নিতাই চন্দ্র্র রায়

  ১৮ মার্চ, ২০১৯

মতামত

প্রয়োজন শক্তিশালী উপজেলা পরিষদ

১৯৮৩ সালে গাজীপুরের পুবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন আহসানউল্লাহ মাস্টার। ১৯৯০ সালে তিনি বিপুল ভোটে গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে গাজীপুর-২ আসন থেকে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। নিজের সততা, দলের আদর্শ ও উদ্দেশ্যের প্রতি অবিচল আস্থা, কঠোর পরিশ্রম এবং জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসাই তাকে স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ের নেতায় উন্নীত করেছিল। আর বাংলার বাঘ শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকও একসময় কলকাতা সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের পরিষদগুলো হলো দেশের জাতীয় পর্যায়ে নেতা তৈরির কারখানা। দেখা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের স্থানীয় নেতারাই একসময় জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং দেশের আইন প্রণয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। সাবেক ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান একসময় ময়মনসিংহ পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। সেখান থেকে তিনি সংসদ সদস্য এবং পরে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হয়েছিলেন নিজ নেতৃত্বের গুণে। এ ধরনের বহু দৃষ্টান্ত আছে বাংলাদেশ ও ভারতের রাজনীতিতে। সেই বিবেচনায় উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক। আজকের উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যানরাই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেবেন। তাদের সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম ও কর্তব্য কর্মের ওপরই নির্ভর করবে দেশের আপামর জনসাধারণের ভাগ্য উন্নয়ন।

ভারতের সংবিধানের ৭৩ ও ৭৪তম সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৯৩ সালের পর থেকে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে তিন স্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা তথা গ্রাম পর্যায়ে গ্রাম পঞ্চয়েত, ব্লক পর্যায়ে পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পর্যায়ে জেলা পরিষদ বাধ্যতামূলকভাবে গঠিত হয়েছে। প্রতিটি স্তরের কার্যপরিধি সুনির্দিষ্ট। গ্রামীণ স্থানীয় সরকারের এ তিন স্তরকে সংবিধানের ভাষায় বলা হয় ‘পঞ্চায়েতী রাজব্যবস্থা’ একটি একক আইন দ্বারা তিনটি স্তরই কাজ করে। তিনটি স্তরেই একই দিনে একই তফসিলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। একসঙ্গে কার্যকাল শুরু ও শেষ হয়। তাতে তিন স্তরের মধ্যে অর্থ ও পরিকল্পনার সহযোগিতা ও সমন্বয় সম্ভব হয়।

কিন্তু বাংলাদেশে আমরা তার বিপরীত চিত্র দেখতে পাই। এখানে গ্রামীণ স্থানীয় সরকারের তিনটি স্তর যথাÑ ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদগুলোর আইন, নির্বাচন পদ্ধতি ও সাংগঠনিক কাঠামো ভিন্ন। এ ছাড়া পরিষদ তিনটিতে নির্বাচনও ভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলররা জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত। উপজেলাতে শুধু চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান নির্বাচন হয় দলীয় ভিত্তিতে আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় নির্দলীয়ভাবে। অন্যদিকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নির্বাচিত হন জেলার অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় সরকার পরিষদের সদস্যদের পরোক্ষ ভোটে। নির্বাচন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে পরিষদগুলোর কার্যক্রম শুরু ও শেষ একই সময়ে হয় না। ফলে প্রতিষ্ঠান তিনটির কাজের মধ্যে দেখা দেয় এক চরম সমন্বয়হীনতা, স্থানীয় সরকারে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে দারুণভাবে ব্যাহত করে।

