রেজাউল করিম খান

  ১০ অক্টোবর, ২০১৯

পর্যালোচনা

মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রম

সংবাদমাধ্যমে জানা গেল, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া আবার শুরু হয়েছে। প্রায় আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায় ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত যাচাই-বাছাইকালে যাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম তালিকাভুক্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল; সেগুলো আবার যাচাই করা হবে। আর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যাদের নাম সুপারিশ করা হয়নি; তাদের দাখিল করা আপিল আবেদনও যাচাই-বাছাই শুরু হচ্ছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আগেই মুক্তিযোদ্ধাদের একটি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। মুক্তিযোদ্ধারা কী কী সুবিধা পাবেন; সেটা পরিচয়পত্রের পেছনে লেখা থাকবে।’ মন্ত্রী আরো বলেন, ‘সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যা অন্য কোনো পেশার মানুষ পাবে না। এর মধ্যে থাকছে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও উৎসব বোনাস, সরকারি হাসপাতালে শতভাগ ফ্রি চিকিৎসা। এর পাশাপাশি রাস্তাঘাট, রাষ্ট্রীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করা হবে। এ ছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়ি করার জন্য ১৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।’ এমন কথা তিনি এর আগেও একাধিকবার বলেছেন। স্বাধীনতা দিবস এলে বলা হয় বিজয় দিবসের আগে আর বিজয় দিবস এলে বলা হয় স্বাধীনতা দিবসের আগে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির পর তা প্রকাশ করা হবে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। এবারও হবে, এমন আশা না করাই ভালো। কারণ মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কার্যক্রম এমন অবস্থায় আছে, যা সহসাই শেষ হওয়ার নয়।

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্তির জন্য ২০১৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে ১ লাখ ২৩ হাজার ১৫৪ জন এবং সরাসরি ১০ হাজার ৯০০ জন আবেদন করেছিলেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা)। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সারা দেশে ৪৭০টি উপজেলা, জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন করে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শুরু করেছিল জামুকা। যাচাই-বাছাইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল সাক্ষ্য প্রদান। আবেদনকারীকে তিনজন লাল তালিকাভুক্ত সহযোদ্ধা সাক্ষী আনার জন্য বলা হয়। অথচ অনলাইনের দরখাস্তে ‘লাল তালিকা’ কথাটি উল্লেখ ছিল না। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের দেওয়া একটি তালিকাকে মন্ত্রণালয় লাল তালিকা হিসেবে দেখিয়েছে। কেন, কে, কোন্ কমিটি, কিসের ভিত্তিতে ওই তালিকা প্রণয়ন করেছে তার কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে ‘মুক্তিবার্তা’ নামে প্রকাশিত পত্রিকার তালিকা থেকে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ১৯৯৯ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে। ২০০১ সালে সম্পাদিত ওই তালিকায় সংসদের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আহাদ চৌধুরী, মহাসচিব আব্দুর রশিদ (প্রশাসন) ও করণিক মফিজুল ইসলামের স্বাক্ষর রয়েছে। ওই তালিকা থেকে প্রায় অর্ধেক নাম বাদ দিয়ে ২০১০ সালে কেদ্রীয় সংসদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা খন্দকার নূরুল ইসলাম একটি তালিকা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। এই তালিকাটিকেই ‘লাল মুক্তিবার্তা’ বলা হচ্ছে।

