রায়হান আহমেদ তপাদার

  ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯

বিশ্লেষণ

ট্রাম্পের বিপৎসংকেত

ইদানীং বিতর্কের রাজা বনে যাওয়া ট্রাম্পের পুরো নাম ডোনাল্ড জন ট্রাম্প। রাজনীতিতে তার কোনো অভিজ্ঞতাই নেই। বৈদেশিক নীতিতেও তিনি অদক্ষ। তার পরও যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম টার্মের প্রথম দুই বছরেই তার হোয়াইট হাউস প্রশাসনের প্রায় সব উপদেষ্টা এবং কর্মকর্তাকে একে একে বিদায় নিতে হয়েছে। আগের কেউ নেই তার সঙ্গে এখন। তাতে এক বিরাট প্রশাসনিক শূন্যতা সৃষ্টি হলেও স্বৈরাচারী শাসকের মতো ট্রাম্প একাই সবকিছু চালানোর মতো মানসিকতা দেখাচ্ছেন। বিশ্বের অন্যতম প্রধান পরাশক্তি হয়েও ট্রাম্প বৈশ্বিক সব ব্যবস্থা, বাণিজ্য ও জোট থেকে সরে আসার প্রবণতা দেখিয়েছেন। তা ছাড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে গত দুই বছরে তার পাঁচটি সাক্ষাৎকারের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গত বছর ফিনল্যান্ড ও জার্মানিতে ট্রাম্পের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে গোপন বৈঠক হয়েছে রুশ নেতা ভøাদিমির পুতিনের। সেখানে নোট নেওয়ার জন্য একজন সহকারী ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কূটনীতিক কিংবা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। জার্মানির হামবুর্গের এ সভা দুই ঘণ্টারও বেশি স্থায়ী হয়েছিল বলে বিভিন্ন মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। বর্তমান কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে ৪৩৫ জন সদস্যের মধ্যে ডেমোক্র্যাটদের রয়েছে ২৩৫ জন আর রিপাবলিকানদের রয়েছে ১৯৯ জন। সিনেটে ১০০ সদস্যের মধ্যে রিপাবলিকানদের রয়েছে ৫৩ জন এবং ডেমোক্র্যাটদের রয়েছে ৪৫ জন। এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অভিশংসনের ব্যাপারে রিপাবলিকান সিনেটরদের সমর্থন পাওয়া যাবে না। তবে ডেমোক্র্যাটরা অভিশংসন প্রস্তাব আনতে চান ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।

এসব ঘটনায় আত্মসম্মান ও মর্যাদাবোধসম্পন্ন মার্কিন নাগরিকরা অত্যন্ত অস্বস্তিকর একটি অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। তারা চান ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হোক এবং যুক্তরাষ্ট্রের এ সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদটি থেকে ট্রাম্পকে সরিয়ে দেওয়া হোক। বিরোধী দল হিসেবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিও তা-ই চায়। কিন্তু তার জন্য একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট অত্যন্ত শক্তিশালী। তাকে যেনতেনভাবে সরিয়ে দেওয়া যায় না। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনতে হলে প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকতে হয়। তা ছাড়া উচ্চকক্ষ অর্থাৎ সিনেটেও সে প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন হয়। সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপনের বিষয়টি নিয়ে ডেমোক্র্যাটরা অত্যন্ত সঙ্গপনে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানা গেছে। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ডেমোক্র্যাটরা নিশ্চিত যে রাশিয়ার সঙ্গে মিলে এক গভীর চক্রান্তে সে সাইবার কারসাজি ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকান্ড সম্পন্ন হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে গেলে তার তৎকালীন পরিচালক জেমস কমিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মে ২০১৭ সালে বরখাস্ত করেন। কিন্তু তাতেও বিষয়টি সেখানে থেমে থাকেনি। পরে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ সাবেক এফবিআই-প্রধান এবং বিশিষ্ট আইনজীবী রবার্ট মুলারের নেতৃত্বে এক উচ্চপর্যায়ের কাউন্সিল গঠন করে, যার তদন্ত এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।

