সাধন সরকার

  ১৫ নভেম্বর, ২০১৮

মতামত

সীমাবদ্ধতায় দক্ষ মানবসম্পদ

মানবসম্পদ একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক উপাদান। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সম্পদগুলোর মধ্যে মানবসম্পদ অন্যতম। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত, টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি করার ক্ষেত্রে দক্ষ মানবসম্পদের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। অর্থসম্পদ ও ভৌতসম্পদের প্রাচুর্যতা থাকা সত্ত্বেও যদি মানবসম্পদের দুষ্প্রাপ্য থাকে, তাহলে সে ক্ষেত্রে উন্নয়নের প্রক্রিয়া ও গতি মন্থর হয়ে পড়ে। মানুষ বিভিন্নভাবে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করে মানবসম্পদে পরিণত হয়। দক্ষ মানবসম্পদ একটি দেশের জন্য যেমন উন্নয়নের হাতিয়ার, বিপরীতভাবে অদক্ষ জনসংখ্যাও একটি দেশের জন্য বোঝা হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যার বড় একটা অংশ বেকার। আবার অল্প পড়ালেখা জানা মানুষের বিরাট একটা অংশ সঠিক প্রশিক্ষণ ও কারিগরি শিক্ষার অভাবে গুণগতভাবে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেনি। ৪৭ বছর আগে স্বাধীনতা অর্জনের সময় যে দেশটি যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ^ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে পরিচিত ছিল সে দেশটি এখন উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশে^ রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে! তবে বর্তমান বাস্তবতায় প্রতিযোগিতামূলক বিশে^ টিকে থাকতে হলে কর্মক্ষম প্রতিটি ব্যক্তিকে সম্পদ হয়ে উঠতে হবে। কেননা ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ প্রণীত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনসহ মধ্যম ও উন্নত আয়ের দেশে পরিণত হতে হলে উপযুক্ত মান রক্ষা করে দক্ষতা অর্জন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

সীমাবদ্ধতাগুলো : দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে ব্যাপক জোর দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এই স্বাধীনতা তখনি আমার কাছে প্রকৃত স্বাধীনতা হয়ে উঠবে, যেদিন বাংলার কৃষক-মজুর ও দুঃখী মানুষের সব দুঃখের অবসান হবে।’ বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবু প্রকৃতপক্ষে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে নানাবিধ সমস্যা বিদ্যমান। আমাদের দেশে দারিদ্র্যবিমোচন ও মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক, কারিগরি, কৃষিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আধুনিক শিক্ষাপ্রযুক্তির সার্বিক প্রয়োগ এখনো শুরুর পর্যায়ে রয়েছে! মানবসম্পদের দক্ষতা গঠনে এ দেশে প্রযুক্তিগত ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুবই কম। তবে বর্তমান সময়ে দেশে কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক চাহিদা ও গুরুত্ব রয়েছে। এ দেশে তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কারিগরি শিক্ষার প্রসার খুব কম। কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন করা সময়ের দাবি। শিল্পনির্ভর অর্থনীতি একটি দেশের উন্নতির নিয়ামক। আর এ জন্য দরকার দক্ষ প্রযুক্তিবিদ, দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার ও দক্ষ টেকনিশিয়ান। দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধের পর জাপান ও জার্মানি সময়ের প্রয়োজন বুঝতে পেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আধুনিকীকরণের পাশাপাশি তারা সব প্রযুক্তিবিদ্যায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করে। এসব দেশে কারিগরি শিক্ষার হার এখন প্রায় ৫৬ শতাংশের ওপরে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোয়ও চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কারিগরি শিক্ষার হার দিন দিন বেড়ে চলেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার হার মাত্র ১০ থেকে ১১ শতাংশের মতো। পাশের দেশ ভারতেও কারিগরি শিক্ষার হার ২০ শতাংশের ওপরে। তাই দেশ ও জাতির প্রকৃত কল্যাণের স্বার্থে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। প্রযুক্তিগত ও কারিগরি শিক্ষার প্রতি তরুণসমাজের আগ্রহ থাকলেও সেই আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ব্যাপকভাবে ঘটানো যায়নি। আমরা যে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছি, তাও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মানবসম্পদেরই অবদান। এখন মধ্যম আয়ের দেশ ও উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে এবং প্রযুক্তিনির্ভর বিশে^ টিকে থাকতে হলে দরকার দক্ষ মানবসম্পদ, যা কারিগরি শিক্ষার ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল।

