রায়হান আহমেদ তপাদার

  ১৯ এপ্রিল, ২০১৯

বিশ্লেষণ

শ্বেতাঙ্গবাদী মনোবৃত্তি এবং বিশ্ব সম্প্রদায়

দক্ষিণ-পশ্চিম সিরিয়ার একটি পাথুরে মালভূমি হচ্ছে এই গোলান। জায়গাটা বেশি বড় নয়, কিন্তু এর কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। গোলান মালভূমি থেকে মাত্র ৪০ মাইল দূরে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক শহর এবং দক্ষিণ সিরিয়ার একটি বড় অংশ স্পষ্ট দেখা যায়। গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে গত সোমবার এক ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। (গালফ নিউজ, বিবিসি ও রয়টার্স)। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল এ জায়গাটি সিরিয়ার কাছ থেকে দখল করে নিয়েছিল। হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ওই ঘোষণায় স্বাক্ষর করছিলেন, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে এটা এক বিরাট পরিবর্তন। কারণ এর আগে দশকের পর দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অন্য বহু দেশ ইসরায়েলের এই গোলান দখলদারিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। ট্রাম্প এসে সেটিকে উল্টে দিলেন। ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে, ইসরায়েলকে আক্রমণ করার জন্য ইরান ঘাঁটি হিসেবে সিরিয়াকে ব্যবহার করছে এবং গোলান হচ্ছে সেই প্রয়াসের ফ্রন্টলাইন। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ীও এটা এক গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। কারণ এ স্বীকৃতির মাধ্যমে মি. ট্রাম্প কার্যত গোলানে ইসরায়েলের দখলদারিকেই অনুমোদন দিয়ে দিলেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, তা হলে এখন রাশিয়ার ক্রাইমিয়া দখলকে ট্রাম্প কোন যুক্তিতে সমালোচনা করবেন? আসলে গোলান মালভূমি একটি বিরোধীয় ভূখন্ড, যার মালিকানা ছিল সিরিয়ার।

কিন্তু ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘটিত ছয় দিনের যুদ্ধের সময়ে ইসরায়েল এ মালভূমিটি দখল করে নিয়েছিল। ১৯৮১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ইসরায়েলি পার্লামেন্ট গোলান মালভূমি-সংক্রান্ত এক আইন প্রণয়নের মাধ্যমে গোলাম মালভূমিকে ইসরায়েলের অখন্ড ভূমি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব ও আধিপত্য ঘোষিত হলেও গোলান মালভূমি-সংক্রান্ত আইনটি জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায় কখনো গ্রহণ করেনি বা স্বীকৃতি দেয়নি। বরং ইসরায়েলি পার্লামেন্টের এ আইনটিকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি বলে ঘোষণা করেছিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। আমেরিকাই প্রথম এবং একমাত্র রাষ্ট্র যেটা ৫২ বছর পরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ৪৯৭ নম্বর প্রস্তাব লঙ্ঘন করে গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিল এবং এর ফলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞজনরা। জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায় সেই ১৯৬৭ সালে গোলানের ওপর ইসরায়েলি দখলদারিত্বের পর থেকে এখন অবধি এ ব্যাপারে একমত যে, গোলান মালভূমিতে ইসরায়েল জোরপূর্বক দখলদারিত্বে আছে এবং এখন অবধি বিরোধীয় গোলান মালভূমিকে সিরিয়ার ভূখন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে ভৌগোলিক এবং ঐতিহাসিকভাবে গোলান মালভূমিতে সিরিয়ার মালিকানা স্বীকৃত। সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত গোলানের আয়তন ১ হাজার ৮০০ স্কয়ার কিলোমিটার বা ৬৯০ বর্গমাইল। স্থলভূমিও সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ৮১৪ মিটার বা ৯ হাজার ২৩২ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন গোলান উপত্যকার চতুঃসীমান্তে রয়েছে, সিরিয়া, ইসরায়েল, লেবানন ও জর্ডান।

