reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২১ নভেম্বর, ২০১৮

লাগেজ কেটে চুরি

চুরি কত প্রকার এবং কী কীÑএ প্রশ্নে এখনো পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ণয় হয়েছে, এমন কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই। তবে পুকুর চুরি, সাগর চুরির কথা আমরা অনেক জেনেছি এবং শুনেছি। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ কেটে চুরির ঘটনাকে কোন পর্যায়ে ফেলা হবে, তা এখনো যানা যায়নি। শুধু এটুকু বলা যায়, এ চুরির পেছনে বাইরের কেউ জড়িত নয়। ঘরের ভেতরেই চোরের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। অনেকটা ইঁদুরের মতো এরা প্রতিদিন সিঁদ কেটে চুরির ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে। আর তাদের অপ্রতিরোধ্য কারুকাজে শাহজালালে যাত্রীদের লাগেজ কেটে বেড়েই চলেছে চুরির ঘটনা। গত শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের ইকে-৫৮২ ফ্লাইটে আসা ২০-এর বেশি লাগেজ কাটার ঘটনা ঘটে। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা বিমানবন্দরে সামগ্রী ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে দৌড়ঝাঁপ করলেও কেউ তা ফেরত পায়নি। ফেরত পাওয়ার বিষয়টি তো হনুজ দুরস্ত। তাদের সাহায্য করার মতো বন্দর কর্তৃপক্ষের কাউকে তারা পাশে পাওয়া তো দূরের কথা, টিকির সাক্ষাৎ পর্যন্ত পায়নি কেউ। লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড শাখায় অভিযোগ নিতেও আসেনি কেউ। পরে মালামাল হারানো যাত্রীরা বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহায়তায় বিমানের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড শাখায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ যথাস্থানে বহাল তবিয়তেই আছে। তবে কর্তৃপক্ষের দেওয়া প্রতিশ্রুতিÑপ্রতিশ্রুতির অতল গহ্বরেই পড়ে আছে।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, কিছুদিন ধরে বিমানবন্দরে আবার লাগেজ কাটার ঘটনা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলেছে। বিমানের কাস্টমার সার্ভিস বিভাগের শীর্ষপদে নতুন এক কর্মকর্তা যোগ দেওয়ার পর থেকে এ চক্রটির তৎপরতা হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। তাদের অভিযোগ, এর আগে এই একই কর্মকর্তা সিকিউরিটি বিভাগের দায়িত্বে থাকার সময় এ রকম লাগেজ কাটাসহ মালামাল চুরির ঘটনা বেড়ে যায়। কিন্তু আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও বিমানবন্দর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের তৎপরতা ও পুরো লাগেজ বেল্ট এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পর এ ঘটনা কিছুটা কমে আসে। কিন্তু এক মাস ধরে লাগেজ কাটার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। বিমান কর্তৃপক্ষের বক্তব্যকে সত্য হিসেবে বিবেচনা করা হলে বলতে হয়, আর্মড পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টসহ সিসি ক্যামেরার কার্যক্রম সচল থাকলে কী করে এই চক্র আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে! প্রশ্ন হচ্ছে, এদের কি এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সম্ভব হলে তাদের বিরুদ্ধে এখনো আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? আর যদি চিহ্নিত করা সম্ভব না হয়, এ দায় বহন করবে কে?

আমরা মনে করি, এখানে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের স্বদিচ্ছার অভাব রয়েছে, যা যাত্রীদের দুর্ভোগের অন্যতম কারণ। এ দুর্ভোগ কমাতে হলে একটি ধবল ধোলাইয়ের প্রয়োজন। যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ ক্ষেত্রে কোন ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবে, তা তাদেরই নির্ধারণ করতে হবে। আমরা অপেক্ষায় থাকলাম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close