আমাদের দেশের অল্পশিক্ষিত লাখ লাখ মানুষ বিদেশে রয়েছে। তারা দক্ষ না হওয়ার কারণে কর্মক্ষেত্রে কম বেতন পাচ্ছেন। এ ছাড়া দেশে দক্ষ জনশক্তির ব্যাপক অভাব থাকার কারণে বহু প্রতিষ্ঠানে বিদেশি দক্ষ কর্মীরা এসে আমাদের দেশ থেকে লাখ লাখ ডলার কামিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে অন্যতম বাধা শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বাজেটের কম বরাদ্দ থাকা। উন্নত দেশে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে মোট বাজেটের ১০ শতাংশের বেশি বরাদ্দ থাকলেও আমাদের দেশে থাকে মাত্র ৫ থেকে ৬ শতাংশের মতো। এ ছাড়া সময়োপযোগী ও সঠিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রণয়নের অভাব দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে বাধাস্বরূপ। এ দেশের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রায় ১১ ধরনের শিক্ষার ধরন রয়েছে। পৃথিবীর উন্নত দেশে শিক্ষার শুরুর স্তরে এত শিক্ষার ধরন দেখা যায় না। আবার আমাদের দেশে গণহারে গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট বানানো হচ্ছে! উন্নত দেশগুলো এ ধরনের কোনো প্রচলন নেই। চীন একসময় আমাদের মতো দরিদ্র ছিল। চীন অর্থনৈতিকভাবে নিজেকে শক্তিশালী করার জন্য একসময় ১২ বছর ধরে বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল। এ সময়টায় চীন শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের ট্রেড কোর্সে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। ফলে চীনাদের স্বাবলম্বী হতে বেশি সময় লাগেনি। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চীনে এক একটা বাড়ি গড়ে উঠেছিল ছোট ছোট কারখানা হিসেবে। এখন চীনের তৈরি যন্ত্র বা পণ্য বিশ^জুড়ে রাজত্ব করছে! সময়ের প্রয়োজনে ও চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোন খাতে কী পরিমাণ দক্ষ জনগোষ্ঠী দরকার উন্নত দেশগুলো সে হিসাব করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে সে ধরনের জরিপ ও গবেষণা খুব একটা করা হয় না। এতে করে শিক্ষিত তরুণ জনশক্তির অপচয় হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। মালদ্বীপের মতো দেশ, যে দেশে কোনো বিশ^বিদ্যালয় পর্যন্ত নেই! তারপরও প্রাথমিক শিক্ষায় কারিগরি শিক্ষা ও দক্ষতার সমাবেশ ঘটানোর ফলে তাদের ৯২ ভাগের বেশি মানুষ আজ শিক্ষিত ও দক্ষ। দেশের অধিকাংশ তরুণ জনগোষ্ঠী লেখাপড়া শেষ করে দীর্ঘ সময় ধরে সরকারি চাকরির আশায় ধরনা দেন! দক্ষতার অভাবে বেসরকারি খাতে তরুণরা অনেক সময় কাজও পান না। উচ্চশিক্ষায় সনদপ্রাপ্তরা শিল্পের উৎপাদন-বিপণন পর্যায়ে চাকরির চেয়ে টেবিল-চেয়ারে সরকারি বা ব্যাংকে চাকরি করতে বেশি আগ্রহী বেশি। কিন্তু যদি প্রশিক্ষণ বা কারিগরি শিক্ষা থাকত, তাহলে ভালো বেতনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও ভালো চাকরি পাওয়া যেত। কেন না বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দক্ষ জনগোষ্ঠীর বড় অভাব। বিনিয়োগের অভাব দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে অন্যতম বাধা। উদ্যোক্তা হতে হলে এ দেশে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়! উদ্যোক্তা তৈরিতে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য না থাকা দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে বাধা হিসেবে কাজ করে। বিশ^খ্যাত প্রতিষ্ঠান ‘আলী বাবা’ গ্রুপের কর্ণধার জ্যাক মার কথা আমরা জানি। তিনি চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি না পেয়ে নিজেই দক্ষতার মাধ্যমে উদ্যোক্তা হয়েছেন। এ দেশে একজন শিক্ষার্থী পড়ছেন এক বিষয়ে, চাকরি পাচ্ছেন অন্য বিষয়ে। ফলে তার অনার্স- মাস্টার্সের পড়ালেখা তথা গবেষণা কোনো কাজে আসছে না বললেই চলে! এমন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে। বর্তমানে বেশ কয়েকটি উন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। আবার এখন ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের’ কথা বলা হচ্ছে। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে দক্ষ মানবসম্পদ গঠন করা অত্যন্ত জরুরি।

