এস এম মুকুল

  ১৮ নভেম্বর, ২০১৮

মতামত

সাফল্যের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ

প্রধান খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ। কেবল উৎপাদন বৃদ্ধিই নয়, হেক্টরপ্রতি ধান উৎপাদনের দিক থেকেও অধিকাংশ দেশকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। বাংলার কৃষকরা এখানেই থেমে যাননি। একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল চাষের দিক থেকেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বের জন্য উদাহরণ। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করায় বাংলাদেশের সাফল্যকে বিশ্বের জন্য উদাহরণ হিসেবে প্রচার করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষিজমি কমতে থাকাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। ধান, গম ও ভুট্টা বিশ্বের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে ক্রমেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। সবজি উৎপাদনে তৃতীয় আর মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে। বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও দুর্যোগসহিষ্ণু শস্যের জাত উদ্ভাবনেও শীর্ষে বাংলাদেশের নাম। মুক্তিযুদ্ধের আগে এবং অব্যবহিত পরে প্রায় সাত কোটি মানুষের খাদ্য উৎপাদন করতেই হিমশিম খেতে হয়েছে দেশকে। তখন আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হতো। অথচ এখন দেশের লোকসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি, পাশাপাশি আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। আমন, আউশ ও বোরো ধানের বাম্পার ফলনে বছরে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদনের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। কৃষির এ সাফল্য সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশ্বে গড় উৎপাদনশীলতা প্রায় তিন টন আর বাংলাদেশে তা ৪ দশমিক ১৫ টন। তা ছাড়া ৮৫ লাখ টন আলু উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশ শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায়। সাড়ে ১০ লাখ টন আম উৎপাদনের মাধ্যমে বিশ্বে নবম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তা ছাড়া হেক্টরপ্রতি ভুট্টা উৎপাদনে বৈশ্বিক গড় ৫ দশমিক ১২ টন। বাংলাদেশে এ হার ৬ দশমিক ৯৮ টন। খাদ্যশস্যে প্রতি হেক্টরে ১০ দশমিক ৩৪ টন উৎপাদন করে বাংলাদেশের ওপর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের পরে রয়েছে আর্জেন্টিনা, চীন ও ব্রাজিল। বাংলাদেশ এখন চাল, আলু ও ভুট্টা রফতানি করছে। গত ২৬ ডিসেম্বর শ্রীলংকায় প্রথমবারের মতো চাল রফতানি শুরু করে সরকার। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বহুলাংশে কৃষি খাতের উন্নয়নের ওপর নির্ভরশীল। কৃষির অগ্রগতির সঙ্গে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ অকৃষি খাতের উন্নয়ন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। আশার খবরটি হচ্ছে কৃষিবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও সময়োপযোগী বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিতের পদক্ষেপ গ্রহণ করায় দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে রেকর্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

ফসলের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের সফলতাও বাড়ছে। ১৯৭০ সাল থেকে দেশি জাতকে উন্নত করে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা উচ্চফলনশীল (উফশী) জাত উদ্ভাবনের পথে যাত্রা করেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ৬৭টি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) করেছে ১৪টি ধানের জাত। আর ১১৫টি হাইব্রিড ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে বেসরকারি বীজ কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বারি) ৪১৭টি কমোডিটি ভ্যারাইটি অবমুক্ত করেছে। এর মধ্যে খাদ্যশস্য ৩৫, তেলজাতীয় ফসল ৪৩, ডালজাতীয় ফসল ৩১, টিউবার ৭৮, সবজি ৮৯, ফল ৬৪, ফুল ১৬, মসলা ২৪, ফাইবার ৬ এবং নারকোটিক জাতীয় একটি জাত রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএসআরআই) পর্যন্ত ২৬টি জাত অবমুক্ত করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) বেশ কয়েকটি জাত ছাড়াও এরই মধ্যে পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করেছে। গত পাঁচ বছরে তারা ছয়টি জাত অবমুক্ত করেছে। আরো দুটি জাত অবমুক্তের অপেক্ষায় রয়েছে। এ পর্যন্ত ব্রি ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা সংস্থা-বিনার বিজ্ঞানীরা মোট ১৩টি প্রতিকূল পরিবেশে সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন। এর মধ্যে লবণসহিষ্ণু নয়টি, খরাসহিষ্ণু দুটি ও বন্যাসহিষ্ণু চারটি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন তারা। গত বছর বিশ্বে প্রথমবারের মতো জিঙ্কসমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন করেন বাংলাদেশের কৃষি গবেষকরা। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে এতগুলো প্রতিকূল পরিবেশসহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবনের দিক থেকেও বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষে।

