reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

খেলাপিই বড় সমস্যা

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণই বড় সমস্যা। তাও আবার সরকারি ব্যাংকগুলোয়। বেসরকারি ব্যাংকগুলোয় খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে। এ হার আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য এবং স্বীকৃত। তিনি জানিয়েছেন, একসময় ব্যাংক খাতের পুরোটাই সরকারি থাকলেও এখন তা ব্যক্তিমালিকানায় সম্প্রসারিত হয়েছে। কিছুকাল আগেও সোনালী ব্যাংক এ দেশের বৃহত্তর ব্যাংকের অবস্থানে থাকলেও এখন সেই প্রাচুর্যতে মরিচা পড়েছে। ব্যাংকটি আর সে অবস্থাতে নেই। ব্যাংকের সংখ্যা এখন অনেক। এ জন্য ভবিষ্যতে আর কোনো নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া ঠিক হবে না এবং তিনি এই মতের পক্ষেই কাজ করবেন।

সোনালী ব্যাংক ছাড়া বাকি পাঁচ রাষ্ট্র খাতের ব্যাংককে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাকে তার আকাঙ্খা থেকে সরে আসতে হয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর উন্নতি করতে হলে সর্বাগ্রে সোনালী ব্যাংকের টোটাল ব্যবস্থাপনার উন্নতি করতে হবে। তার মতে, গত ১০ বছরে তার কাছে অপ্রাপ্তি বলে কিছু নেই। তার কাছে প্রাপ্তির খাত এত বড়, অপ্রাপ্তিটা চোখে পড়ার মতো নয়।

হলমার্ক কেলেঙ্কারি ও বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি সম্পর্কে তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য করা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখেন। কিন্তু কেন! অর্থমন্ত্রী একদিকে বলছেন, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণই বড় সমস্যা। পাশাপাশি হলমার্ক ও বেসিক ব্যাংক সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি তা এড়িয়ে গেলেন কেন, এ প্রশ্নের কোনো সমাধান আসেনি। অথবা বলা যায়, অর্থমন্ত্রী তা আলোচনায় আনতে চাননি। কিন্তু এ দেশের সাধারণ মানুষ বিষয়টির স্বচ্ছতা দাবি করে। শুধু এ বিষয়টিই নয়, ব্যাংক খাতের অনেক দুর্নীতির প্রশ্নে জনমনে নানা জিজ্ঞাসা ভিড় করে আছে, যা পরিষ্কার হওয়া বা করা সময়ের দাবি হিসেবেই বিবেচিত হতে পারে। বিশেষ করে খেলাপি ঋণের প্রশ্নে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস খেলাপি ঋণের বদান্যতায় সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্যের মাত্রা জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলেছে। যার ফলে নৈতিকতা ভারসাম্যহীনতার মুখোমুখি হচ্ছে। কলুষিত হচ্ছে সমাজ। ভেঙে পড়ছে নৈতিক বন্ধন। অবশ্য অর্থমন্ত্রী বলেছেন, খেলাপি ঋণ সমস্যার সমাধান সহজ নয়। কিছুটা কঠিনও বটে। তবে এসব সমস্যা সমাধানকল্পে আগামী সরকারের জন্য তিনি একটি প্রতিবেদন রেখে যাচ্ছেন। যেখানে উল্লিখিত থাকবে, ১০ শতাংশ খেলাপি ঋণ হলেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াটাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।

এখানেই আমজনতার প্রশ্ন, অর্থমন্ত্রী এত দীর্ঘ সময় ব্যাংক খাতকে বা সরকারকে তার এই মূল্যবান পরামর্শ দিলেন না কেন! আমরা সব সময়ই দেশের মঙ্গল কামনা করি। সুসংহত ব্যাংকিং খাতকে স্বাগত জানাই। আর সে কারণেই আগামীর দিকে তাকিয়ে আছি। আশা করি, নিকট ভবিষ্যতে অর্থমন্ত্রী তার দেয় প্রতিশ্রুতির কথা মনে রাখবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close