উত্তরণের উপায় : মানসম্মত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সংগত শিক্ষা দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির অন্যতম হাতিয়ার। বাংলাদেশ ২০১২ সালে ডেমোগ্রাফিক বোনাসে (কর্মক্ষম লোকের সংখ্যা আনুপাতিক হারে সবচেয়ে বেশি) প্রবেশ করেছে। জনসংখ্যার সোনালি ধাপ বা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দক্ষ এবং কর্মক্ষম শ্রমশক্তিপ্রাপ্তির সুযোগ করে দিয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে বিশে^র বুকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে দক্ষ মানবসম্পদের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতাসমূহ কাটিয়ে উঠতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত সুপারিসমূহ বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। যেমনÑ১. দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। শিক্ষা হতে হবে বাস্তবমুখী, বিজ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তিনির্ভর। ২. দেশের সব শিশুর জন্য প্রাথমিক স্তরে এক ধরনের শিক্ষা চালু করতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। ৩. উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দূর করতে হবে। তরুণদের বিনিয়োগের জন্য সুযোগ করে দিতে হবে। ৪. সরকারি-বেসরকারিভাবে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ ছাড়া কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ করে তুলতে হবে। ৫. শ্রমবাজারের দিকে লক্ষ রেখে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় সেভাবে গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার। ৬. বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভাষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা কর্মীদের দক্ষতা বাড়লে নিজেরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি দেশও উপকৃত হবে। ৭. দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে দেশের প্রতিটি উপজেলায় সম্ভব হলে প্রতিটি ইউনিয়নে কর্মমুখী ও যুগোপযোগী ইনস্টিটিউট বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। ৮. উচ্চশিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম প্রতিষ্ঠানতে সর্বদা কার্যকর রাখতে হবে। উচ্চশিক্ষায় গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে হবে সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগকে এক-একটি গবেষণাগার হিসেবে তৈরি করতে হবে। ৯. কারিগরি শিক্ষায় তরুণদের আকৃষ্ট করতে হবে। সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। ১০. চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা মাথায় রেখে সেভাবে তরুণদের গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইসিটি খাতের শিক্ষার ওপর ব্যাপক গুরুত্ব দিতে হবে এবং ১১. সর্বোপরি সময়োপযোগী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে জোর দিতে হবে।

এ ছাড়া বয়স্ক নিরক্ষরতা দূরীকরণ, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির উন্নয়ন, আত্ম-উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর জোর দিতে হবে।

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে দেশে উৎপাদনশীল ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে ২০১০ সালের প্রণীত ‘জাতীয় শিক্ষানীতিতে’। এ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের পাশাপাশি কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মানবীয় শক্তি-সামর্থ্যরে সর্বোত্তম বিকাশ ঘটাতে হবে। মানবসম্পদের উন্নয়ন-ই টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি। লেখাপড়া শেষে চাকরিপ্রার্থী হতে হবে, এই শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন করে দক্ষ উদ্যোক্তা তৈরি করে যে শিক্ষাব্যবস্থা সেদিকেই আমাদের অগ্রসর হতে হবে। যে শিক্ষাব্যবস্থা বেকার তৈরি করে, সে শিক্ষাব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে। চীন, ভারত সস্তাশ্রম ও মেধাকাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে পারলে একইভাবে বাংলাদেশও পারবে। মালয়েশিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্সের মতো জনসংখ্যার সোনালি ধাপের বিশাল জনগোষ্ঠীকে কারিগরি প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার মাধ্যমে কাজে লাগাতে পারলে দেশটা অচিরেই বদলে যাবে।

লেখক : প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close