অলোক আচার্য

  ১৯ জানুয়ারি, ২০১৯

নিবন্ধ

যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা

শিক্ষা মানুষের মধ্যকার অন্তর্নিহিত শক্তি জাগ্রত করার কাজ করলে বাস্তবিক ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ সঠিকভাবে হচ্ছে না। শিক্ষা তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সফল হচ্ছে না। প্রয়োগের উদ্দেশ্য এবং ধরনেই এমনটা হচ্ছে বলাই যায়। ভারতের রাষ্ট্রপতি ও বিখ্যাত পরমাণুবিজ্ঞানী এ পি জে আবদুল কালাম শিক্ষা নিয়ে খুবই চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যত দিন শিক্ষার উদ্দেশ্য শুধু চাকরি পাওয়া হবে, তত দিন সমাজে শুধু চাকররা জন্মাবে, মালিক নয়।’ যে কথার বাস্তবিক প্রমাণ আজকের সমাজে প্রতিফলিত হচ্ছে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমাদের আজকের শিক্ষার উদ্দেশ্য কেবল চাকরি পাওয়া। একটা সার্টিফিকেট আর চাকরি তারপর জীবনে আর কোনো দুশ্চিন্তা থাকে না। আমাদের দেশে চলে আসা শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বহুবার ঘষামাজা করা হয়েছে। কখনো কোনো বিষয় বাতিল করা হয়েছে আবার প্রয়োজনের খাতিরেও কোনো বিষয় বাদ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা প্রসারে ভূমিকা রেখেছিল ব্রিটিশরা। মূলত ব্রিটিশদের তৈরি করা শিক্ষাব্যবস্থাতেই কিছুটা পরিবর্তন করে আজও আমাদের দেশে চলছে। ব্রিটিশ ভারতে আধুনিক একটি শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নের দায়িত্ব পেয়েছিলেন লর্ড মেকলে । লর্ড মেকলের এ উপমহাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন নিয়ে একটি চিন্তাচেতনা ছিল এ রকমÑ তিনি ১৮৩৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ সংসদে তার বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘আমি ভারতের আনাচে-কানাচে ঘুরেও একজন ভিক্ষুক কিংবা একজন চোরের দেখা পাইনি। এ দেশে এতটা ধন-সম্পদ, এ দেশের মানুষের মধ্যে নৈতিক চরিত্রের এতটা উচ্চস্তর দেখেছি যে, এ দেশবাসীর শিক্ষা, তাদের ধর্মবিশ^াস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে পুরোপুরি ভেঙে দিতে না পারলে আমরা কোনো দিনই দেশটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব না।’ এই ভাষণে তিনি প্রস্তাব করেছিলেন, ‘আমরা এসব ঐতিহ্যগত শিক্ষাব্যবস্থা আর সংস্কৃতিকে এমনভাবে বদলে দেব, যেন তারা যা কিছু বিদেশি, যা কিছু ইংলিশ, সেসব কিছুকেই তাদের নিজেদের চেয়ে উৎকৃষ্ট ভাবতে শিখবে। ফলে নিজেদের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে তারা, ঠিক আমরা যেমনটা চাইব, তেমনই একটি আত্মবিস্মৃত পদানত জাতিতে পরিণত হবে।’ ইংরেজদের সেই ইচ্ছার প্রতিফলন আজও আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় দেখতে পাই। আমাদের পোশাকে, আমাদের চালচলনে আমরা সর্বদাই সেই সাহেবদের অনুসরণ করি। নিজেদের সংস্কৃতিকে গুলিয়ে আমরা পর সংস্কৃতির শিক্ষাই লাভ করতে শিখেছি। শিক্ষা প্রদান একটি সেবামূলক কাজ হলেও বিষয়টি আজ রীতিমতো বাণিজ্যিক একটা ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। আমাদের দেশে কয়েক বছর আগে থেকেই শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। ভালো মানের স্কুল, ভালো ফলাফল, নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেটÑ এসব নিয়ে বাণিজ্য হয়। আবার একশ্রেণির দালাল বড় বড় ডিগ্রির সার্টিফিকেট বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে। সেসব ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকে চাকরিও করছেন। শিক্ষা যদি পণ্য না হয় তো আর এত সহজলভ্য পণ্য কী আছে। দেশে কিন্ডারগার্টেনের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। একটা প্রতিষ্ঠানের গা ঘেষে আরেকটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এসব প্রতিষ্ঠান অনেকেই কেবল একটি বিল্ডিং ভাড়া করে গড়ে তুলছেন। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটাই লক্ষ্য ভালো ফল করানো।

পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে দেশে রীতিমতো যুদ্ধ হয়। সেটা হলো জিপিএ ফাইভ নিয়ে। এটা রীতিমতো দেশের অভিভাবকদের কাছে মানসম্মানের ব্যাপার। সন্তান যদি জিপিএ ফাইভ না পায়, তাহলে পাড়া-মহল্লাসুদ্ধ মানুষ গালমন্দ করতে থাকে। এমনকি নিজের মা-বাবার মুখটাও সারাক্ষণ কালো হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে মানে জিপিএ প্রথা চালু হওয়ার পর থেকেই এ রকম একটা ব্যাপার চোখে পড়ছে। আমাদের সময়কালে জিপিএ ছিল না, ছিল ডিভিশন। সেখানে এখনকার মতো গ্রেড পয়েন্ট ছিল না, তবে স্টার মার্কস, লেটার মার্কস, বোর্ড স্ট্যান্ডÑ এসব বড় সব স্থান ছিল। এখন সেসব নেই। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সবকিছু পরিবর্তন হয়। এটাও না হয় হয়েছে। কিন্তু তাই বলে জিপিএ বিক্রি হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। সর্বোচ্চ ফলাফল যদি কেনা সম্ভব হয়, তাহলে সেখানে শিক্ষার মান বলে কিছুই থাকে না। অবশ্য আমাদের দেশে অনেক জিনিসই কিনতে পাওয়া যায়। সার্টিফিকেট কেনাবেচা তো হয়ই। রেজাল্ট, সার্টিফিকেট এমনকি মনুষ্যত্ব পর্যন্ত বিক্রি হয়ে যায় এ দেশে। মনুষ্যত্ব বিক্রি করে দিব্বি চোখ বুজে চাকরি করে যাচ্ছেন সারা জীবন।

