reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ৩১ জুলাই, ২০১৯

ডেঙ্গু মোকাবিলায় চাই নাগরিক উদ্যোগ

ডেঙ্গু যেন আজ এক আতঙ্কের নাম। ঢাকার বাইরেও আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। সারা দেশের ৫০ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে ১ হাজার ৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী। সূত্র মতে, ঢাকায় এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়তে শুরু করে গত জুনের মধ্যভাগ থেকে। জুলাইয়ের শেষে এসে তা রাজধানীর বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। এবার ডেঙ্গুর লক্ষণ ও উপসর্গগুলো আগের উপসর্গ থেকে পৃথক হওয়ায় শুরু থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে এসেছেন চিকিৎসকরা। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, কর্তৃপক্ষের সর্বস্তরের উদাসীনতাই ডেঙ্গুকে আজ মহাতঙ্কের দরোজায় নিয়ে দাঁড় করিয়েছে। কর্মকর্তারা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে জাতিকে এ দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।

অনেক দেরিতে হলেও রাজনৈতিক দলের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। বিষয়টি যদি ফটোসেশনের মতো না হয়, তাহলে এই কর্মসূচির জন্য আওয়ামী লীগকে স্বাগত জানানো যায়। আমরা রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণই আশা করে থাকি। দেশের ৫০ জেলায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের অংশ হিসেবে আজ ২১ জেলায় তিন দিনের পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নামছে আওয়ামী লীগ। দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তিন দিনব্যাপী সচেতনতামূলক, সতর্কমূলক ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাবেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এখন ঢাকায় ব্যাপক আকারে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার পর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও রোগী আসছে ঢাকায়। আক্রান্তের সংখ্যা এরই মধ্যে ১২ হাজার অতিক্রম করেছে। বেসরকারি তথ্য মতে এ পর্যন্ত এই রোগে মারা গেছে ২৬ জন।

এ মুহূর্তের জন্য পরিচ্ছন্নতা অভিযান কতটা সহায়ক হবে, তা জানা না থাকলেও বলা যায়, প্রকৃত অর্থে যদি বোধোদয় হয়ে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে হয়তো এই আতঙ্কের সঙ্গে আর সাক্ষাৎ নাও হতে পারে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তাকে প্রতীকী হিসেবে ধরা যেতে পারে। প্রকৃত অর্থে তিনি পুরো জাতিকেই এ কাজে সম্পৃক্ত করতে চেয়েছেন। আমরা জানি, মশার উৎস্যভূমি ধংস করার মধ্যেই নিহিত রয়েছে এর সমাধান। আর তাই এ রোগের একমাত্র ভ্যাকসিন ‘পরিচ্ছন্নতা’। সর্বপ্রথম প্রত্যেক নাগরিকের চিন্তায় পরিচ্ছন্নতা আসতে হবে। তারপর সেই পরিচ্ছন্নতাকে ছড়িয়ে দিতে হবে শহরে, গ্রামে, বন্দরে। একমাত্র পরিচ্ছন্নতাই পারে অভিশপ্ত এই রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে।

বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এবং অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকরা বলেছেন, পরিস্থিতি সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের মতে, ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমরা এখন যুদ্ধের মধ্যে আছি। এই যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতে হবে। এ যুদ্ধে সিটি করপোরেশনকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বর্তমানে যেখানে-সেখানে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। সেখানে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণের পরও আমরা সনাতন পদ্ধতিতে পড়ে আছি কেন! এখান থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসাই হবে সংশ্লিষ্ট সবার আশু দায়িত্ব। তারা তাদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবেন এবং প্রত্যেক নাগরিক নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেনÑ এটুকুই প্রত্যাশা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close