রায়হান আহমেদ তপাদার

  ১৮ নভেম্বর, ২০১৮

বিশ্লেষণ

গণমাধ্যমের ওপর বৈশ্বিক প্রভাব

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্ট, পাশ্চাত্যের গণমাধ্যমগুলোর অব্যাহত অনুসন্ধিৎসা, তার তুর্কি প্রেয়সীর বুদ্ধিমত্তা এবং তুরস্কের রাজনৈতিক স্বার্থের অভূতপূর্ব সম্মিলনের কারণে হত্যাকা-টি ধামাচাপার সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে যায়। ইয়েমেনে সৌদি নৃশংসতায় হাজার হাজার মৃত্যুর চেয়েও খাসোগির মৃত্যু সৌদি সরকার ও রাষ্ট্রকে অনেক বেশি এবং কঠোরতর সমালোচনার মুখে ফেলেছে। কিন্তু অপরাধের অকাট্য প্রমাণ প্রকাশের পরও খাসোগির ওপর জঙ্গিবাদীর অপবাদ চাপিয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ তার দায় এড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছে। পরিহাসের বিষয় হচ্ছে, বিশ্বের সর্বাধিকসংখ্যক সাংবাদিককে কারাগারে আটকে রাখার অভিযোগ যে নেতার বিরুদ্ধে, সেই প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এ ঘটনায় সাংবাদিকবান্ধব হিসেবে নিজেকে জাহির করার সুযোগ নিচ্ছেন। ছোট-বড়, দেশি-বিদেশি, জাতীয়-বৈশ্বিক সব পরিসরেই সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম এখন এক নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বৈশ্বিক সংবাদ সংস্থা, রয়টার্সের সদর দফতরে গত ১৭ অক্টোবর থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে এই চ্যালেঞ্জের কথা বলতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মনিক ভিলা সংবাদমাধ্যমের প্রতি বৈশ্বিক পরিসরের এই বৈরিতার কিছু বিবরণ তুলে ধরেন। রাষ্ট্র, রাজনীতিক, অপরাধী চক্র, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী, বৃহৎ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানÑসবার তোপ সংবাদমাধ্যমের দিকে তাক করা। ২০০০ সালে সিয়েরা লিওনে নিহত রয়টার্সের যুদ্ধ সাংবাদিক কুর্ট শরকের স্মরণে প্রচলিত সাংবাদিকতার পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠানে মনিক ভিলা যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তুরস্কে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমএসবি), মিয়ানমারের সু চির প্রশাসন, ভারত, ইরাকসহ বিভিন্ন দেশে পরিবেশ কতটা বৈরী হয়ে উঠছে, সেদিকে আলোকপাত করেন।

সব ধরনের অন্যায়-অবিচার-অনিয়মের কথা সাংবাদিকদের কলমে বেরিয়ে আসে বলে তাদের নাম হয়েছিল কলমযোদ্ধা। কেউ কেউ আবার সাহসের জন্য নির্ভীক কলমসৈনিক অভিধাও পেয়েছেন। কিন্তু সেই যুদ্ধ এখন নতুন রূপ পেয়েছে। বিশ্বজুড়েই কর্তৃত্ববাদী ও স্বৈরতন্ত্রী শাসকরা এখন সাংবাদিকতাকে তাদের আক্রমণের এক নম্বর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছেন। স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার বিশ্বের যে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি আইনগত সুরক্ষা পেয়ে থাকে, সেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের গণশত্রু অভিহিত করে চলেছেন। রাজনৈতিক স্বার্থে অসত্য বলায় অভ্যস্ত ট্রাম্প সত্যকে ভুয়া খবর বা ফেক নিউজ আখ্যা দিয়ে সাংবাদিকতা পেশাকে শুধু তার দেশেই যে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন, তা-ও নয়, বাকি বিশ্বেও সাংবাদিকদের জীবন বিপন্ন করে তুলছেন। বিশ্বজুড়ে সম্প্রতি যে হত্যাকা- আলোড়ন তুলেছে, তার শিকার একজন সাংবাদিক জামাল খাসোগি। ভিনদেশের মাটিতে খাসোগি সৌদি রাষ্ট্রের যে নৃশংসতার শিকার হয়েছেন, তার লোমহর্ষক বিবরণ মধ্যযুগীয় বাস্তবতাকেও হার মানায়। বৈশ্বিকভাবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের এ ঘটনাগুলো যেভাবে ঘটছে, তার অন্যতম হচ্ছে নিবর্তনমূলক আইন প্রণয়ন এবং সেগুলোর ব্যাপক নির্বিচার ব্যবহার। এ ছাড়া রয়েছে ক্ষমতাসীনদের পক্ষে ব্যক্তিমালিকানাধীন গণমাধ্যমের প্রতিষ্ঠা এবং তার প্রতি পক্ষপাত। সর্বোপরি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার শীর্ষপর্যায় থেকে বিষোদ্গার। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আচরণই সবচেয়ে বড় প্রমাণ। তার ভাষায়, গণমাধ্যম ফেক নিউজ বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বানানো খবর প্রচার করে এবং গণমাধ্যম হচ্ছে গণশত্রু।