কতজন ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে বছরের পর বছর চাকরি করেছেন এ দেশে। এমনকি তারা দেশের বড় বড় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। কিন্তু জিপিএ বিক্রির বিষয়টা অবশ্য নতুন। এখানেও সেই সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটটা দেশের ১২টা বাজিয়ে দিল। শিক্ষা খাতে সিন্ডিকেট, নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারে সিন্ডিকেট, পরিবহনে সিন্ডিকেট। সাধারণ পাবলিকের সিন্ডিকেট কোথায়? আজ পর্যন্ত কতজন টাকা দিয়ে জিপিএ ফাইভ কিনে সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন, তা কি কোনো দিন জানা সম্ভব হবে। আমার মনে হয় তা আর সম্ভব হবে না। প্রশ্ন ফাঁস করে যারা এতকাল ভালো রেজাল্ট করেছেন তারা তো বহাল তবিয়তে দেশের বড় আদৌ দেশের উন্নয়ন চান বলে মনে হয় না। একবার ভেবে দেখলে গা শিউরে ওঠে যে, আজ পর্যন্ত কত ছাত্রছাত্রী প্রশ্ন ফাঁস করে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন, কত ছাত্রছাত্রী জিপিএ ফাইভ কিনে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন, তাদের সে সংখ্যা কত। এ তো গেল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কথা। এরপর চাকরির বাজারে এসেও নানা কারসাজি হয়। এখানেও প্রশ্ন ফাঁসের গোলমাল আছে, আছে টাকা এবং লোকবল খাটিয়ে পরীক্ষার হলেই ম্যানেজ করার কারসাজি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এ রকম কারসাজি করতে গিয়ে অনেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। এর মধ্যে একজন কলেজের অধ্যক্ষও রয়েছেন। তিনি নাকি বহু বছর যাবৎ তার সিন্ডিকেট দিয়ে এসব অপকর্ম করে গেছেন। তার নাকি বড় বড় সব ডিগ্রি আছে। সঙ্গে আছে পিএইচডি! এতসব ডিগ্রি আসলে টাকা কামানোর হাতিয়ার হিসেবে নেওয়া! হায় শিক্ষক! তাহলে আজ পর্যন্ত কতজন মেধাহীন যুবক তার হাত ধরে শিক্ষকতার মতো একটা মহান পেশায় ঢুকে শিক্ষকতার ১২টা বাজাচ্ছেন, তার হিসাব কে মেলাবেন। এভাবেই আমাদের দেশের মেধার মূল্যায়নে ঘাটতি থেকে যায়। মেধাহীনরা ক্ষেত্রবিশেষে মেধাবীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে বাহুবল যা তারা চাকরি পাওয়ার আগেই দেখিয়েছেন বা রাজনৈতিক নেতার একনিষ্ঠ সমর্থক হয়ে দাপটের সঙ্গে চাাকরি করে যাচ্ছেন। একটু চোখ কান খোলা রাখলেই তাদের আলাদা করা সম্ভব। কারণ যারা মামা-কাকার আর টাকার দাপট দেখিয়ে চাকরি পান তারা কিন্তু স্বীকার করেন না যে, তারা মেধার জোরে চাকরি পাননি। তারাও তখন রীতিমতো মেধাবী হয়ে যান। এই হলো অবস্থা। সব সেক্টরে কমবেশি একই অবস্থা বিরাজ করছে। বাঁকা পথে সার্টিফিকেট অর্জন করে যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাথা উঁচু করে চলাফেরা করছেন। তাদের মনের মধ্যে কি কখনো এই পাপের জন্য একটুও অনুশোচনা হয় না। আয়নায় নিজেকে দেখে কি একটু লজ্জাও হয় না। এভাবে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে মেধাবীদের সঙ্গে মেধাবিহীনরা প্রবেশ করেছেন। আর তাই ভালোর সঙ্গে খারাপ মিশে দেশটার ১২টা বাজাচ্ছেন। কারণ যারা এভাবে পেছন দিয়ে উঁচু জায়গায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন তাদের দ্বারা দেশের উন্নয়ন হওয়া সম্ভব নয়। তারা এ দেশে উচ্চশিক্ষা লাভের রাস্তাটা আজও বেশ ব্যয়বহুল।

অথচ সক্রেটিস এরিস্টোল প্লেটোর হাত ধরে যে শুদ্ধ শিক্ষার ইতিহাস বয়ে চলেছে তার বিপরীত ব্যবহারের ফল যে আমাদের এমন বেহাল দশা করে ছাড়বে তা কে জানতেন। যে শিক্ষা মানুষের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে না, তার কোনো প্রয়োজন নেই। আজকাল যেন সেই মূল লক্ষ্য কেবল সার্টিফিকেট। সেটা লেখাপড়া করে হোক বা টাকা দিয়ে কিনে হোক, কার্যসিদ্ধি হলেই হলো। কোনো মতে একটা সার্টিফিকেট পেলেই সব শেষ। তারপর এদিক-সেদিক ধরাধরি করে একটা চাকরি বাগিয়ে সমাজে দিব্বি মেধাবী সেজে ঘুরে বেড়ানো যায়। একসময় দেশে পরীক্ষায় নকল করার একটা প্রবণতা ছিল। তখন পাসের হারও কম ছিল। কিন্তু সবাই নকল করতে পারতেন না। তবে আশ্চর্যের বিষয় কিন্তু সেটা নয়। আশ্চর্যের বিষয় হলোÑ সে সময় পরীক্ষার কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বন করলেও শিক্ষার্থীদের মেধা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতেন না। কে পরীক্ষার কেন্দ্রে নকল করেছেন সে বিষয়টার সাক্ষী কেবল আরেক পরীক্ষার্থী থেকে যেতেন। আজ কেন্দ্রের সামনে লেখা থাকে নকলমুক্ত পরীক্ষা কেন্দ্র। তবে শিক্ষার্থীদের মেধা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় কেন?