এমনকি তদন্তে শুধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচন পরিচালনা অফিস প্রধান পল মানাফোর্ট কিংবা তার ব্যক্তিগত আইনজীবী জেমস কোহেনই নন, ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং জামাতা জেরেড কুশনারকেও জবানবন্দি দিতে হয়েছে। মানাফোর্ট ও কোহেন বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা এবং দোষ স্বীকার করেছেন। এরই মধ্যে নিউইয়র্কের আদালতে তাদের সাজাও হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী চক্রান্ত, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ততা, নারীঘটিত কেলেঙ্কারি ও নির্বাচনী তহবিল নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এগুলোর সঙ্গে পল মানাফোর্ট ও জেমস কোহেন সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে বিভিন্ন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তা ছাড়া নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার কূটনীতিক বা সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ও জামাতা জেরেড কুশনারের বৈঠক নিয়েও তদন্ত হয়েছে। এতে দোষী সাব্যস্ত হলে বিভিন্ন মেয়াদে তাদেরও সাজা হতে পারে। মুলারের বিশেষ কাউন্সিলে যদি ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার কোনো চক্রান্তের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে ট্রাম্পকে আইনগত কারণেই প্রেসিডেন্টের পদ হারাতে হতে পারে। তাতে লন্ডভন্ড হবে সবকিছু। সে কারণেই ট্রাম্প তার সঙ্গে সম্পর্কিত অনেকের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি করার প্রয়াস পেয়েছেন। নিজের স্বার্থ আদায়ের জন্য ঠিক সে সময়টাই বেছে নিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশের দক্ষিণ সীমান্তজুড়ে একটি সুউচ্চ দেয়াল নির্মাণের জন্য কংগ্রেসের কাছে বিশাল অঙ্কের অর্থ চেয়ে বসলেন তিনি।

কিন্তু বর্তমান কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দল প্রেসিডেন্টের সে আবদার মেটাতে নারাজ। কারণ তাদের মতে, প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনা অবাস্তব এবং কোনোমতেই যুক্তিসংগত নয়। তখন সে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ফেডারেল সরকারের অধীনে কর্মরতদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য পাওনা পরিশোধের বিষয়টি। প্রেসিডেন্ট এবং ডেমোক্র্যাটিক দলের বিরোধে সৃষ্ট জটিলতায় যে প্রশাসনিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল, তা জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেই প্রায় এক মাস পূর্ণ হওয়ার পথে ছিল। এ গুরুত্বপূর্ণ সময়টাতে ফেডারেল সরকারের প্রায় আট লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো বেতন-ভাতা পাননি। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটিই হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থা বা শাটডাউন। মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর কংগ্রেসের দ্বিতীয় কক্ষ অর্থাৎ প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া ডেমোক্র্যাটিক দলের সদস্য ও উচ্চকক্ষে নির্বাচিত সিনেট সদস্যরা ১১৬তম কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন নতুন বছরের ৩ জানুয়ারিতে। এরই মধ্যে রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চরমে পৌঁছেছিল। অবশ্য এর সূত্রপাত হয়েছিল ট্রাম্পের বহু বিতর্কিত নির্বাচনের পর থেকেই। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টদের তুলনায় প্রথম দুই বছরের মাথায়ই সবচেয়ে বিতর্কিত এবং অজনপ্রিয় রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দুর্নাম কুড়িয়েছেন। বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা গেছে, তার জনপ্রিয়তার হার প্রথম বছরের পর থেকে চল্লিশের কোটার নিচে নেমে গিয়েছিল। এ অবস্থা পরিবর্তনের আর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহল মনে করে।

