরও এই বোঝাপড়া আটকে ছিল। ব্রাসেলসে ইউরোপীয় নেতাদের এক বৈঠকে এই সমঝোতা হয়। জনসন এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ-ক্লদ ইউংকার উভয়েই বলেছেন, এই সমঝোতা দুই পক্ষের জন্যই ন্যায্য হয়েছে এবং এরপর ব্রেক্সিট সময়সীমা আর বাড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই বলে মি ইউংকার মতো প্রকাশ করেছেন। যে আপসরফা প্রধানমন্ত্রী জনসন করেছেন, তাকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হবে। তবে সেটা আদৌ ঘটবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close