রায়হান আহমেদ তপাদার

  ১৭ জুলাই, ২০১৯

বিশ্লেষণ

বাণিজ্যযুদ্ধ এবং বিশ্ব বাস্তবতা

একের পর এক বিনিয়োগের মাধ্যমে চীন যে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সেটা তো নেহাতই পুরোনো খবর। অনেককে তো আবার এমন ষড়যন্ত্র তত্ত্বও আওড়াতে শোনা যায় যে, এভাবে এক দিন নাকি চীন গোটা বিশ্বকেই হাতের মুঠোয় নিয়ে আসার পাঁয়তারা করছে। এক কথায় অতিরঞ্জন থাকতে পারে বটে, তবে চীন যে এশিয়া ও আফ্রিকার মতো অপেক্ষাকৃত দরিদ্র মহাদেশগুলোর অধিকাংশ দেশেই নিজেদের শক্তি-সামর্থ্যরে স্বাক্ষর রেখেছে, সে ব্যাপারে কমবেশি সবাই অবগত। তবে সত্যিকারের বিস্ময়ের জন্ম হয় তখনই, যখন জানা যায় যে ইউরোপের মতো আপাত ধনী মহাদেশের নিয়ন্ত্রণও চীন নেওয়ার চেষ্টা করছে এবং তাদের সেই প্রচেষ্টা খোদ ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও এতটাই দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে যে, তারা একটি নতুন মেকানিজম চালু করেছে, যার মাধ্যমে তাদের অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ জানা যাবে। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই নজরদারি সবার জন্য নয়, প্রধানত চীনা বিনিয়োগের জন্য। নতুন এই ব্যবস্থার ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সংস্থা ইউরোপিয়ান কমিশনের হাতে ক্ষমতা আসবে নিজস্ব মতামত প্রদানের, যখনই কোনো বিদেশি বিনিয়োগের ফলে একাধিক সদস্য রাষ্ট্র কিংবা সমগ্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিস্তৃত প্রকল্পসমূহের (যেমন : গ্যালিলিও স্যাটেলাইট প্রকল্প) নিরাপত্তা বা লোকনীতি হুমকির সম্মুখীন হবে। সেই সূত্র ধরে, গত মার্চে ইউরোপিয়ান কমিশন চীনকে আখ্যায়িত করেছে পদ্ধতিগত প্রতিদ্বন্দ্বী এবং কৌশলগত প্রতিযোগী হিসেবে।

চীন বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ইউরোপের সম্পর্ক তাদের সম্পর্ক কিঞ্চিত তিক্ত হয়ে পড়েছিল। ঢিলের বদলে পাটকেলস্বরূপ চাইনিজ সোলার প্যানেলের ওপর উচ্চ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছিল ইউরোপের নানা দেশ। অভিযোগ ছিল, চীন ইউরোপীয় সোলার প্যানেলের বাজার নষ্ট করতেই তাদের সোলার প্যানেলের দাম ন্যায্যমূল্যের চেয়ে অনেক কমিয়ে রেখেছে। যদিও এসব বিতর্ক কিছুটা দূর হয়েছে। তবে ইইউয়ের কথা মানলে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য চীন এখনো অনেক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে। পরিবহন, টেলিযোগাযোগ ও স্বাস্থ্যসেবাসহ অনেক খাতেই বিদেশি কোম্পানিগুলোর প্রবেশাধিকার নেই। চীন ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয় বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার, যুক্তরাষ্ট্রের পরই যার স্থান। ২০০১ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় যোগদানের পর থেকে ইইউয়ের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে চার গুণ। চীনের সর্ববৃহৎ আমদানির উৎস হচ্ছে ইইউ এবং আমদানির সবচে বড় গন্তব্য। গাড়ি ও বিমান, রাসায়নিক ও বিলাসবহুল সামগ্রীর জন্য চীনের ক্ষুধা মিটাচ্ছে ইউরোপ এবং আমদানি করে প্রধানত টেক্সটাইল ও ইলেকট্রিক সামগ্রী। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ অর্থনীতি বনে যাবে চীন। তখন চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরো যে বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেছেন, তা সহজে থামছে না। দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য সমঝোতা-বিষয়ক আলোচনার মধ্যেই তিনি ২০ হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের চীনা পণ্যে শুল্কের পরিমাণ ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছেন। আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ওয়াশিংটনে আলোচনা চলছিল। কিন্তু এরই মধ্যে দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ ভিন্নমাত্রা পায়। এই ঘোষণার দুই দিন পর ১৩ মে হোয়াইট হাউসে এক প্রশ্নোত্তরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘চীন কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আমেরিকা থেকে অন্যায় অর্থনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে। এতে আমেরিকা প্রচুর পরিমাণে ডলার হারাচ্ছে। প্রতি বছর চীন আমেরিকা থেকে ৪০ থেকে ৬০ হাজার কোটি ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে। আর নয়। যা হয়েছে যথেষ্ট। এখন আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো। এখনই উপযুক্ত সময়। আমি ক্ষমতায় আসার পরপরই চীন থেকে শুল্কারোপের মাধ্যমে কয়েক শ কোটি ডলার পাচ্ছে আমেরিকা। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’ ডোনাল্ড ট্রাম্প আরো বলেন, ‘আগে আমেরিকার কোনো প্রশাসনই চীনের বিরুদ্ধে এমন উদ্যোগ নেয়নি। আমাদের সব বাণিজ্য চুক্তিতে চীন একচেটিয়া সুবিধা নিয়েছে। চীন থেকে শুল্কারোপ করে আনা ডলারের কিছু অংশ আমেরিকার কৃষির উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। পুরোনো দিন চলে গেছে। এখন আমাদের সময়। চীন যদি আমাদের নতুন শুল্ক পছন্দ না করে এবং না দেয়, তা হলে তাতে তাদেরই ক্ষতি হবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত নতুন শুল্কের প্রতিশোধ নিতে চীনও ১৩ মে আমেরিকার পণ্যের ওপর নতুন শুল্কারোপ করে।

