রায়হান আহমেদ তপাদার

  ২০ অক্টোবর, ২০১৮

আন্তর্জাতিক

পররাষ্ট্রনীতি সংকটে বিশ্বে অস্থিরতা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে কোনো সেনা প্রত্যাহার করা হবে না, বরং সেখানে আরো সৈন্য পাঠানো হবে। তার ওই ঘোষণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দেওয়া তার ঘোষণার ঠিক উল্টো। নির্বাচনী প্রচারাভিযানে তিনি বলেছিলেন, তিনি বিজয়ী হলে আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে। ২০১০ সালে ওবামা প্রশাসনের আমলে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করা হলেও এখনো সেখানে কিছু সৈন্য রয়ে গেছে, যারা আফগান সেনা তথা পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণের কাজে নিয়োজিত। এখন ট্রাম্প সেখানে আরো কয়েক হাজার সৈন্য পাঠালে আফগান যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে এবং কোনো ধরনের সমঝোতা সেখানে বিলম্বিত হবে। তার এই সিদ্ধান্ত থেকে মনে হচ্ছে মার্কিন যুদ্ধবাজ জেনারেলরা তার পররাষ্ট্রনীতিতে প্রভাব খাটাচ্ছেন। উত্তর কোরিয়া নিয়ে একটা সংকট এখনো রয়ে গেছে। উত্তর কোরিয়া গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে এমন একটি আশঙ্কা থাকলেও আপাতত সেই হামলা হচ্ছে না। রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক যে খুব ভালো, তা বলা যাবে না। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জন্য ভবিষ্যতে যে কয়টি বিষয় বেশি গুরুত্ব পাবে, তার অন্যতম হচ্ছে দক্ষিণ চীন সাগর। দক্ষিণ চীন সাগরের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব অনেক। যুক্তরাষ্ট্রের নৌ স্ট্র্যাটেজিস্টরা দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের কর্তৃত্ব ও প্রভাব বজায় রাখতে চাইছে এবং এতে করে চীনের সঙ্গে যেকোনো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র। অনেক কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ রয়েছে এ অঞ্চলের ব্যাপারে।

শুধু স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্বই নয়, বরং দক্ষিণ চীন সাগরে রয়েছে বিপুল জ্বালানি সম্পদ, যে সম্পদের ব্যাপারে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আগ্রহ রয়েছে। এক্সন মোবিলের সাবেক প্রধান রেক্স টিলারসন এখন ট্রাম্প প্রশাসনে যুক্তরাষ্ট্রের নয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বহুজাতিক তেল কোম্পানির প্রধানকে যে কেন ট্রাম্প তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন, এখন এটা বুঝতে কারো বাকি নেই। পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এখন ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি প্রাধান্য পাচ্ছে বেশি। দক্ষিণ চীন সাগরে তেল ও গ্যাসের যে বিপুল রিজার্ভ রয়েছে, তার হিসাব অনেকটা এ রকমÑতেল ১১ বিলিয়ন ব্যারেল, গ্যাস ১৯০ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট। এখন ব্যবসায়ী ও সাবেক এক্সন মোবিল প্রধান তার আগ্রহ অস্বীকার করবেন কীভাবে? ওবামা প্রশাসন এটা অনুধাবন করেই ভিয়েতনামের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছিল। ওবামা ভিয়েতনামের সঙ্গে টিপিপি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন; যা ট্রাম্প বাতিল করেছেন এরই মধ্যে। এই তেল ও গ্যাস উত্তোলনের সঙ্গে ভারতও জড়িত। ২০১৬ সালে ভারতের চারটি যুদ্ধজাহাজ এ অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছিল। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের যে স্ট্র্যাটেজি, সেই স্ট্র্যাটেজির অংশীদার ভারতও। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি সাধারণত ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান প্রশাসনের অধীন খুব একটা বদলায় বলে লক্ষ্য করা যায় না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তীকালে পৃথিবীতে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বাড়ার সঙ্গে মিল রেখে এ দুটি দল তাদের পররাষ্ট্রনীতি তৈরি করে এসেছে। মার্কিন নেতৃত্বে পুঁজিবাদী বিশ্বের স্বার্থের ওপর কোনো হুমকি মেনে না নেওয়ার নীতির ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি এ সময় থেকে রূপায়িত হয়ে এসেছে।