এ ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের বিরোধ বেঁধেছে দেশের দক্ষিণে অর্থাৎ মেক্সিকো সীমান্তজুড়ে একটি সুউচ্চ দেয়াল বা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে। এটি ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বিশেষ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি, যা হয়ে উঠেছিল দেশব্যাপী তার শ্বেতাঙ্গ সমর্থকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ট্রাম্পের ধারণা, মেক্সিকো থেকে আসছে অগণিত অবৈধ মানুষ। তাদের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদক চোরাচালানের পরিমাণ। তা ছাড়া সে অবৈধ অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্বেতাঙ্গদের চাকরিবাকরি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নিচ্ছে। সেসব অবৈধ অভিবাসীর কারণে যুক্তরাষ্ট্রে খুন, ধর্ষণ ও মাদক ব্যবসাসহ অসামাজিক কার্যকলাপ সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে ট্রাম্পের অভিযোগ। সুতরাং তাদের রোধ করতে দেশের দক্ষিণের সীমান্তজুড়ে একটি উঁচু ও স্থায়ী দেয়াল নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের সে অভিযোগকে অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করে, সে কথিত দেয়াল নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ দিতে অস্বীকার করেছেন। মূলত তা থেকেই অচলাবস্থার সূচনা। উল্লেখ্য, নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার ষড়যন্ত্র ও ব্যাপক সাইবার কারসাজিতে সবকিছু ওলটপালট হয়ে গিয়েছিল বলে তাদের ধারণা। ডেমোক্র্যাটদের মতে, ট্রাম্প একজন চরিত্রহীন, দুর্নীতিপরায়ণ, মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ও অনুপযুক্ত ব্যক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার কোনো যোগ্যতাই তার নেই। তা ছাড়া শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদ, বর্ণবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও তথাকথিত আমেরিকান জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা হিসেবেও ডেমোক্র্যাটরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেছেন।

এ অবস্থায় সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পই যখন মেক্সিকো সীমান্তজুড়ে ২ হাজার মাইলব্যাপী একটি সুউচ্চ স্টিলের প্রাচীর নির্মাণ করার জন্য ডেমোক্র্যাটদের কাছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ চান, তখন অবস্থা যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী’ কিংবা বর্ণবাদী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে এ ধরনের বিশাল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ দিতে প্রস্তুত নন ডেমোক্র্যাটরা। নির্বাচনে কারচুপির কারণে অভিশংসনে না পড়লে দ্বিতীয় টার্মে নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য সে প্রস্তাবিত দেয়াল নির্মাণ ট্রাম্পের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কারণ তিনি জানেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্বেতাঙ্গ ভোটারের সমর্থন পেলে কেউ তার কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে পারবেন না। আর দক্ষিণ সীমান্তজুড়ে সুউচ্চ প্রাচীর বা দেয়াল নির্মাণ করার ইস্যুটি অতিসাধারণ কিংবা সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন শ্বেতাঙ্গদের কাছে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যাপার। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুদীর্ঘ সীমান্তজুড়ে দেয়াল বা স্টিলের বেড়া নির্মাণ করতে ১৫ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে। কিন্তু তাতে কোনো অর্থবহ ফল পাওয়া যাবে না। উল্লিখিত পরিস্থিতিতে আবার এগিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন। সে কারণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য চলছে জোর প্রস্তুতি। এ ব্যাপারে ডেমোক্র্যাটিক শিবির অত্যন্ত তৎপর হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে কোনো কারণে যদি ট্রাম্প সরে যেতে বাধ্য হন, তা হলে বাকি সময়ের জন্য তার স্থলাভিষিক্ত হবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। ২০২০ সালের নির্বাচনের জন্য ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর অভাব নেই। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের মূল ঘাঁটি কিংবা ভরসার ক্ষেত্র হচ্ছে বিশাল যুক্তরাষ্ট্রের শহরতলি ও গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্বেতাঙ্গ সম্প্রদায়। এদের শিক্ষাদীক্ষা কিংবা বিত্ত-বেসাত তেমন নেই। তবে তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদ এবং আমেরিকাকে এক নম্বরে উন্নত করার সেøাগানে উজ্জীবিত।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close