বর্তমানে বাংলাদেশে ৪৯২টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। ২০১৪ সালে ছয় ধাপে ভোট করেছিল তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বিভাগওয়ারি ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন। এবার আট বিভাগের ভোট হবে চার দিনে। বাকি যেগুলো থাকবে, সেগুলোর ভোট হবে পঞ্চম ধাপে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে গত ১০ মার্চ সারা দেশে ৬৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ ধাপের জন্য নির্বাচন কমিশন ৮৭টি উপজেলায় তফসিল ঘোষণা করে। পরবর্তীতে আদালতের আদেশে ৪টি, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ৩টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়। এ ছাড়া ১১ উপজেলায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হওয়ায় ৬৯টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫৫টি (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১১টি) উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। এ ছাড়া ১০ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, ১৩ উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। দুটি উপজেলার ফল ঘোষণা করা হয়নি এবং ৭ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। প্রথম ধাপের ৭৮ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ১ কোটি ৪২ লাখ ৪৮ হাজার ৮৫০ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৫ হাজার ৮৪৭টি। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ২০৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৮৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ২৪৯ জন। নির্বাচন কমিশনের মতে, প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪৩ দশমিক ৩২ শতাংশ নাগরিক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮-এ প্রতিটি থানাকে উপজেলা এবং প্রজাতন্ত্রের অংশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। অধিকন্তু উপজেলার ভৌগোলিক সীমার অন্তর্ভুক্ত নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্যকে উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা করা হয় এবং জাতীয় সংসদ সদস্যের পরামর্শ গ্রহণ উপজেলা পরিষদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়। উপজেলা পরিষদ আইন-২০০৯- এর বিধান মতে, উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে জাতীয় সংসদ সদস্যের পরামর্শ নিতে হবে এবং সরকারের সঙ্গে উপজেলা পরিষদের যেকোনো যোগাযোগের বিষয় সংসদ সদস্যকে অবহিত করতে হবে। এ আইনে বলা হয়েছে যে, একজন মহিলাসহ দুজন ভাইস চেয়ারম্যান এবং সদস্য হিসেবে উপজেলার অন্তর্ভুক্ত ইউনিয়ন পরিষদসমূহের চেয়ারম্যান, উপজেলার অন্তর্ভুক্ত কোনো পৌরসভা থাকলে তার মেয়র এবং উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদসমূহের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশ নিয়ে উপজেলা পরিষদ গঠিত হবে। আইনে আরো বলা হয়েছে যে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সদস্য অথবা উপজেলা পরিষদ কর্তৃক প্রাধিকারপ্রাপ্ত যেকোনো কর্মকর্তা উপজেলা পরিষদের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার হবেন উপজেলা পরিষদের সচিব। এ আইনে উপজেলা পরিষদের ব্যয় নির্বাহের জন্য কতিপয় বিশেষ ক্ষেত্রে কর আরোপ এবং পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।