কিন্তু সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানো এবং তাদের শত্রু বলে প্রতিপন্ন করার চেষ্টায় ট্রাম্প একা নন। এই তালিকায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন, তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, ফিলিপাইনের রদ্রিগো দুতার্তে, মিসরের জেনারেল আবদেল ফাতাহ আল-সিসি, চেক প্রজাতন্ত্রের মিলোস জিমান, স্লোভাকিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোর নাম সহজেই অন্তর্ভুক্ত করা যায়। ভারতেও গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের ওপরে বিভিন্নভাবেই চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাদের আক্রমণাত্মক কথাবার্তা এবং আইনি প্রক্রিয়ার ফলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্রমাগতভাবে সংকুচিত হয়েছে। এটি কেবল প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের জন্য প্রযুক্ত তা নয়, তার ব্যাপ্তি বিস্তার লাভ করেছে সামাজিক মাধ্যমেও, সিটিজেন জার্নালিজমের ওপর নেমে এসেছে খক্ষের সঙ্গে যুক্তদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে সরকারের পক্ষ থেকে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যাতে সাংবাদিক ও নাগরিকরা নিজেরাই এক ধরনের সেন্সরশিপ তৈরি করে নেন, এ হচ্ছে এক ধরনের স্বতঃপ্রণোদিত নিয়ন্ত্রণ, যার পেছনে আছে ভীতি। বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমের ওপর যেসব নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা প্রযুক্ত হয়েছেÑসদ্য বাতিলকৃত আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারার উপর্যুপরি প্রয়োগ, নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, প্রস্তাবিত সম্প্রচার আইনÑসেগুলোর কারণ ও উদ্দেশ্য বোঝার জন্য বৈশ্বিক চিত্রটি বিবেচনায় রাখা দরকার কোথায়, কখন এবং কেন এই ধরনের আইনি ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়েছে। এই জন্য ওইসব দেশে যেমন, তেমনি বাংলাদেশেও বিরাজমান শাসনব্যবস্থার দিকেই তাকাতে হবে।

এখানে সম্পাদক বা সাংবাদিকরা যে আইনি ও আইনবহির্ভূতভাবে আক্রান্ত হন এবং তাদের ওপরে, এমনকি শারীরিকভাবে আক্রমণকারীরা যে সম্পূর্ণ দায়মুক্তি ভোগ করেন, তা কোনো অবস্থাতেই জবাবদিহিহীন কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার বাইরে নয়। মনে রাখা দরকার, রাজনৈতিক পরিম-লে ভিন্নমত প্রকাশের জায়গা সীমিত হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অক্ষুণœ থাকবে, এটি একটি অবাস্তব প্রত্যাশামাত্র; পৃথিবীর অন্য কোনো দেশেই তা ঘটেনি। ফলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের বিরাজমান পরিস্থিতি এবং তার কার্যকারণ বুঝতে চান যারা, তাদের অবশ্যই দেশের সার্বিক রাজনীতির দিকেই মনোযোগ দিতে হবে। গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকতা সারা পৃথিবীতেই এখন বিপদের মুখোমুখি। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের জীবনের নিরাপত্তাÑদুই-ই এখন এমন অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে যে তাকে উদ্বেগজনক বললে সামান্যই বলা হয়। এ দুই বিষয় অবশ্যই একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন নয়, কিন্তু একই সঙ্গে এত ব্যাপকভাবে এই দুয়ের অবনতি অভূতপূর্ব। গণমাধ্যমের এই অবস্থায় কারণ এবং প্রতিক্রিয়া কেবল এই পেশার মধ্যে সীমিত আছে তা নয়, বরং তার পরিণতি ক্রমাগতভাবে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে এবং সমাজ ও রাজনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করেছে। গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) ২০১৮ সালের গোড়াতে যে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, তাতে দেখা যায়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিবেচনায় মাত্র ৯ শতাংশ দেশের অবস্থাকে ‘ভালো’ বলে বর্ণনা করা যায়; মোটামুটি ভালো ১৭ শতাংশ দেশে। অর্থাৎ ৭৪ শতাংশ দেশেই অবস্থা খারাপ, এর মধ্যে ১২ শতাংশ দেশের অবস্থা ভয়াবহ।

