ইসমাইল মাহমুদ

  ২৩ অক্টোবর, ২০১৯

পর্যবেক্ষণ

সহিংসতা রোধে দরকার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন

আমাদের সমাজ পুরুষ শাসিত। চলনে-বলনে এ সমাজের পুরুষ মনে করেন, তারাই সমাজের একক ও একমাত্র কর্ণধার। আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে একটি বিশাল ব্যাধির নাম ‘নারী নির্যাতন’। সমাজ ও সভ্যতা, উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে যত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, ততই যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নারী নির্যাতনের প্রবণতা। আজ থেকে এক দশক আগেও সমাজের মানুষ যতটা সচেতন ছিলেন; এক দশক পর বর্তমানে মানুষের সচেতনতার মাত্রা বেড়েছে বহু গুণ। একদিকে মানুষ সচেতন হচ্ছেন; অন্যদিকে নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অজ্ঞতা আর বৃদ্ধি পাচ্ছে নারীর প্রতি চরম উদাসীনতা।

বর্তমান সভ্য ও উন্নয়নশীল সমাজের নারী কেন প্রতিনিয়তই নির্যাতনের শিকার হচ্ছেনÑ এ বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখা যায়, দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও অশিক্ষাসহ নানা কারণে নারী নির্যাতিত হচ্ছেন। এ ছাড়া স্বামী বা স্বামীর পরিবারের দাবিকৃত যৌতুক মেটাতে না পেরে দেশে অসংখ্য নারীর জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। যৌতুক, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, তালাকসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আইন রয়েছে, কিন্তু বিদ্যমান এসব আইনের যথাযথ প্রয়োগ নেই বললেই চলে। তাছাড়া এসব প্রচলিত এসব আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষ এখনো সচেতনও নয়।

বিশে^র ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, প্রতি বছর সারা বিশে^ নানাভাবে সহিংসতার শিকার হয়ে অসংখ্য নারীর মৃত্যু ঘটছে। আর আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট তো আরো ভয়াবহ। প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো প্রান্তে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নারী। নারী ধর্ষণ তো বর্তমানে একেবারে মামুলি বা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে! সমাজের প্রভাবশালী, শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের দ্বারাই নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটছে বেশি।

নারীর ওপর সহিংসতার অনেকগুলো কারণের অন্যতম একটি কারণ হলো নারীর প্রতি এখনো আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি নেতিবাচক অবস্থাতেই রয়েছে। সমাজের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ নারী কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নিজ পরিবারেই। এসব নারীর নিজ পরিবারে বাল্যকাল থেকেই কোনো না কোনো নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর পরিবারের গন্ডি পেরিয়ে বাইরে বের হলেও তাদের ওপর নানা কায়দায় নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে। অনেক নারী ইচ্ছা করলেও নিজ পরিবারের কাছে সহিংসতার কথা বলতে পারেন না। এমনও দেখা যায়, অনেক সময় কোনো নারী পরিবারের কাছে নির্যাতন-নিপীড়নের কথা বললে পরিবারই নির্যাতিত নারীকে দোষী সাব্যস্ত করে। ফলে অধিকাংশ নারীই তাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার পরও মুখে কুলুপ এঁটে দেন। পারিবারিক নির্যাতনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমাজব্যবস্থার কারণে অনেক নারী চাইলেও বিদ্যমান আইনের আশ্রয় নিতে পারেন না। অনেক নারী নিজের পরিবার ও সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে নীরবে এসব অত্যাচার সহ্য করতে বাধ্য হন। এ বিষয়ে সম্প্রতি ‘ইউনাইটেড নেশন পপুলেশন ফান্ড’-এর জরিপে বলা হয়, নারীর ওপর তার পুরুষ সঙ্গীর শারীরিক নির্যাতনে বিশ্বে বাংলাদেশ রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। আমাদের দেশে শতকরা ১৪ ভাগ মাতৃমৃত্যু ঘটছে গর্ভকালীন নির্যাতনের কারণে। দেশের শতকরা ৬১ জনের বেশি পুরুষ এখনো মনে করেন, স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করা অবৈধ কোনো কর্ম নয়! এ ছাড়া নারীর প্রতি শতকরা ৮০ ভাগ সহিংসতা ঘটে পরিবারের ভেতরে। অন্যদিকে দেশে সংঘটিত মোট খুনের ঘটনার ৫০ শতাংশই হচ্ছে স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যার ঘটনা। নির্যাতনের ঘটনা বেশি ঘটে গ্রামাঞ্চলে। শহরাঞ্চলেও শতকরা ৬০ ভাগ নারী স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হন। মৌখিক নিপীড়নের শিকার হন ৬৭ শতাংশ নারী। তাছাড়া যৌতুকের কারণে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে বছরে গড়ে ৬০০টি। আর পরিবারের বাইরে নারীর প্রতি সহিংসতার মাত্রা তো আরো ভয়াবহ। প্রায় প্রতি ঘণ্টাতেই দেশে নারী সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছেন। এককথায় ঘরে-বাইরে কোথাও নারী পুরোপুরি নিরাপদ নন। আমরা সভা-সমিতি-সিম্পোজিয়ামে বক্তৃতা-বিবৃতিতে প্রায়ই বলে থাকি ‘নারীরা মায়ের জাত’।

জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত মাত্র এক দিনের ঘটনাপ্রবাহের দিকে যদি তাকাই তবে আমাদের আঁতকে উঠতে হয়। গত ২১ অক্টোবর শুধু একটি পত্রিকায় নারীর প্রতি সহিংসতার কিছু ঘটনাবলি উপস্থাপন করা হলো। যদিও পত্রিকার পাতায় যতগুলো ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি ঘটনা ঘটেছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। যেগুলো পত্রিকায় প্রকাশ হয়নি।

১. শ্রীমঙ্গলের আশীদ্রোন ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে প্রেম করে বিয়ের মাত্র তিন মাসের মাথায় নববধূ মরিয়মকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মনিরুল, শাশুড়ি মনি বেগম, শ্বশুর ও খালার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে নববধূর বাবা সুলতান মিয়া বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন ১৪ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে অজ্ঞাত ফোন থেকে জানতে পারেন মরিয়ম বিষপান অবস্থায় মৌলভীবাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ খবর জানার পর তিনি হাসপাতালে ছুটে যান। চিকিৎসাধীন মরিয়ম তার পিতাকে জানা, তিনি জানতে পারেন মনির তার মামাতো বোনকে বিয়ে করেছেন। এ বিষয়ে তিনি স্বামীর কাছে জানতে চাইলে তারা তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে মরিয়ম পানি চাইলে স্বামী ও শাশুড়ি শরবতের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পান করান। তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়লে তারা তাকে বাড়ির পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। পরে মরিয়ম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

২. কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মালিখিল বেকিনগর গ্রামে শুক্রবার রাতে হাজেরা আক্তার নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হাজেরার বাবা দাউদকান্দি উপজেলার তালের ছেও গ্রামের আবু তাহের বলেন, ‘একাধিক বিয়ের তথ্য সালিশে ফাঁস হওয়ার আশঙ্কায় শুক্রবার রাতে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে জামাতা আবদুল মোতালেব।’

৩. নওগাঁর মহাদেবপুরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সরস্বতীপুর বাজারের পাশে পরিত্যক্ত একটি চালকলে এ ঘটনা ঘটে।

৪. খুলনায় নবম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে ৯ দিন ধরে আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, খুলনার শিরোমণি এলাকার ওই ছাত্রীর সঙ্গে একই এলাকার জাকির নামে এক যুবকের প্রেমের স¤পর্ক ছিল। ৮ অক্টোবর বিয়ের কথা বলে জাকির ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ১৭ অক্টোবর মেয়েটি বাড়িতে ফিরে এসে জানায়, ৮ অক্টোবর মেয়েটিকে ফরিদপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর প্রেমিক জাকির ও তার সাত-আটজন বন্ধু মিলে কিশোরীকে টানা ৯ দিন আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে।

৫. কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারীতে নিখোঁজের চার দিন পর হাত বাঁধা অবস্থায় পাখিউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মমতাজ আক্তার জেমির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে ব্রহ্মপুত্র নদের চরঘুঘুমারী চরের কাশবন থেকে স্কুলের পোশাক পরা অবস্থায় জেমির লাশ উদ্ধার করা হয়। গত বুধবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সে নিখোঁজ হয়।

৬. বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকায় মাদকাসক্ত ছেলের হাতে মা খুন হয়েছেন। মোবাইল ফোন কেনার টাকা না পেয়ে মাদকাসক্ত রাসেল শেখ (২২) তার মা রাবেয়া বেগমকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