কিন্তু তাদের আদর্শিক প্রতিপক্ষ সোভিয়েত ইউনিয়ন-গণচীনকে প্রতিহত করা এবং ‘মুক্ত দুনিয়া’কে রক্ষা করা এ বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গির মূল উপাদান ছিল। এ জন্য সব ধরনের রাজনৈতিক ও সামরিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। স্নায়ুযুদ্ধের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মোটামুটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি এ ছকে প্রয়োগ করা হয়েছে। সোভিয়েত ব্যবস্থার ভাঙন এবং দুনিয়াজুড়ে সমাজতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণা দুর্বলতার প্রেক্ষাপটে সনাতনী চিন্তার বদলে ‘নতুন বিশ্বব্যবস্থা’ চালু করার কথা মার্কিন প্রশাসন জোরেশোরে বলতে থাকে। তবে এ বিশ্বব্যবস্থা মূলগতভাবে ভিন্ন বলে চিহ্নিত করা যাবে না। বরং নতুন বিশ্বব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব স্বার্থ রক্ষা আগের মতো গুরুত্ব পেয়েছে। তবে সমাজতান্ত্রিক হুমকির স্থলে তাদের উপলব্ধিতে ভিন্ন জায়গা থেকে হুমকি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করা হতে থাকে। নতুন হুমকির তালিকায় সাদ্দামের ইরাক, লিবিয়ার গাদ্দাফি, ইসলামী বিপ্লবী ইরান ও উত্তর কোরিয়া স্থান পায়। প্রেসিডেন্ট বুশ জুনিয়রের ভাষায় ‘শয়তানের অক্ষ’ ইরাক, ইরান ও উত্তর কোরিয়াকে প্রতিহত করা তার প্রশাসনের জন্য ফরজ হয়ে পড়ে। তার জন্য তখন ‘রেজিম চেঞ্জ’ ও ‘প্রিএমটিভ স্ট্রাইক’ নীতি হিসেবে বাঞ্ছনীয় হয়ে ওঠে। পাশাপাশি অরাষ্ট্রীয় হুমকি ‘ইসলামী সন্ত্রাসবাদ’ মোকাবিলা করা রাষ্ট্রীয় হুমকির মতোই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে। ওসামা বিন লাদেন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কাছে গুরুত্ব পেতে থাকে তার ক্রমান্বয়ে প্রভাব বিস্তারের কারণে। পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য হিসেবে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের বস্তুত পার্থক্য না থাকলেও কূটনৈতিক কৌশলের বেলায় ভিন্নতা দৃশ্যমান হয়। রিপাবলিকান প্রশাসন ডেমোক্র্যাট প্রশাসনের তুলনায় রক্ষণশীল আচরণ করে।

এ ছাড়া প্যারিস চুক্তি ও ইরান পরমাণু চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ তার ইউরোপীয় মিত্রদের কাছে অনুমোদন না পাওয়ায় তাদের সঙ্গে সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি হতে দেখা গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের চাকা ঘুরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এক দীর্ঘ ও জটিল কূটনৈতিক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রও অংশীদার ছিল। প্যারিস চুক্তি পরিত্যাগ করার ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলার কাজটি কঠিন হয়ে পড়ল। অন্যদিকে ইরান পরমাণু চুক্তিও দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার ফল হিসেবে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতার জন্য এ চুক্তির ইতিবাচক প্রভাব চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ইউরোপীয় দেশগুলো, চীন ও রাশিয়ার কাছে বোধগম্য ছিল। নির্বাচিত হয়ে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ হুমকি ও দুর্গতির জন্য অভিবাসীদের দায়ী করে এসেছেন। আগের প্রশাসনগুলোর নীতি থেকে সরে এসে অভিবাসন প্রশ্নে তিনি কঠোরতা দেখাতে শুরু করেছেন। এ সম্পর্কিত বক্তব্যে তার তীব্র জাতিবিদ্বেষ ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশের অভ্যন্তর ও বহির্বিশ্বে সমালোচনা সৃষ্টি করেছিলেন। এ ইস্যুতে আদালত তাকে বাধা দেওয়ারও চেষ্টা করেছে। অভিবাসন প্রশ্নে তার অবস্থান এসব মুসলিম প্রধান দেশের মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে, বলাই বাহুল্য। ট্রাম্প পররাষ্ট্রনীতিতে যেসব সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, সেসব অত্যন্ত রক্ষণশীল বলা যাবে, যা আগের প্রশাসনের মেয়াদকালে ছিল না। অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে তার সিদ্ধান্ত সমর্থকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেলেও বিরোধীরা তীব্র সমালোচনা করেছে। পররাষ্ট্রনীতি ও অভ্যন্তরীণ নীতিতে ট্রাম্পের গৃহীত অনেক পদক্ষেপ বিতর্ক সৃষ্টি করায় তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।

তাছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরের স্ট্র্যাটেজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। আগামী দিনে এই অঞ্চলের রাজনীতির উত্থান-পতন বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে। প্রায় ৩৫ লাখ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে চীন সাগরের বিস্তৃতি। এই অঞ্চলটি চীনের মূল ভূখ-ের দক্ষিণে, ফিলিপাইনের পশ্চিমে, মালয়েশিয়ার উত্তরে, ব্রুনাইয়ের উত্তর-পশ্চিম, ইন্দোনেশিয়ার উত্তরে এবং ভিয়েতনামের পূর্বে অবস্থিত। এ অঞ্চলের গুরুত্ব বেড়েছে এ কারণে যে দক্ষিণ চীন সাগরে প্রায় ১১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রয়েছে। এবং গ্যাস রয়েছে ১৯০ দশমিক ২০ ট্রিলিয়ন ঘনমিটার। চীনের আগ্রহ সে কারণেই দিনে দিনে বেড়েছে। চীনের প্রচুর জ্বালানি ক্ষু ধা রয়েছে। চীনের অর্থনীতিকে সঠিক পথে চালাতে প্রচুর জ্বালানি দরকার। এ ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে যদি চীনের কর্তৃত্ব থাকে, তাহলে চীন তার জ্বালানি চাহিদা এখান থেকে মেটাতে পারবে। এই সমুদ্রপথটি পৃথিবীর অন্যতম ব্যস্ত সমুদ্রপথ। এ কারণে এর গুরুত্ব আরো বেড়েছে। পৃথিবীর সমুদ্রপথে যত বাণিজ্য হয়, তার এক-তৃতীয়াংশ হয় এই পথে। চীন, জাপান, কোরিয়া দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ায় যাওয়ার বাণিজ্যিক রুট হিসেবে এ পথকে ব্যবহার করে। দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত স্প্রাটলি, প্যারাসেল ও টনকিন উপসাগরে অবস্থিত কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে আশপাশের দেশ, বিশেষ করে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, তাইওয়ান ও মালয়েশিয়ার সঙ্গেই চীনের বিরোধ। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই অঞ্চলের, অর্থাৎ দক্ষিণ চীন সাগরের গুরুত্ব বেড়েছে একাধিক কারণে।

নীতিগতভাবে তাতে সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। এতে অত্যাধুনিক মিসাইল টেকনোলজি পাবে ভারত। ভারত যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনতে চায় এফ-১৬ ও এফ-১৮ জঙ্গি বিমান। এটা স্পষ্ট, যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক এখন অনেক উষ্ণ। এশিয়া-প্যাসিফিক ও দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের যে স্ট্র্যাটেজি, তাতে স্পষ্টতই ভারত পালন করতে যাচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। চীনের বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তর অ্যালায়েন্স গড়ে তুলতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত কিংবা মোদির ওয়াশিংটন সফর মূলত সবই এক সূত্রে গাঁথা। তাই আগামী দিনগুলোয় এশিয়া-প্যাসিফিক ও দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে তৈরি হবে যুদ্ধের একটি নয়া আবহ। স্নায়ুযুদ্ধের নয়া এক রূপ আমরা প্রত্যক্ষ করব এ অঞ্চলে। ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির সমর্থক দেশগুলোর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব ও মিসর উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের চিরাচরিত মিত্র হিসেবে তার সমর্থক। এ দেশ তিনটি ইরানের প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেয়ে থাকে। অন্যদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্র এতদিন যে অবস্থান নিয়েছিল, ট্রাম্পের সময় তাও পরিবর্তিত হয়েছে। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার প্রতি সমর্থন দেখাতে দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার কাজটি ফিলিস্তিনিরা ভালোভাবে নেয়নি। ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সম্প্রতি ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেছেন তার জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করার জন্য। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র আর দ্বিরাষ্ট্র সমাধান এগিয়ে নিতে চায় না। ফিলিস্তিনিদের শাস্তি দেওয়ার জন্য জাতিসংঘকে তহবিল বন্ধ করে দিয়ে ট্রাম্প অভূতপূর্ব এক সিদ্ধান্ত নিলেন, যা সমস্যার জটিলতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।

লেখক : গবেষক ও বিশ্লেষক

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close