নির্বাচন নিয়ে সংলাপ
পদ্মা ও মেঘনার জল গড়িয়েছে অনেক। আমাদের অর্থনীতিতেও পরিবর্তন এসেছে অনেক। ইতিবাচকের দিকে গড়িয়েছে অর্থনীতি। তুলনামূলক বিচারে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আমরা যে ভালো আছি, সে কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু কিছু বিষয় পুরোপুরি স্বাভাবিক নেই বলে মনে করছেন দেশের মোট জনসমষ্টির একটি অংশ। যার একটি হচ্ছে নির্বাচন। আর সেই নির্বাচন সামনে রেখে আজ থেকে চলেছে একটি আলোচনা বৈঠক। যে বৈঠকের একপাশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা, বিপরীতে প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেওয়ার পর তার পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া এসেছে। সংলাপের দিনক্ষণও ঠিক হয়েছে। আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সংলাপের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের ষোলো কোটি মানুষ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেষ কবে সংলাপ হয়েছেÑএখন তা কারো মনে থাকার কথা নয়। তবে অনেক দিন পর এই সংলাপ রাজনীতির উঠোনে একটা স্বস্তির বাতাস নিয়ে এসেছেÑএ কথা অস্বীকারের উপায় নেই। একই সঙ্গে এ কথাও সত্য, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট নানামুখী বিতর্ক মোকাবিলা করে গত পাঁচ বছর দেশ পরিচালনা করেছে। মোকাবিলা এবং পরিচালনার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেশ-বিদেশে একইভাবে প্রশংসিত হয়েছে। প্রশংসিত হয়েছে উন্নয়নের গতি-প্রকৃতি। আর চলমান সময়ে আবার তিনি আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছেন, ড. কামাল হোসেনের চিঠির জবাবে যখন বললেন, ‘আসুন আলোচনা হবে’।
আজ আলোচনা হবে। দেশের ষোলো কোটি মানুষ অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণের দিকে। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই তার মহানুভবতা দেখিয়েছেন। আজকের আলোচনার টেবিলই তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। আলোচনার ফলাফল কী হবেÑএ মুহূর্তে তা বলা সহজ নয়। তবে এটুকু বলা যায়, যে মহানুভবতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে এসেছেন, একই মহানুভবতা বিপরীত পক্ষ থেকেও যদি পাওয়া যায়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ একটি নান্দনিক সমাধান পেতে পারে। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পথপরিক্রমায় যে অস্বস্তি রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন, তাদের সেই শঙ্কাও তিরোহিত হতে পারে। আমরা সব সময়ই বাংলাদেশের যেকোনো উন্নয়নে, ইতিবাচক ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকি। আমাদের প্রত্যাশা পূরণে আজকের এই বৈঠক ইতিবাচক ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
"