অনেক বড় বড় লেখক-কবিদের আর্থিক অবস্থা ভালো থাকার পরও কিন্তু তাদের অভিভাবকরা শুধু বড় চাকরি পাওয়ানোর উদ্দেশ্যে লেখাপড়া করাননি বরং তাদের ইচ্ছানুযায়ী পড়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে আজ সারা বিশ্বে বেশির ভাগ উঁচু দরের মানুষ কিন্তু নিজের ইচ্ছানুযায়ী পড়ালেখা করে তারপর সৃষ্টিশীল কোনো কাজে বিখ্যাত হয়েছেন। শুধু চাকরি-বাকরি করে টাকা কামাতে চাননি। বরং স্বপ্ন দেখেছেন আরো ১০ জনকে চাকরি দেওয়ার। তাই আমাদের অভিভাবকদের বোঝা উচিত যে, সন্তানের মেধা যে পথে বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায় বা পূর্ণতা লাভ করে, সে পথেই তার প্রকৃত মঙ্গল রয়েছে। বাকি পথ কেবল জোর জবরদস্তির। আবার বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করলেও আবিষ্কারক হওয়ার কথা কিন্তু তেমন একটা কেউ বলেন না। কারণ প্রথম প্রথম ওতে শুধুই ধৈর্য লাগে, পয়সা আসে না। কিন্তু অবাক বিষয় হলো, মাঝে মাঝে পত্রিকায় দেশের আনাচে-কানাচে যেসব আশা প্রদানকারী নতুন কিছু আবিষ্কারের খবর চোখে পড়ে তার বেশির ভাগই তেমন উচ্চশিক্ষিত নন। বরং দীর্ঘদিন ওই বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে করতে একান্তই ইচ্ছা থেকে তিনি আবিষ্কারটি করে ফেলেন। এখানে বিজ্ঞান তার কাছে নেশা বা ভালোবাসা। তাই বিষয়ভিত্তিক ভালোবাসা ভিন্ন বিষয়। কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ফেল করলেই সবকিছু শেষ হয়ে যায় না। বরং অন্য কোনো বিষয়ে তার আগ্রহ আছে ধরে নিতে হবে। কোনো নির্দিষ্ট পরীক্ষায় ফেল বা কম মার্ক পেলেই জীবনের সবকিছু শেষ হয়ে যায় না। জীবনের সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ভর করে মনুষ্যত্ব অর্জনে। আর তাই যারা পরীক্ষায় ফেল করেছেন বা আশানুরূপ ফল করতে পারেননি, তারা যেন সব শেষ হয়ে গেছে এটা মনে না করেন। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সঙ্গ দিতে পারেন সন্তানের অভিভাবক। যেসব কলেজে কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেননি, সেসব কলেজ থেকে ভবিষ্যতে মেধাবী কেউ বের হবেন না, সে গ্যারান্টি কেউ দিতে পারেন না। তবে পাস না করার কারণ খতিয়ে দেখা দরকার। কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নিতে হবে। দক্ষ জনসম্পদ তৈরি করতে মেধাবী ছাত্রছাত্রীই প্রয়োজন। পাসের হার বৃদ্ধি করে আপাত শিক্ষার প্রসার হলেও মান না বাড়লে স্থায়ী ক্ষতি হয়। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মারাত্মক। শিক্ষা যদি কোনো ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তুলতে না পারে, তাহলে ধরে নিতে হবে সেই শিক্ষা কেবল বিষ ঢেলেছে অমৃত নয়। আজ যারা বড় বড় পদে থেকেও বড় বড় চুরি করছেন, তারাও তো শিক্ষিত। তাহলে এই অন্যায় তারা করছেন কীভাবে। এটা সম্ভব হচ্ছে কারণ তারা শিক্ষা অর্জন করলেও তা সার্টিফিকেট অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। আর তাই শিক্ষা বিষয়টা আজ এতটা প্রশ্নবিদ্ধ।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close