যাচাই-বাছাই শেষে ৪৭০টি কমিটির মধ্যে ৩৮৫টি তাদের প্রতিবেদন দেয়। ৮৫টি কমিটি কাজ করতে পারেনি সদস্যদের দ্বন্দ্ব এবং কমিটি নিয়ে আদালতে মামলা থাকায়। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে যে যাচাই-বাছাই হয়েছে, তাতে উপজেলা, জেলা কিংবা মহানগর কমিটি তিন ধরনের খসড়া তালিকা তৈরি করে। ‘ক’ তালিকা হচ্ছে যাচাই-বাছাই কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত তালিকা। ‘খ’ হচ্ছে কমিটির দ্বিধাবিভক্ত মতের ভিত্তিতে করা তালিকা। ‘গ’ হচ্ছে কমিটির নামঞ্জুর করা তালিকা। ‘ক’ তালিকায় মোট ২৬ হাজার ৯৪২ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য সুপারিশ করা হয়। কিন্তু মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ যথার্থভাবে সম্পন্ন না হওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচিও পালন করা হয়। জামুকার কাছে যেসব প্রস্তাব আসে, তাও ছিল ত্রুটিপূর্ণ। তাই তারা সুপারিশগুলো আবার যাচাইয়ের প্রস্তাব করে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির সব সুপারিশ দুই প্রক্রিয়ায় আবার যাচাই-বাছাই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে জামুকার ৬১তম সভায়। যে কমিটি নতুন তালিকাভুক্তির জন্য ওই এলাকার বর্তমান ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১০ শতাংশের কম নাম সুপারিশ করেছে, সেই কমিটির সুপারিশ জামুকার সদস্যদের তত্ত্বাবধানে যাচাই করা হবে। আর যে কমিটি বর্তমান ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি নাম সুপারিশ করেছে, সেই কমিটির সুপারিশ ওই এলাকায় ফেরত পাঠিয়ে আবার যাচাই-বাছাই করা হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।

আবার যাচাই-বাছাইয়ের জন্য উপজেলা বা জেলা বা মহানগরে তিন সদস্যের কমিটি পুনর্গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামুকা। কমিটির ‘ক’ তালিকাভুক্ত সুপারিশ আবার যাচাই-বাছাই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি নির্দেশিকা করা হয়েছে। অনুসরণীয় ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘পুনঃযাচাই-বাছাই কার্যক্রম উপজেলার হলরুমে সকাল ৯টা-১০টার মধ্যে সাংবাদিক, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে শুরু করতে হবে। পুনঃযাচাই-বাছাইকালে উপজেলার লাল মুক্তিবার্তা, ভারতীয় তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত আছেÑ এমন মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন। ইউএনও ও এডিসি পুনঃযাচাই-বাছাইয়ের নির্ধারিত তারিখ সাত দিন আগেই সবাইকে জানিয়ে দেবেন। সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের সেদিন উপস্থিত থাকতে হবে।’ সম্প্রতি এই নির্দেশিকাসহ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সুপারিশসংবলিত নথি ফেরত পাঠানোর কথা উপজেলা বা জেলা বা মহানগরের পুনর্গঠিত কমিটির কাছে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। অক্টোবরের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। এখানে নাটোরের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করতে চাই। নাটোর সদর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শেষে ৩৩ জনকে উত্তীর্ণ অর্থাৎ ‘ক’ তালিকাভুক্ত করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) প্রেরণ করা হয়। ওই তালিকার ২৩ ক্রমিক সংখ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নাম প্রকাশিত হয়েছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর উত্তীর্ণদের সাক্ষাৎকারের জন্য বগুড়াতে উপস্থিত হতে বলা হয়। কিন্তু অন্যরা এতদসম্পর্কিত পত্র পেলেও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কোনো পত্র পাননি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তালিকার ২৩ নম্বর ক্রমিকে রবীন্দ্রনাথের স্থলে জনৈক আজিমুদ্দিন পিতা নইমুদ্দিন, ঠিকানা- আলাইপুর, নাটোর পৌরসভা লেখা হয়েছে। বিষয়টি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মহাপরিচালককে জানানো হলে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে বগুড়ায় উপস্থিত হতে বলেন। কিন্তু সেখানে তাকে অপমানিত হতে হয়।

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে যাচাই-বাছাইকালে যাদের ‘খ’ ও ‘গ’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, তাদের খসড়া তালিকা প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ রাখা হয়েছিল। সে অনুসারে ৩৫ হাজার ২৮০টি আবেদন জমা পড়েছে জামুকায়। ওইসব আপিল আবেদন নিষ্পত্তিরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত জামুকার ৬৪তম সভায় আপিল নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আট বিভাগের জন্য আটটি কমিটি করা হয়েছে। অক্টোবর মাসেই এই আপিল শুনানি শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় এই শুনানি হবে।