কিন্তু সম্পূর্ণ গোলান মালভূমির মালিকানা সিরিয়ার থাকাবস্থায় ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েল গোলানের অংশবিশেষ জোর করে দখল করে নেয়। সিবিএস, অ্যাবস্ট্রাক্ট অব ইসরায়েলের (২০১১) পরিসংখ্যান তথ্যমতে, গোলানের ১ হাজার ১৫০ বর্গকিলোমিটার বা ৪৪০ বর্গমাইল এলাকার ভূমি ইসরায়েলের দখলে রয়েছে। তবে সিরিয়া দাবি করছে, গোলানের মোট ১ হাজার ৮৬০ বর্গকিলোমিটার বা ৭১৪ বর্গমাইল ভূখন্ডের মধ্যে ইসরায়েলের দখলে রয়েছে ১ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার বা ৫৮০ বর্গমাইল ভূমি (দ্য সিরিয়ান গোলান আর্কাইভ, অক্টোবর ২০১০)। অন্যদিকে, দ্য ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকের তথ্যমতে, গোলানের ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার বা ৫০০ বর্গমাইল ভূমিতে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বিদ্যমান রয়েছে। ১৯৬৭ সালে গোলান ভূখন্ড হারানোর পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েলের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধকালে সিরিয়া তার ওই ভূখন্ড উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল। ১৯৭৪ সালে সিরিয়া এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরিত হলে গোলান মালভূমি যে অবস্থায় ছিল, সে অবস্থায়ই থেকে যায়। গোলান উপত্যকায় সিরিয়া-ইসরায়েলের মধ্যে বিভাজন রেখায় জাতিসংঘ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ১৯৭৪ সালের ৩১ মে দ্য সেপারেশন অব ফোর্সেস এগ্রিমেন্টের আওতায় বিরোধীয় ভূখন্ড সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে পৃথক করে দিয়ে সীমান্ত চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল এবং সিরিয়ার মধ্যে চিহ্নিত ৪০০ কিলোমিটার বা ১৫৫ বর্গমাইলের সেপারেশন এলাকার মধ্যবর্তী স্থানকে অসামরিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং বর্ণিত অসামরিক অঞ্চলে জাতিসংঘ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

ভূ-রাজনীতি এবং কৌশলগত কারণে গোলান মালভূমির গুরুত্ব সিরিয়া এবং ইসরায়েল উভয় রাষ্ট্রের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। ইস্তান্বুল ইউসকুদার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী উইকি ডেনিডা অরিবুগান মনে করেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণেই উভয় দেশের কাছে গোলানের গুরুত্ব সর্বাধিক। তিনি আরো বলেন, রাশিয়া এবং আমেরিকা ও ট্রাম্পের জন্য গোলান অন্যতম এক সাংঘর্ষিক স্থল এবং ট্রাম্প ইতোমধ্যে রাশিয়ার ভূ-রাজনীতির স্বার্থের ওপর আঘাত করেছেন। তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্সির সাবেক উপপরিচালক চিবাট ওয়ানস ও প্রফেসর অরিবুগানের অনুরূপ অভিমত দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমি ইস্যুতে রাশিয়া ও ইরানকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে ওয়াশিংটন। বিশেষজ্ঞরা আরো মনে করেন, সিরিয়া বা ইসরায়েল, যে গোলান মালভূমির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে, সে রাষ্ট্রই কৌশলগত দিক দিয়ে সর্বোচ্চ সুবিধা পাবে। অন্যান্য দিক থেকে পশ্চিমমুখী অবস্থানে এর উচ্চতা ১০০ হতে ২০০ মিটার বা ৩৩০ হতে ৬৫০ ফুট পর্যন্ত। ফলে এত দূর উচ্চতায় গিয়ে যুদ্ধ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