কিন্তু বেইজিং বলেছে, তারা আমেরিকার জুতা, কম্পিউটার, হাতব্যাগ, পোশাকসহ সর্বমোট ৬ হাজার কোটি ডলারের পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করছে। এটি কার্যকর হবে ১ জুন থেকে। চীনের এ ঘোষণায় ওই দিনই আমেরিকার শেয়ারবাজারে ধস নামে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক এক দিনেই নেমে গেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। কিন্তু এতেও টলছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমেরিকার অর্থনীতি অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। এ অবস্থায় আমেরিকা সহজেই চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জয়লাভ করবে। বাণিজ্যের ব্যাপক পরিসর সত্ত্বেও পারস্পরিক সরাসরি বিনিয়োগ তুলনামূলকভাবে এখন পর্যন্ত নিম্ন। ইউরোপীয় কমিশনের তথ্যানুসারে, চীনে যে পরিমাণ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ঘটছে, তার মাত্র ২ শতাংশের বেশি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর। অনেক বছর ধরে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো চীনের সস্তা শ্রমের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে সেখানে প্রচুর ফ্যাক্টরি তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে; কিন্তু এখন যেন মনে হয় পরিস্থিতির উল্টো রূপ নিয়েছে। চীনা বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন পূর্ব ইউরোপ ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোর দিকে। ইউরোজোনের ক্রাইসিসের কারণে এই দুই অঞ্চলে মজুরি ব্যয় অনেক নেমে এসেছে। তারা এখন বিদেশি বিনিয়োগের জন্য তৃষ্ণার্তের মতো তাকিয়ে থাকে। চীন এরই মধ্যে এক উচ্চাকাক্সক্ষী পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোতে তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে অন্তত ১০০ বিলিয়ন ডলার। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করাটাই ছিল শি জিনপিংয়ের সফরের মূল উদ্দেশ্য। যে কারণে তার সঙ্গে ছিলেন দুইশরও বেশি ব্যবসায়ী নেতা। পুরোপুরি না হলেও জিনপিংয়ের সফর যে আংশিক সফল, তা নির্দ্বিধায় বলা যায়।