মানচিত্রে এসব দেশকে কালো রঙে চিত্রিত করে আরএসএফের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, এর আগে এত দেশকে কালো রঙে চিত্রিত করতে হয়নি। দেশে দেশে গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকারের দিকে নজর রাখে ফ্রিডম হাউস। ফ্রিডম হাউসের হিসাব অনুযায়ী, সারা পৃথিবীর মাত্র ১৩ শতাংশ মানুষ ‘মুক্ত গণমাধ্যমের’ দেশে বাস করে আর ৪৫ শতাংশ মানুষের বাস এমন দেশে, যেখানে সংবাদমাধ্যম ‘মুক্ত নয়’। আরএসএফের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ৬৫ জন সাংবাদিক, সংবাদকর্মী ও সিটিজেন জার্নালিস্টের প্রাণহানি ঘটেছে। তাদের মধ্যে ৩৯ জনকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংগঠন আর্টিক্যাল-১৯-এর হিসাব অনুযায়ী, এই বছরের ১ নভেম্বর পর্যন্ত ৮২ জন সাংবাদিক পেশাগত কারণে নিহত হয়েছেন। এসব বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থা বিষয়ে, যা বলা হয়েছে তার দিকে তাকালে যা সহজেই দেখা যায় তা হচ্ছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমাগতভাবে নিম্নমুখী হয়েছে। এর একটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। ২ নভেম্বর ছিল ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে টু অ্যান্ড ইম্পিউনিটি ফর ক্রাইমস অ্যাগেইনস্ট জার্নালিস্ট’Ñঅর্থাৎ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়মুক্তি অবসানের আন্তর্জাতিক দিবস। ২০১৩ সাল থেকে জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রতি বছর দিনটি পালন করা হয়। এই উপলক্ষে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের (সিপিজে) সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে সবচেয়ে খারাপ দেশগুলোর যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের অবস্থান ১২ নম্বরে। গত এক দশকে সংবাদমাধ্যমের ওপরে নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং সাংবাদিকদের ওপরে নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধির কারণ বুঝতে অসুবিধা হয় না, যখন আমরা এটা বিবেচনায় নিই, এ সময়ে পৃথিবীজুড়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাও সংকটে পড়েছে।

ক্রমাগতভাবে দৃশ্যত গণতান্ত্রিক, কিন্তু কার্যত কর্তৃত্ববাদী শাসন বিস্তার লাভ করেছে। অনেক ক্ষেত্রেই নির্বাচনের মাধ্যমেই যারা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন, তারাই এখন সব ধরনের মতপ্রকাশের উপায় বন্ধ করে দিতে চাইছেন। কেন না এসব আধা কর্তৃত্ববাদী শাসকদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে জবাবদিহির পথ রুদ্ধ করে দেওয়া। যেহেতু সংবাদমাধ্যমের কাজ হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের প্রশ্নবিদ্ধ করা, সেহেতু ক্ষমতাসীনরা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে এক ধরনের যুদ্ধ ঘোষণা করেন। সংবাদমাধ্যম আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় এ কারণেও যে গণমাধ্যম হচ্ছে সিভিল সোসাইটির অন্যতম অংশ। রাশিয়া থেকে তুরস্ক, ভিয়েতনাম থেকে বলিভিয়াÑযেখানেই এ ধরনের কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিস্তার ঘটেছে, সেখানেই ক্ষমতাসীন এবং তাদের সমর্থকরা সিভিল সোসাইটির বিরুদ্ধে ক্রমাগতভাবে আক্রমণ চালিয়েছেন। দক্ষিণপন্থি লোকরঞ্জনবাদী বা পপুলিস্ট রাজনীতির উত্থান কেবল গণতন্ত্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেই ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছে তা নয়, সব ধরনের ভিন্নমত প্রকাশের পথকেই সংকুচিত করেছেÑগণমাধ্যমের যে বিপদ বৈশ্বিকভাবে আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, তার উৎস এখানেই। বাংলাদেশে সম্প্রতি পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সম্প্রচারবিষয়ক নীতিমালা ও আইনের বিধানগুলোও স্বাধীন মতপ্রকাশের পথ রুদ্ধ করবেÑএ ধারণাই প্রবল। একমাত্র ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক ছাড়া অন্য প্রায় সবাই এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও বন্ধুদের বিবেচনায় এটি গণতন্ত্রের পরিপন্থী। এসব আইন ও নীতিমালার বিধান কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হলে আশঙ্কা হচ্ছে, সরকারি ভাষ্যে যাকে সত্য বলা হবে সেটাই সত্য, আসল সত্য আর বিবেচ্য হবে না। সত্য আড়াল করতে সবচেয়ে ঘৃণ্য যে আঘাতটি আসে, তা হলো প্রাণঘাতী।

জাতিসংঘের সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে প্রতি চার দিনে একজন সাংবাদিক নিহত হচ্ছেন। ২০০৬ থেকে ২০১৭ সালÑএ ১১ বছরে নিহত হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি সাংবাদিক। জাতিসংঘের হিসাবে চলতি বছরে ইতোমধ্যেই নিহত হয়েছেন ৮৮ জন। এসব পরিসংখ্যান যতটা দুঃখজনক, তার চেয়েও কষ্টের বিষয় হলো বিচারহীনতা।

লেখক : বিশ্লেষক, গবেষক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close