অথচ ওখানটা থেকে নিচে নেমে আসাটা বরং সহজ এই ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণেও দুটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য গোলানের গুরুত্ব অধিক। অতীত পর্যালোচনায় দেখা গেছে, যখন গোলানের মালিকানা (১৯৪৭-৬৭) সিরিয়ার হাতে ছিল, তখন এখান থেকে সিরিয়ান সৈন্যরা সহজভাবে ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ পরিচালনা করতে পারত। অথচ সিরিয়া গোলানের পূর্বপ্রান্ত থেকে সহজেই সেনা পরিচালনা করতে পারত। অন্যদিকে, ১৯৬৭ সালে গোলান ইসরায়েলের দখলে যাওয়ার পর থেকে সেটিও সিরিয়ার ন্যায় কৌশলগত সুবিধা ভোগ করছে। ইসরায়েলিদের জন্য এ সীমান্ত নিরাপদ বলে মনে করছে ইসরায়েল। তাই যেকোনোভাবে ইসরায়েল গোলানে নিজেদের দখলদারিত্ব বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। ইসরায়েলের জন্য গোলান গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, দক্ষিণ সিরিয়া ও রাজধানী দামাস্কাস গোলান থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার তথা ৪০ মাইল দূরত্বে অবস্থিত হওয়ায় গোলানের সুউচ্চ চূড়া থেকে সহজেই সিরিয়ার যেকোনো সামরিক পদক্ষেপ দৃশ্যমান হয় বলে ইসরায়েল সামরিক সুবিধা পেয়ে থাকে। সিরিয়ার যেকোনো সামরিক হুমকি মোকাবিলার জন্য গোলান অপরিহার্য বলে মনে করে ইসরায়েল। এ অঞ্চলের পানির অন্যতম উৎস হলো গোলান। জর্ডান নদীর পানির অন্যতম উৎস বৃষ্টির পানি। বৃষ্টির পানিরও উৎস এই গোলান। এ ছাড়া ইসরায়েলের পানি সরবরাহের তৃতীয় উৎস হলো গোলান মালভূমি। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিরোধপূর্ণ ভূখন্ড নিয়ে আমেরিকার বর্তমান ভূমিকা সম্পর্কে বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আচমকাই গোলানের ওপর ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত উসকে দিচ্ছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে ট্রাম্পের ঘোষণাকে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান নীতির পরিবর্তনের একটা আভাস বলে মনে করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশ্লেষকরা ২০১৭ সালে জেরুজালেমে আমেরিকান দূতাবাস স্থানান্তরের প্রসঙ্গটি টেনে এনে বলেছেন, ট্রাম্প মূলত তার খামখেয়ালি নীতির দ্বারা পরিচালিত হয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবজ্ঞা করেই এককভাবে বর্ণিত দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং তা বিশ্বশান্তিকেও ব্যাহত করবে।

অনেক বিশ্লেষক এও মনে করেন, ইসরায়েলের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিজয় নিশ্চিত করার জন্য এবং সে সঙ্গে আমেরিকার ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের বিজয় ধরে রাখার জন্য ট্রাম্প শেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের তুষ্ট করার উদ্দেশ্যেই গোলানে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দিয়েছেন। অন্যদিকে, চীভাটওয়ানস মনে করেছেন ট্রাম্পের গোলান ঘোষণার অর্থ হলো মধ্যপ্রাচ্যে এবং সিরিয়ায় তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং সীমান্ত পরিবর্তন হয়েছে। পূর্ব সীমান্ত থেকে সিরিয়ার পশ্চিম সীমান্তে সংকট সংঘাত পরিবর্তিত হয়েছে মাত্র। অর্থাৎ সিরিয়ার পূর্ব সীমান্তে থাকা আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে এই ফ্রন্টে যুদ্ধবিরতি হলেও ট্রাম্প গোলানকে ইসরায়েলের ভূখন্ডের স্বীকৃতি দিয়ে পশ্চিম সীমান্তে নতুন একটি যুদ্ধফ্রন্ট খুলে দিলেন। আর ওই পশ্চিম ফ্রন্টটা রাশিয়া এবং ইরানের জন্য যেমন, তেমনি সিরিয়ার জন্য অপরিহার্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে যত যুক্তি দেন না কেন, মুসলিম বিশ্ব মনে করছে গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি এবং জেরুজালেমে আমেরিকান দূতাবাস স্থানান্তর-সংক্রান্ত ট্রাম্পের ঘোষণা মুসলিম বিদ্বেষী এবং মুসলিম বিশ্বের স্বার্থের পরিপন্থি। অপরদিকে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন ট্রাম্পÑ এমনটাই মনে করছে মুসলিম সম্প্রদায়। ট্রাম্পের এসব সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যকে আরো বেশি অস্থিতিশীল ও সংঘাতময় করে তুলবে বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সৌদি আরব, কাতার, আবুধাবি, ইরান, ওমান, তুরস্ক, ফিলিস্তিন প্রভৃতি মুসলিম রাষ্ট্রগুলো।

অপরদিকে ফিলিস্তিনি অফিশিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে ভায়োলেন্স উসকে দেবে। আর ফিলিস্তিনি শান্তি আলোচক সায়েব এরাকাত মনে করেন, এই অঞ্চলে নতুন করে রক্তপাত ঝরবে এবং অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে পুরো অঞ্চল, সেটা নিশ্চিত করে বলা যায়। ট্রাম্পের ঘোষণায় ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া আছে এবং ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে বিশ্ব রাজনীতি এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে কী প্রতিক্রিয়া পড়ে, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতেই হবে। তবে এটা বলা যায়, পরিণতি শুভ হবে না। ট্রাম্প শেতাঙ্গবাদী মনোবৃত্তি নিয়ে যে খেলা শুরু করেছেন, তার পরিণতি গোটা বিশ্ব সম্প্রদায়কে ভোগ করতে হবে।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close