৭. পটুয়াখালীর আমতলীতে গৃহবধূ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আমতলী ও কলাপাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী মাছুয়াখালী গ্রামে শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। মাছুয়াখালী খেয়াঘাটে কাওসার এবং ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে একটি জেলে নৌকার দাদনের টাকা নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতে, শনিবার রাতে টাকা শোয়েব খানের কাছে জমা দেন ওই নারী ও তার স্বামী। টাকা দিয়ে স্বামী টেপুড়া বাজারে আসেন এবং স্ত্রী মাছুয়াখালী গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে পাঁচ-ছয়জনের মুখোশধারী সন্ত্রাসী তার মুখ বেঁধে একটি পরিত্যক্ত ভিটায় নিয়ে যায়। ওইখানে নিয়ে আদু মাতব্বর, মনু মুন্সি ও বাচ্চু শরীফসহ পাঁচজন তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে।

৮. নেত্রকোনার বারহাট্টায় এক বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রদীপ বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার বেলা ৩টার দিকে বারহাট্টার বাউসী ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত প্রদীপ বিশ্বাস দুই সন্তানের জনক।

৯. হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় নার্গিস (২২) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে মাধবপুর থানা পুলিশ উপজেলার কড়রা গ্রামের একটি ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত গৃহবধূ মাধবপুর উপজেলার মীরনগর গ্রামের ফারুক ইসলামের প্রথম স্ত্রী। নার্গিসের পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে নার্গিসকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নার্গিসের স্বামী ফারুক ও তার সতিন সামসুন্নাহারকে আটক করেছে।

১০. নওগাঁর সাপাহারে পারিবারিক কলহের জেরে রুমি আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে খুন করেছেন তার স্বামী। এ ঘটনায় স্বামী নজরুল ইসলামকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বিদ্যানন্দী বাহাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

১১. বান্দরবানের লামা উপজেলায় গোপালি বেগম (৪৭) নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। রোববার ভোরে এই উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিউনি খালপাড়া এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। গোপালি বেগম একই ইউনিয়নের সিউনিপাড়ার বাসিন্দা শাহজাহানের স্ত্রী। গৃহবধূ গোপালি বেগমকে ১৯ অক্টোবর রাতের কোনো এক সময় অজ্ঞাতরা হত্যা করে পালিয়ে গেছে।

এক দিনের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত এসব ঘটনাই প্রমাণ করে নারী আমাদের সমাজে এখনো কতটা অসহায়। তবে অস্বীকার করার উপায় নেই, নারী নির্যাতনের ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। তখন মানুষের মধ্যে এতটা সচেতনতা ছিল না। আজ থেকে ২০-৩০ বছর আগে নারী নির্যাতন যে একটা ভয়াবহ অপরাধ; সেটা হয়তো অনেকেই বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ জানতেনই না। সময় এখন অনেক পাল্টেছে। শিক্ষায়-অগ্রগতিতে অনেক এগিয়েছে দেশ ও দেশের মানুষ। সর্বক্ষেত্রেই দেশে মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে সচেতনতা। কিন্তু নারী নির্যাতন ও নারীর প্রতি সহিংসতার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে মানুষ কেন জানি এখনো সেই আদিম যুগেই ঘুরপাক খাচ্ছে। নারী সহিংসতা প্রতিরোধে আছে কঠোর আইন। আছে বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক সনদ ও চুক্তি। কিন্তু এগুলোর বাস্তবায়ন নেই বললেই চলে। দেশের অনেক নারী আজও অজ্ঞ এসব আইন সম্পর্কে। আর প্রচলিত আইনগুলোর ব্যাপারে আমজনতা বা সাধারণ মানুষ এখনো তেমনভাবে সচেতন হয়ে উঠেনি।

নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বছরের পর বছর ধরে শুধু আন্দোলন, নানা সেমিনার-সিম্পোজিয়াম হচ্ছে। এসব কোনো কাজে আসছে বলে মনে হচ্ছে না। এখন প্রয়োজন নারীর প্রতি এ সহিংসতা রোধে প্রচলিত আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা। এছাড়াও দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন। আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে পারলেই নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই আসুন সমাজ ও পরিবার তথা সবাই মিলে নারীর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে এগিয়ে আসি। আমরা যখনই নারীকে শুধু নারী হিসেবে নয়, সমাজের মানুষ হিসেবে গণ্য করব; তখনই অনেকাংশে কমে আসবে নারীর ওপর সহিংসতা ও নারী নির্যাতন।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close