reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৩ অক্টোবর, ২০১৮

নিয়োগ বিধিমালায় পরিবর্তন

প্রাথমিক শিক্ষার নীতিমালায় পরিবর্তন আসছে। খবরটি নিশ্চয়ই আশাপ্রদ। প্রাথমিক নারী শিক্ষকদের যোগ্যতা করা হচ্ছে স্নাতক। ২০১৩ সালের বিধিমালা অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীর ন্যূনতম যোগ্যতা ছিল স্নাতক বা সমমান। আর নারীর ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা রাখা হয়েছিল এইচএসসি অথবা সমমান। নতুন বিধিমালায় নারী ও পুরুষ উভয় ক্ষেত্রেই ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শিক্ষক হওয়া বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু এবার তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া বিধিমালা ২০১৩ অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হতো সরাসরি এবং প্রধান শিক্ষক পদে ৩৫ শতাংশ সরাসরি ও বাকি ৬৫ শতাংশ পদ সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে। কিন্তু ২০১৪ সালে প্রধান শিক্ষকদের পদ তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করায় প্রধান শিক্ষকের ৩৫ শতাংশ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে পিএসসির মাধ্যমে। আর এ কারণে ২০১৩ সালের বিধিমালা সংশোধন করে নতুন বিধিমালায় বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরিপ ২০১৭ তথ্য মতে, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট সংখ্যা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯০১টি। এসব স্কুলে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন ৫ লাখ ৫৭ হাজার, যার মাঝে নারী শিক্ষক ৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৬৩ জন।

ব্যাপক কোনো পরিবর্তন নয়। তার পরও স্বীকার করতে হয়, পরিবর্তনটি ইতিবাচক। কেননা একজন মানুষকে একটি বৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করে বলা যায়, পরিচর্যার বিষয়ে এ দুয়ের মাঝে কোনো অমিল খুঁজে পাওয়া যায় না। বৃক্ষকে পরিমার্জিত করে গড়ে তোলার জন্য যে ব্যবস্থাপনার জোগান দেওয়া প্রয়োজন, একজন মানুষের ক্ষেত্রেও তদ্রুপ জোগান নিশ্চিত করাও বাধ্যতামূলক। অন্যথায় বৃক্ষ অথবা মানবের পূর্ণাঙ্গরূপে আত্মপ্রকাশ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। মাঝপথে অথবা শৈশবেই মুখ থুবড়ে পড়তে হয়। প্রাথমিক শিক্ষায় যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তা পর্যাপ্ত না হলেও এ যাত্রাকে শুভ বললে বেশি বলা হবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। আমরা জানি, আজকের শিশুই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। দেশ ও জাতিকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে এই শিশুদের পরিচর্যার বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হওয়া আজ সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। এই শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে পরিমার্জন ও পরিবর্তনকে আরো ইতিবাচক প্রবাহে গতিশীল করার লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলা যায়, শিক্ষকরাই জাতির মেরুদন্ড। সেই মেরুদন্ডকে শক্ত ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে যা যা প্রয়োজন সরকার তা পূরণ করবে- এটাই জাতির প্রত্যাশা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close