reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ৩০ এপ্রিল, ২০১৯

রমজানে বাজার তদারকি জরুরি

রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পায়। আমরা এমন দৃশ্য দেখতেই অভ্যস্ত। কারণ প্রতি রমজানে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে একটি অবৈধ চক্র বরাবরই নিজেদের স্বার্থ হাসিলে তৎপর থাকে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে ওঠে। কিন্তু এবার আমরা তার ব্যতিক্রম লক্ষ করছি। বিশেষ করে প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের মূল্য এখনো সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বিশেষ করে রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে কমেছে ১০ টাকা। শাকসবজি, মাছ-মাংসের দাম এখনো স্থিতিশীল। তবে বাজারভেদে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। ব্যবসায়ীদের মন্তব্য, রোজার কারণে পেঁয়াজের দাম একটু বেড়েছে। সামনে হয়তো আরেকটু বাড়তে পারে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রবণতা তুলনামূলক কম। আর এসবের মূলে রয়েছে সরকারের একটি বিশেষ উদ্যোগ, তা হলো রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সাত সংস্থাকে বাজার তদারকির দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি; যা নিঃসন্দেহে একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), কৃষি বিপণন অধিদফতর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশনের বাজার মনিটরিং সেল ও পুলিশ বাহিনী খুচরা বাজার থেকে শুরু করে দেশের পাইকারি ও মোকামগুলোয় অভিযান চালাবে, যাতে রমজানকে পুঁজি করে কারসাজির মাধ্যমে কেউ অতি মুনাফা লুটতে না পারে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে। আমরা সরকারের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। প্রত্যেক মুসলমানের কাছেই রমজান মাস বিশেষ তাৎপর্য নিয়ে হাজির হয়। অথচ এ মাসেই কিনা বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফা লাভের আশায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। আমরা এমন দৃশ্য আর দেখতে চাই না। বরং আমরা চাই, দীর্ঘদিন ধরে যে অবৈধ চক্রটি এ হীনকর্মের সঙ্গে যুক্ত তাদের মুখোশ উন্মোচিত হোক। এবার তাদের কদর্য চেহারা মানুষ দেখুক।

আমরা জানি, রমজানে সাধারণত যেসব পণ্যের অধিক চাহিদা থাকে, এ বছর সেগুলোর সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। তবে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিমভাবে বিভিন্ন পণ্যের ঘাটতি দেখিয়ে মূল্যবৃদ্ধির অপচেষ্টা চালায়। এ পরিস্থিতিতে বাজার তদারকির কাজটি ফলপ্রসূ করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাত সংস্থার মধ্যে যাতে সমন্বয় থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। কারণ দেশের একশ্রেণির

ব্যবসায়ীর অতি বাণিজ্যিক মানসিকতা রয়েছে। কীভাবে ক্রেতাসাধারণের পকেট কাটা যায়, সেদিকেই তাদের মনোযোগ বেশি। রমজানে তারা এই হীন ও ঘৃণ্য কাজটিই অতিমাত্রায় করে থাকে। এ ক্ষেত্রে সততা ও নৈতিকতার কোনো ধার ধারে না। তাই সংশ্লিষ্ট সবার কাছে

আমাদের প্রত্যাশা- বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে

তা যেন অব্যাহত থাকে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close