ফসলের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের সফলতাও বাড়ছে। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) বেশ কয়েকটি জাত ছাড়াও এরই মধ্যে পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করেছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) বিজ্ঞানীরা মোট ১৩টি প্রতিকূল পরিবেশে সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন। এর মধ্যে লবণসহিষ্ণু নয়টি, খরাসহিষ্ণু দুটি ও বন্যাসহিষ্ণু চারটি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন তারা। ২০১৩ সালে বিশ্বে প্রথমবারের মতো জিঙ্কসমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন করেন বাংলাদেশের কৃষি গবেষকরা। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে এতগুলো প্রতিকূল পরিবেশসহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবনের দিক থেকেও বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ২০১৩ সালে সর্বপ্রথম জেনেটিকেলি মোডিফাইড ফসল বিটি বেগুনের চারটি জাত অবমুক্ত করে। যার মধ্যে বেগুনের প্রধান শত্রু ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা প্রতিরোধী জীন প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং মাধ্যমে আলুর নাবি ধসা রোগের প্রতিরোধী জিন প্রতিস্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ উইংয়ের মহাপরিচালক আনোয়ার ফারুক বলেন, বর্তমানে দেশে বছরে বীজের চাহিদা সাড়ে চার হাজার টন, যার ৭০ শতাংশই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারজাত করে। এই বীজের ৬০ শতাংশ হাইব্রিড জাতের এবং বাকি ৪০ শতাংশ বারির বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত আধুনিক ও দেশি জাতের।

বিদেশ থেকে আমদানি করা খাদ্যনির্ভরতা কমাতে গত ১০ বছরে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে দেশে প্রায় চাহিদার সমপরিমাণ খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। দেশে মোট খাদ্যের প্রয়োজন চার কোটি টন। বর্তমানে দেশে তিন প্রধান খাদ্য চাল, গম ও ভুট্টাই উৎপাদন হচ্ছে চার কোটি টন। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ১০ বছর আগে প্রধান খাদ্য চাল উৎপাদন হতো ৩১৩ দশমিক ১৭ কোটি টন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রায় ৫০ কোটি টন বেড়ে চালের উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৩৬২ দশমিক ৮০ কোটি টন। দ্বিতীয় প্রধান জনপ্রিয় খাদ্য গমের উৎপাদন ৩ দশমিক শূন্য ৪ লাখ টন থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৫৩ লাখ টন। গত ১০ বছরে দেশে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন বেড়ে ভুট্টার উৎপাদন ৩৮ দশমিক ৯৩ লাখ টন। এ ছাড়া আলু উৎপাদন ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১০৩ দশমিক ১৭ লাখ টন। সবজি ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৯ দশমিক ৫৪ লাখ টনে।

