reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৩ আগস্ট, ২০১৯

ডেঙ্গু প্রতিরোধে চাই সমন্বিত পদক্ষেপ

রাজধানীসহ সারা দেশের হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর দ্রুত বিস্তারে বেড়েছে আতঙ্ক। বেসরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে অর্ধশত মারা গেলেও সরকারি হিসাবে এই সংখ্যা ১৪। তবে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা অল্প দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিশিষ্ট চিকিৎসকদের নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা প্রতি সেকেন্ডের ডেঙ্গু পরিস্থিতি মনিটরিং করছি। মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করছি, মশা মারার জন্য নতুন ওষুধ আনছি। আমাদের উদ্যোগের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সমন্বয়ে সব কাজ চলছে। আমরা বিশ্বাস করি, পরিস্থিতি অল্প দিনের মধ্যে ম্যানেজ হয়ে যাবে।

দেরিতে হলেও সরকারের এ উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কারণ নিরাময়যোগ্য কিন্তু ভয়াবহ এ রোগটির আতঙ্কে সারা দেশ শঙ্কিত ও ভীত। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালনের পরও হরেকরকম অভিযোগ আসছে বিভিন্ন স্থান থেকে। অনেক রোগী প্রতারণার শিকার হচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েকটি হাসপাতালকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অনিয়মের অভিযোগে জরিমানা করেছেন। সাধারণ মানুষের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি এমন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে, তা হলে বৃহত্তর মানবসেবার নৈতিক দায়বদ্ধতা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। তবে আশাব্যঞ্জক যে, ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে দেশের খ্যাতিমান অনেক চিকিৎসক আর চিকিৎসালয় সবক্ষণিক নজরদারিই শুধু নয়, রোগ চিহ্নিতকরণ, সেবা প্রকল্পের মানোন্নয়ন, সঙ্গে নিরাময়ের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে সবাইকে সচেতন করতে বদ্ধপরিকর। মানুষের দুঃসময়ে তারা যে মানবিক উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে, তা নিঃসন্দেহে উদাহরণযোগ্য। আমরা তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। অন্যদিকে, সময়ক্ষেপণ না করে সাধারণ মানুষের অসুস্থতা নিয়ে দায়িত্বহীনতার যেসব অভিযোগ এসেছে তার সব কিছুকে নজরদারিতে এনে সুষ্ঠু কর্মোদ্যম প্রয়োগ করা সময়ের দাবি। ভয়ংকর ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপকে সামলাতে যা যা করণীয় এ মুহূর্তে সবটাই বাস্তবায়ন করা সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। শুধু সরকারি পদক্ষেপই নয়, সঙ্গে গণসচেতনায় ব্যক্তিক উদ্যোগগুলোও বিশেষ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেও আমরা আশা করছি।

এ ছাড়া প্রত্যেক নাগরিকের উচিত বাড়িঘরের আশপাশে এডিসের প্রজনন হতে পারে- এমন সব ব্রিডিং গ্রাউন্ডকে ধ্বংস করা। দিনের বেলায় অন্তত শিশুদের ঘুমের সময় মশারি ব্যবহার করাও সব অভিভাবকের দায়িত্ব। এবারের ডেঙ্গু শুধু বাংলাদেশেই নয়, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এর ভয়াবহ প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ও পক্ষকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা আশা করব, চিকিৎসার পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে উপযুক্ত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close