reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৬ জুন, ২০১৯

বন্দরের আয় বৃদ্ধি দেশের জন্য সুখবর

পত্রপত্রিকার পাতা খুললেই কেবল দুঃসংবাদ। মনে হয়, এ দেশে ভালো কিছু হয় না, হচ্ছে না। কিন্তু বিষয়টি সত্য নয়। আসলে আমরা ভালো কিছুর প্রশংসা করতে যেন ভুলে গেছি কিংবা আমাদের চরিত্রের মাঝে প্রশংসা না করার ম্যানিয়া বাসা বেঁধেছে। একে আমরা একটি রোগ বলতে পারি। যে রোগের নাম হীনম্মন্যতা। এ রোগ যেন সমাজের অলিগলিতে প্রবেশ করেছে। জাতি হিসেবে আমরা আজ এ রোগের শিকার। বলতে দ্বিধা নেই, আমরা সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতে ভুলে গেছি। আমরা মনে করি, এই চিন্তাচেতনা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা দরকার। অন্তত দেশ ও জাতির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে।

চট্টগ্রাম বন্দরের আয় বেড়েছে। দেশের জন্য অবশ্যই এটি একটি সুখবর। এই আয় বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আমদানি-রফতানি এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি। দেশের রাজস্ব আয়ের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম বন্দরে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে নিট আয় দাঁড়িয়েছে ৮৩৫ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৬৩৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরের নিট আয় বেড়েছে ৩২ শতাংশ। তথ্যমতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বন্দরে মোট রাজস্ব আহরণ হয়েছে ২ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা। এখান থেকে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। আর আয়কর বাবদ সরকারকে পরিশোধ করা হয়েছে ৪৩৬ কোটি টাকা। মোট রাজস্ব থেকে এ দুটি হিসাব বাদ দিয়ে বন্দরের নিট আয়ের পরিমাণ ৮৩৫ কোটি টাকা।

গত অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে মোট পণ্য ওঠানামা হয়েছে ৯ কোটি ৩০ লাখ টন। আগের অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৮ কোটি টন। অর্থাৎ পণ্যের ওঠানামা বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ। জাতীয় সেবা খাত হওয়ার পরও বন্দরের এমন আয়কে প্রশংসা না করলেই নয়। চট্টগ্রাম বন্দর অর্থ উপার্জনকারী কোনো প্রতিষ্ঠান না হয়েও জাতীয় অর্থনীতিতে যে অবদান রেখেছে, তাকে সাধুবাদ। আমরা মনে করি, এ সুখবর যেন ফি বছরই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। এখানে না বললেই নয় যে, একটি ক্ষেত্রে নিজেদের সংযত করতে পারলে এ ধরনের অনেক সুখবর এসে আমাদের দরজায় কড়া নাড়তে পারে। আর সে বিষয়টি হলো, ‘দুর্নীতি থেকে নিজেদের সরিয়ে আনা’। এ কাজ খুব একটা কঠিন নয়। সমাজের খুব কম শতাংশ মানুষ দুর্নীতিতে জড়িত। এদেরকে সরিয়ে আনার জন্য যেমন কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, পাশাপাশি কাউন্সিলিংও জরুরি। আর এ কাউন্সিলিং শুরু করতে হবে শিক্ষাব্যবস্থার গোড়া থেকে। আমরা সম্ভবত দেশপ্রেমের বৃত্ত থেকে অনেকটা বেরিয়ে এসে নেই রাজ্যের বাসিন্দা হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছি। জাতীয় পুঁজির কথা না ভেবে লুটেরা পুঁজির মোহে একটি ব্ল্যাকহোলের দিকে এগিয়ে চলেছি। আগামী প্রজন্মকে এ পথ থেকে সরিয়ে আনাই আজ সময়ের দাবি। এ দাবি বিকশিত হবেÑ এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close