দেশে তরল দুধের উৎপাদন বাড়ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে দেশ তরল দুধে স্বয়ংসম্পূণর্তা অজর্ন করবে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক বলেছেন, সরকারের বাস্তবমুখী কার্যক্রমের ফলে দেশ আজ মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্জন করেছে। ডিম উৎপাদনের স্বয়ংসম্পূর্ণ অজর্নের দ্বারপ্রান্তে। পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আইনানুগ কার্যক্রম শেষে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের ভৌগোলিক নিবন্ধন (জিআই সনদ) প্রদান করে। এর আগে ইলিশের কোনো ব্র্যান্ডিং ও ট্রেডমার্কও ছিল না। বিশ্বে ইলিশের ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশেই সর্বপ্রথম সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আসে শুধু ইলিশ থেকে। দেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান এক শতাংশের অধিক। একক প্রজাতি হিসেবে ইলিশের অবদান সর্বোচ্চ। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, মাত্র ৯ বছরের ব্যবধানে এর উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৬৬ শতাংশ। এ সময় সার্বিক মাছের উৎপাদনও ২৭ লাখ ১ হাজার টন থেকে ৪১ লাখ ৩৪ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে। ২০১৭-১৮ সালে ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। মাছের উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়ে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার টন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কৃষি খাতে আমাদের অকল্পনীয় উন্নতি হয়েছে। কৃষি এখন শুধু ফসলের মাঠে নয়Ñমৎস্য, গবাদি পশু পালন, সবজি ও ফলের বাণিজ্যিক চাষাবাদ থেকে শুরু করে ব্যতিক্রম এবং নতুন নতুন কৃষিজ বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ ও সাফল্য দেশের সামগ্রিক কৃষি উন্নয়নে আশার আলো দেখাচ্ছে। ছাদ কৃষিতেও ব্যাপক সাফল্য, আগ্রহ ও জনপ্রিয়তা আশাব্যঞ্জক। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির আনুপাতিক অবদান কমলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির দ্রুতগতির সঙ্গে সীমিত ও সংকোচিত হয়ে আসা জমি নিয়েও মোট কৃষি উৎ?পাদন বাড়ছে, যা অভাবনীয়। কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি, বীজ, সার এবং যন্ত্রের ব্যবহার উৎ?পাদন বাড়ার পেছনে প্রধান উজ্জীবক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। তার সঙ্গে বিশেষ অবদান রয়েছে আমাদের কৃষিবিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর নিবিষ্ট গবেষণায় উচ্চ ফলনশীল, কম সময়ে ঘরে তোলা যায় এমন জাত ও পরিবেশসহিষ্ণু নতুন জাত উদ্ভাবন। স্বাধীনতার ৪৬ বছরে প্রায় ২০ শতাংশ চাষের জমি কমলেও চালের উৎ?পাদন বেড়েছে চার গুণ। কৃষিভিত্তিক আঞ্চলিক পর্যায়ে শিল্প স্থাপন এবং কৃষকের স্বার্থকে গুরুত্ব দিলে সর্বক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতার জোয়ার সৃষ্টি হবে। যার প্রতিফলন ঘটবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে। আমাদের সামগ্রিক কৃষি অর্থনীতি যে জায়গাটিতে আটকে আছে, তা হলো কৃষিপণ্যের যথাযথ বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে না পারা এবং উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত না করা। বাংলার কৃষকরা স্বভাবজাত প্রকৃতি সংগ্রামী ও নিবিষ্ট প্রকৃতি সাধক। প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করেও টিকে থাকার জন্য কোনো বৈরিতা ছাড়াই প্রকৃতির সঙ্গে সখ্য আর প্রেম-প্রত্যয়ের মহান ব্রত নিয়ে কাজ করে দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করেন। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, সেই কৃষককে প্রকৃত মূল্যায়ন করতে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। একজন অশিক্ষিত কৃষকের উদারতার কাছে সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে শিক্ষিত সমাজ। আমাদের জাতীয় অর্থনীতির চালিকা শক্তি এবং খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদার অন্যতম এই ক্ষেত্রটির প্রতি আমাদের সরকারের আরো উদার দৃষ্টিভঙ্গিতে সহায়তার হাত বাড়ানো খুবই জরুরি।

লেখক : কৃষি ও শিল্প-অর্থনীতি বিশ্লেষক

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close