reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৬ এপ্রিল, ২০১৯

সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে প্রত্যাশা

সক্ষমতা বাড়ার অর্থ যদি উন্নয়ন হয়, তা হলে যেকোনো ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাশাও বাড়বেÑ এটাই স্বাভাবিক। উন্নয়নকে আরো ব্যাপক অর্থে সভ্যতার চাবিকাঠিও বলা যেতে পারে। উন্নয়ন বাদ দিয়ে সভ্যতার অগ্রগতির কথা চিন্তা করাই যায় না। যেকোনো উন্নয়ন মানুষের প্রত্যাশাকে বাড়িয়ে দেয়। আর সেই প্রত্যাশা সব ক্ষেত্রে মানুষের চিন্তাকে গতিশীল করে। এ গতিশীল চিন্তাই আবার সভ্যতাকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে যায়। এ যেন অনেকটা সাইক্লিক অর্ডারের মতো। অঙ্কশাস্ত্রের এ সূত্র সভ্যতার চলার পথকে করেছে সুগম। অনেকের মতে, এ তত্ত্বের কোনো বিকল্প নেই।

কর্ণফুলীতে জেটি নির্মাণের মাধ্যমে শুরু হওয়া চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে বহু গুণ। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গ্রিন পোর্টের উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। গ্রহণ করা হয়েছে নানামুখী প্রকল্প। আর এ নানামুখী প্রকল্প গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বন্দর ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশাও বেড়েছে। ব্যবহারকারীরা মনে করেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মক্ষমতা বেড়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে যোগ্য নেতৃত্ব, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত এবং পৃষ্ঠপোষকতা। মিডিয়া তথ্য মতে, অতীতে যেখানে প্রতিটি পণ্যবাহী জাহাজকে বহির্নোঙরে দিনের পর দিন অপেক্ষায় থেকে ডেমারেজ গুনতে হয়েছে। এখন আর সে অবস্থা নেই। অতীতে অপেক্ষার গড় যেখানে আট দিন ছিল, বর্তমানে তা দুই দিনে নেমে এসেছে। কনটেইনারের ওঠানামার হারও বেড়েছে অনেক। ফলে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি হয়েছে ৯ শতাংশ। অন্যদিকে, সাধারণ কার্গো ওঠানামায়ও বৃদ্ধির হার আশাব্যঞ্জক।

বন্দর সূত্রমতে, গত বছর ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। চারটি স্বতন্ত্র টার্মিনাল, ১০টি গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি বন্দরের জলসীমা ৫০ নটিক্যাল মাইল বিস্তৃত করার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্যবহারকারীর অনেকেই। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম বন্দর বর্তমানের চেয়ে ১৩ গুণ সম্প্রসারিত হবে। এ ছাড়া নির্মিত হচ্ছে বে-টার্মিনাল, পতেঙ্গায় কনটেইনার টার্মিনাল, লালদিয়া টার্মিনাল ও কর্ণফুলী টার্মিনাল। এ ছাড়া লাইটার পণ্য খালাস করার জন্য আরো ১৫টি লাইটার জেটি নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। নতুন কর্মকান্ডের মধ্যে রয়েছে লাইটারেজ জাহাজ থেকে নদীপথে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য বন্দরের বহির্নোঙরে একটি ফ্লেটিং হারবার নির্মাণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মোটকথা, চট্টগ্রাম বন্দরকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি রিজিওনাল ‘হাবে’ পরিণত করার লক্ষ্যেই সরকারের এ উদ্যোগ। যে উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে দেশের কোনো নাগরিকই কার্পণ্য করবে না। তবে এ কথাও সত্য যে, এক মণ দুধ নষ্ট করার জন্য এক ফোঁটা গো-চনাই যথেষ্ট। আমরা যেন গো-চনায় আক্রান্ত না হই। সতর্কতাই আমাদের রক্ষা করতে পারে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close