reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৮ মার্চ, ২০১৯

বিদেশি বিনিয়োগে চীন শীর্ষে

একটা সময় বাংলাদেশে উল্লেখ করার মতো বিনিয়োগ ছিল না চীনের। চীনারা এ দেশে এসেছে মূলত ঠিকাদার হিসেবে। কিন্তু এখন আর শুধু ঠিকাদার নয়, আসছে প্রত্যক্ষ বড় বিনিয়োগে। রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) বাইরেও নানা খাতে বিনিয়োগ করছে দেশটি। গত পাঁচ অর্থবছরের সমন্বিত পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় উৎসও এখন চীন। তাদের কাছ থেকে বিনিয়োগ এসেছে ৮১০ কোটি ৭৩ লাখ ডলার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনে শ্রমমজুরি বেড়েছে। এ কারণে তারা তাদের অনেক বিনিয়োগ অন্য দেশে সরিয়ে নিচ্ছে। আর বাংলাদেশকেই তারা তাদের বিনিয়োগের উপযুক্ত স্থান বলে বিবেচনায় নিয়েছে। তাদের এই চিন্তাকে বাংলাদেশ সরকার তাদের যোগ্যতার বলে চীনকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে সক্ষম হয়েছে, যা সরকারের একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ডের (বিডা) অন্য একটি তথ্যে বলেছে, গত পাঁচ বছরে চীনের পরই বিনিয়োগে স্থান করে নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির বিনিয়োগ ৭৮৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার। ঠিক এর নিচের অবস্থানটি সৌদি আরবের। বিনিয়েগের পরিমাণ ২৪৬ কোটি ১৯ লাখ ডলার। বিডার তথ্য মতে, গত পাঁচ বছরে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চীন এগিয়ে গেলেও, পিছিয়েছে তিনটি দেশ। এর মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডস। এদের বিনিয়োগ যথাক্রমে ২২৬ কোটি ১০ লাখ ডলার, ১৯৬ কোটি ২০ লাখ এবং ১৭৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এ ছাড়া ১০ শীর্ষ বিনিয়োগকারী দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সপ্তম। দেশটির বিনিয়োগ ১২১ কোটি ৯০ লাখ ডলার। ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ হলেও দেশটির বিনিয়োগ বন্ধুসুলভ নয়। তথ্য মতে, গত পাঁচ অর্থবছরে বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ ৯৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। জাপানের মাত্র ৩৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বিডার দেওয়া তথ্য মতে, ২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত দেশে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ২ হাজার ৮৫৫ কোটি ৫৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। বিনিয়োগকারী দেশের সংখ্যা ৪৫। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, প্রচলিত উৎস হিসেবে চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর ও ভারত থেকে সংগত কারণেই আমাদের বিনিয়োগপ্রাপ্তির প্রত্যাশা অন্য দেশ থেকে আসা বিনিয়োগের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে, তারা যতটুকু বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে, তা আমাদের আকাক্সক্ষাকে পূরণ করতে পারেনি। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

আমরা মনে করি, জাতীয় স্বার্থকে রক্ষা করেই সরকার বিনিয়োগের ছাড়পত্র দেবে এবং আমরা বিশ্বাস করি, সরকার তা করছে। আরো একটি বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা প্রয়োজন, চীন হোক অথবা ভারত- অথবা অন্য যেকোনো দেশÑ সবার জন্য লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা খারাপ নয়। তবে, এ দেশের মানুষ সরকারের ভূমিকাকে আরো ইতিবাচক দেখতে চায় শিল্পায়ন এবং বেকার সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close