শুনানি হয়তো শুরু হবে, কিন্তু শেষ হবে কি না, তা বলা যাচ্ছে না। কারণ এখনো অনেক মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। গত ২৬ মে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ওই সময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তালিকা তৈরিতে বিলম্বের প্রধান কারণ হিসেবে ৮১০টির মামলার কথা বলা হয়। অবশ্য এসব মামলার মধ্যে ৩৩টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই, উপজেলা ও মহানগর যাচাই-বাছাই কমিটি, ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্তকরণ, গেজেট বাতিল, নাম ও ঠিকানা সংশোধন, বিভিন্ন আবেদন নিষ্পত্তীকরণ, বিভিন্ন সমিতি-সংক্রান্ত বিষয়ে এসব মামলা করা হয়েছে। নানা কারণে নতুন নতুন মামলা বা রিট হচ্ছে আদালতে। এসব মামলার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ও ডেটাবেইজ তৈরির উদ্যোগও বারবার ব্যাহত হচ্ছে। অবশ্য মুক্তিযোদ্ধাদের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে গত মার্চে উচ্চ আদালত একটি বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের মামলা শুনানির জন্য আলাদা বেঞ্চও গঠন করা হয়। আলাদা বেঞ্চ গঠনের কারণ উল্লেখ করে হাইকোর্ট ওই সময় বলেছিলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আদালতের বারান্দায় ঘোরাটা শোভনীয় নয়। ওই মাসে হাইকোর্টের ওই দ্বৈতবেঞ্চ মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা-সংক্রান্ত বেশ কিছু মামলার রায় দেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৯ মে পৃথক ১২টি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স বিষয়ে সরকারের গেজেট বাতিল করে রায় ঘোষণা দেয় উচ্চ আদালতের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। এর আগে ১৬ মে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ বলা যাবে না বলে রায়ও দেন।

প্রকাশিত খবরে জানা যায়, বেসামরিক ক্ষেত্রে শুধু লাল মুক্তিবার্তায় নাম এবং ভারতীয় গেরিলা বাহিনীর করা তালিকার বাইরে যারা সনদ নিয়েছেন এবং যারা সাময়িক সনদ গ্রহণ করেছেন, তাদের সনদ বাতিল বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ সামরিক ও রাজনৈতিক সরকারের প্রধানের স্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করে এখন মুক্তিযোদ্ধার সঠিক অবিতর্কিত তালিকা করা হবে। এ ছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করা হয়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রায় ৪৫ হাজার ‘অমুক্তিযোদ্ধাকে’ মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তাদের বাদ দেওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধারা সব সময় আতঙ্কে থাকেন। তাদের মধ্যে হয়তো কিছু অমুক্তিযোদ্ধা থাকতে পারেন। সব সরকারের আমলেই রাজনৈতিক বিচেনায় মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুন করে সরকারি গেজেটভুক্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৫৪৯ জন। অমুক্তিযোদ্ধাদের অবশ্যই বাদ দেওয়া উচিত। কিন্তু আমরা ভুলে যাই, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের পর থেকে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে দখলদার বাহিনী গণহত্যা শুরু করে। লাখ লাখ মানুষ হত্যা-নির্যাতনের শিকার হন। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বাংলার আবালবৃদ্ধবনিতা। এদের প্রায় সবাই মৃত্যুর শঙ্কা নিয়ে অবরুদ্ধ ছিল ৯ মাস। এসব মানুষই অংশ নেন প্রতিরোধ যুদ্ধে। একাংশ স্থানীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে যুদ্ধ করেন। একাংশ ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে গেরিলাযুদ্ধে অংশ নেন। একাংশ ছিল সেনাবাহিনী, ইপিআর, পুলিশ ও আনসার। আর যারা ভারতে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাদের কথাও বলতে হয়। এদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে কাকে বাদ দেবেন? মনে রাখতে হবে, কোনো কিছু প্রাপ্তির আশায় সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close