অন্যদিকে ফ্রান্স ও জার্মানি থেকে যথাক্রমে উড়োজাহাজ এবং গাড়ি কেনার জন্য মাল্টি-বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সফরে চীন চাচ্ছিল বিস্তৃত পরিসরের চুক্তিতে পৌঁছাতে। পক্ষান্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন চীনকে প্ররোচিত করছিল বাজার পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দিয়ে আরো বেশি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করার ব্যাপারে। চীনের দেওয়া যৌথ উদ্যোগের প্রস্তাবকে উপেক্ষা করতে চায় ইইউ। কারণ এ ক্ষেত্রে তারা অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়। স্বাধীনভাবে কিছু করতে না পারায় অনেক ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হয়। সম্প্রতি ইইউয়ের একটি জরিপে উঠে এসেছে যৌথভাবে চীনে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া ফার্মগুলো ক্রমাগতই ব্যবসায়ের সুযোগ হারাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীনের মধ্যে প্রতি বছর পণ্য বিনিময় হয় ৫৮৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের প্রতিদিন ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। এসব জানা গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক প্রকাশিত সর্বশেষ উপাত্ত থেকে; কিন্তু ইউরোপ চীন থেকে যে পরিমাণ পণ্য কিনে তার চেয়ে অনেক কম বিক্রি করে সেখানে। গত বছর চীনের সঙ্গে ইউরোপের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১৮০ বিলিয়ন ডলার। এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীরা চীনের বর্ধিষ্ণু মধ্যবিত্ত শ্রেণির সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে সেখানে আরো অনেক বেশি রফতানি করতে চায়। তাদের ২০ মিলিয়ন লোকের বার্ষিক আয় কমপক্ষে ১৩ হাজার ৫০০ ডলার; যা দিয়ে তারা গাড়ির মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভোগ্যপণ্য ও সেবার ব্যয় নির্বাহ করতে পারে। তথ্য : ইউরোপীয় কমিশনের ট্রেড ডিপার্টমেন্ট। সেজন্য চীনের বাজারে ভালোভাবে ঢুকতে ইউরোপ মরিয়া। সে কারণেই প্ররোচিত করছে কম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে।

বিশ্বব্যাপী এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চীনের সরাসরি বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু দুই বছর যাবত তা অনেকটাই কমে এসেছে। অদূর ভবিষ্যতেও চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধি কিছুটা স্থবির থাকার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে হচ্ছে। রোডিয়াম গ্রুপের আগাথা ক্রাজের কার্যকারণ হিসেবে চিহ্নিত করছে চীন সরকারের আরোপিত বিধিনিষেধ, সেই সঙ্গে চীনা বিনিয়োগকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সন্দেহপ্রবণতা। গত মার্চে ইতালি ইউরোপের প্রথম বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে চীনের সিল্করোড কার্যক্রম বা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এ চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির আওতায় আছে বিশালাকার অবকাঠামো নির্মাণ থেকে শুরু করে চীনের সঙ্গে এশিয়া ও ইউরোপের বাজারে বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত রাশিয়াসহ ২০টির বেশি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রকল্পের অংশীদার হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ চীন অর্থায়ন করছে গ্রিসের পিরিউস বন্দর বিস্তৃতকরণে এবং তারা সড়ক ও রেলওয়ে নির্মাণ করছে সার্বিয়া, মন্টিনেগ্রো, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা এবং উত্তর মেসিডোনিয়াতে। এ প্রকল্পটি ভবিষ্যতে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র বলকান এবং দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলোর কাছে আকর্ষণীয় মনে হতে পারে। বিশেষত এ কারণে যে, স্বচ্ছতা ও সঠিক পরিচালনার দাবির কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তহবিল গ্রহণ করা তাদের জন্য বেশ কঠিন একটি ব্যাপার। তবে চীনের কাছ থেকে নেওয়া লোনও যে একেবারে শর্তহীন, তা কিন্তু নয়। বরং চীন লোন প্রদানের সময়ই শর্তজুড়ে দেয়, যেকোনো প্রকল্পের কার্যক্রমে তাদের দেশের কোম্পানিগুলোকে নিয়োগ দেওয়ার। তাছাড়া চীনের কাছ থেকে বিশাল লোন নেওয়ার ফলে এসব দেশের কাঁধে বড় অঙ্কের দেনার বোঝাও চেপে বসতে পারে, যেমনটি ঘটেছে শ্রীলঙ্কা কিংবা আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রে।

পরিশেষে বলা যায়, এই অবস্থা কারো জন্যই ভালো নয় বলে মত দিচ্ছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। এ বিষয়ে সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক জু নিং নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে। পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মান বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে আবশ্যক।’ প্রসঙ্গত, গত বছর ২০ হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের চীনা পণ্যে ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করেছিল আমেরিকা। চলতি বছর এ শুল্কের পরিমাণ বাড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ায় বর্ধিত হারে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তটি নিতে দেরি করে মার্কিন প্রশাসন। আর এখন আলোচনার মাঝামাঝি পর্যায়ে এসে শুল্ক আরোপের ঘোষণাটি এলো। নতুন এ শুল্ক আরোপের কারণে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ যে শিগগিরই শেষ হচ্ছে না, তা এ করকম নিশ্চিত হয়ে গেছে।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close