দেশের সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে কাঠামো রাষ্ট্রপতি শাসিত কাঠামোর পরিবর্তে সংসদীয় কাঠামোতে রূপান্তর করার জন্য দাবি করছেন দেশের স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা। পশ্চিবঙ্গ ও কেরালায় এ ধরনের কাঠামো রয়েছে। সেখানে পৌরসভা, সিটি করপোরেশনের মেয়র বা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরাসরি নির্বাচিত হন না। মেয়র বা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে হলে তাকে প্রথমে কাউন্সির নির্বাচিত হতে হবে। পরে কাউন্সিলরদের মধ্য হতে তাদের ভোটে মেয়র বা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে হয়। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খানের মৌলিক গণতন্ত্রের সময় ঠিক এই পদ্ধতির প্রচলন ছিল এ দেশে। তখন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারদের ভোটে নির্বাচিত হতেন। ওই সময় টাকার বিনিময়ে মেম্বার কেনাবেচা এবং মেম্বার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটত অহরহ। বাংলাদেশে পুনরায় কাউন্সিলর বেচাকেনার ব্যবসা শুরু হোকÑ এটা কারোরই কাম্য হতে পারে না। আমরা (সিডিএলজি) সেন্টার ফর ডেমোক্রেটিক লোকাল গভার্ন্যান্সের পক্ষ থেকে বারবার বলে আসছে। বাংলাদেশে দুই ধরনের সরকার ব্যবস্থা থাকবে। একটি কেন্দ্রীয় সরকার, অন্যটি স্থানীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বৈদেশিক বাণিজ্যি, পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা প্রভৃতি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রেখে বাকি সকব কাজ স্বশাসিত, স্বনির্ভর ও গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকারের কাছে প্রদান করতে হবে। সিডিএলজির মতে, প্রতিটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকার শব্দটি যোগ করে ইউনিয়নে ইউনিয়ন সরকার, উপজেলায় উপজেলা সরকার, জেলায় জেলা সরকার ও নগরে নগর সরকার নামকরণ করতে হবে। উপজেলা সংসদ, উপজেলা নির্বাহী বিভাগ ও উপজেলা বিচারিক বিভাগের সমন্বয়ে উপজেলা সরকার গঠিত হবে। উপজেলার সব এলাকাকে জনসংখ্যার ভিত্তিতে কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় ভাগ করে প্রতিটি এলাকা হতে একজন পুরুষ এবং একজন নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত করতে হবে জনগণের সরাসরি ভোটে। এজন্য ভোটার কাউন্সিলর পদে দুটি ভোট দেবেন একটি পুরুষ কাউন্সিলরকে অন্যটি নারী কাউন্সিলরকে। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন জনগণের সরাসরি ভোটে। নির্বাচিত নারী ও পুরুষ কাউন্সিলরদের মাধ্যমে উপজেলা সংসদ গঠিত হবে। তারা তাদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি নির্বাচন করবেন। সভাপতির কাজ হবে অনেকটা আমাদের জাতীয় সংসদের স্পিকারের মতো। উপজেলা সংসদ হবে উপজেলার সব বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের কেন্দ্রকিন্দু। পরিষদের বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন হবে উপজেলা সংসদে। উপজেলা সংসদে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো উপজেলা চেয়ারম্যান বাস্তবায়ন করবেন। উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা সরকারের নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব পালন করবেন। তার অধীনেই উপজেলার সব সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করবে এবং সংসদ সদস্যরা উপজেলা পরিষদের কোনো উপদেষ্টা থাকবেন না।

দেশের স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞদের মতে, উপজেলা পরিষদের গঠন ত্রুটিপূর্ণ। কারণ উপজেলা পরিষদ গঠিত হয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রদের নিয়ে। তারা উপজেলা পরিষদের জন্য সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নন। উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা খুবই সীমিত। উপজেলা চেয়ারম্যানদের সামান্য ক্ষমতা থাকলেও ভাইস চেয়ারম্যানদের সুনির্দিষ্ট কোনো কাজ কিংবা দায়িত্ব নেই। সেই সঙ্গে সংসদ সদস্যদের পরামর্শ ছাড়া পরিষদ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (্ইউএনও) পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেওয়ার কথা থাকলেও মূলত তারাই আর্থিক ও প্রশাসনিকসহ অধিকাংশ ক্ষমতা প্রয়োগ করছেন। এর ফলে উপজেলা চেয়ারম্যানরা মূলত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাই উপজেলা পরিষদকে শক্তিশালী না করে কেবল নির্বাচন করলেই চলবে না। নির্বাচন জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে তেমন কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না। তাই শক্তিশালী উপজেলা পরিষদ গড়ে তুলতে সংসদে ‘উপজেলা পরিষদ আইন’ সংশোধন করতে হবে। এটা বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনেরও দাবি ছিল। তারা এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এবং সচিবের কাছেও চিঠি দিয়ে ছিল। এ ছাড়া উপজেলা পর্যায়ে সরকারের ১৭টি বিভাগের ৭০টি কমিটির মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়। এসব কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর উপদেষ্টা সংসদ সদস্যরা। কাজগুলো ইউএনও এবং সংসদ সদস্য মিলে করে ফেলেন। কাজগুলো উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে আসেও না এবং চেয়ারম্যানের প্রয়োজনও পড়ে না। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইন সংশোধন করে উপজেলা পরিষদকে আরো শক্তিশালী, কার্যকর ও জনগণের অংশগ্রহণমূলক করার দাবি দেশের সচেতন নাগরিক ও উপজলা পরিষদ সংশ্লিষ্টদের।

লেখক : সাবেক মহাব্যবস্থাপক (কৃষি)

নর্থবেঙ্গল সুগার মিলস্ লিমিটেড, নাটোর

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close