reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৯ নভেম্বর, ২০১৯

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা জরুরি

টেকসই উন্নয়ন একটি সামাজিক আন্দোলন। স্থিতিশীল উন্নয়ন বা উন্নয়নের স্থিতিশীলতা উভয় ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ করা সম্ভব। তবে আর্থসামাজিক উন্নয়নই হলো টেকসই উন্নয়নের মূলভিত্তি। টেকসই উন্নয়ন শুধু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যই নয়, বরং বর্তমান প্রজন্মের মৌলিক চাহিদা পূরণও নিশ্চিত করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের যে রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছেন, তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে সত্যিকার সোনার বাংলা হয়ে উঠবে দেশ। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছেন এবং সে লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্পে জনগণের ব্যাপক সম্পৃক্ততাও প্রয়োজন। এতে দ্রুত বাস্তবায়িত হবে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন।

বলা সংগত, উন্নয়নের প্রশ্নে বাংলাদেশের আর পেছন ফেরার কোনো অবকাশ নেই। এখন শুধু সামনে এগিয়ে চলা। এই সাফল্যের প্রয়াসকে আরো টেকসই করতে হলে গৃহীত প্রতিটি পদক্ষেপকে বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। আর সে লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। তারই এক বাস্তব রূপ তুলে ধরলেন গত রোববার রাজধানীতে ভোরের কাগজ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে ‘ওয়াশ গভর্নেন্স এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা’ শীর্ষক গোলটেবিলে বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পে জনগণ যত বেশি সম্পৃক্ত হবে, তত দ্রুত সাফল্য আসবে। যেমন এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে মানুষ একযোগে সচেতন হয়ে কাজ করেছে। সেজন্য ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তেমনি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পানির অপচয় রোধ ও টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। তবে এর জন্য সবাই একসঙ্গে একমত হয়ে কাজ করতে হবে। আগে পানির প্রাপ্যতাকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। এখন আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি নিরাপদ পানি প্রাপ্যতাকে। অর্থ বরাদ্দের চেয়ে নিরাপদ পানির প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে অপচয়। অপচয় রোধ এবং এ ক্ষেত্রে জনগণকে আরো বেশি সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এগিয়ে আসার প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, বিদ্যুৎ খাতের উন্নতি, শিক্ষা খাতের অগ্রগতি, নদী বন্দর সৃষ্টি, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মানুষের গড় আয় বাড়াসহ নানা খাতে উন্নতি হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রায় কাছাকাছি সময়ে এসে আমাদের পিছিয়ে থাকলে চলবে না। বরং দৃঢ়প্রত্যয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

কিন্তু বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে নানা রকম অপচেষ্টা চলছে। যেকোনো উপায়ে তা রোধ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলের লক্ষ্য অর্জনের পর এখন একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা; যার ১৭টি উদ্দেশ্য রয়েছে এবং সবকটি উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন না হলেও অধিকাশং উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০-এর আগে বাস্তবায়ন সম্ভব। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী টার্গেট ধরে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন মাত্রা সামনে রেখে উন্নয়ন কর্মকান্ডের মধ্যে সমন্বয় করে কতগুলো ক্ষেত্রকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। এতে উন্নয়নের ধারা যেমন আরো বেগবান হবে, তেমনি জনগণও তার সুফল ভোগ করবে। আর এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close