রায়হান আহমেদ তপাদার

  ২২ জুলাই, ২০১৮

ব্রেক্সিট

চড়া দাম দিতে হবে ব্রিটেনকে

থেরেসা মে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এক বছর হলো। গত বছর জুনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়া না ছাড়া প্রশ্নে গণভোটে ‘না’-এর পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পড়ার পর ডেভিড ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। যদিও পদত্যাগ করার আইনি বাধ্যবাধকতা তার ছিল না। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশ করেন তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে। ক্যামেরনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সাত বছর দায়িত্ব পালন করেন মে। মোটামুটি সফলভাবে এ দায়িত্ব পালন করলেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি তেমন সফল হননি। হয়তো কথাটি বলার সময় এখনো আসেনি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত এক বছর নানা বিতর্কের মুখে পড়েছেন মে। ৮ জুন আগাম নির্বাচন আয়োজন করে তিনি সম্ভবত তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ভুলটি করে ফেলেছেন বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন। এ নির্বাচনে তার দল সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও আগের বারের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। অন্যদিকে, বিরোধী লেবার পার্টির আসনসংখ্যা বাড়ে ৩০টি। অনেকে তাকে এরই মধ্যে ইতিহাসের নিকৃষ্ট ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর তালিকাভুক্ত করে ফেলেছেন। গত এক বছরের প্রায় পুরোটা সময়জুড়ে তার সরকারের মনোযোগ ছিল অর্থনীতির দিকে। ব্রিটেনে বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু সে কাজটি থেরেসার সরকার করতে পারেনি। বছরপূর্তি উপলক্ষে টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে থেরেসা সে কথা স্বীকারও করেন। তবে তথ্য-উপাত্ত বলছে, তিনি অর্থনীতিরও খুব একটি উন্নতি ঘটাতে পারেননি। ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসা বা ব্রেক্সিট, কাস্টমস ইউনিয়ন বা একক মুদ্রাবাজার এবং ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসের কর্তৃত্বের আওতায় ব্রিটেন থাকবে কি নাÑএসব নিয়ে পরিকল্পনা করেই তার সরকার বেশির ভাগ সময় পার করেছে।

চলতি মাসের ৬-৭ তারিখ জার্মানির হামবুর্গ শহরে সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক ২০টি দেশের জোট জি-২০-এর শীর্ষ সম্মেলন হয়ে গেল। এ সম্মেলনে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র একদিকে এবং বাকি ১৯টি দেশ আরেক দিকে অবস্থান নিয়েছে দেখা গেলেও ব্রিটেনের ভূমিকাটি ছিল অনেকটাই অস্পষ্ট। থেরেসার বক্তৃতা শুনে মনে হয়নি তিনি জলবায়ু পরিবর্তন বা অভিবাসনের মতো ইস্যুগুলোকে বর্তমান সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দূরত্ব হোক এমন কথা তিনি সযতেœ এড়িয়ে যান। তিনি একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য বিভিন্ন প্রজন্মের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আরো বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ব্রেক্সিট হোক বা না হোক থেরেসার নেতৃত্বাধীন ব্রিটেন যেন কার্যত ইউরোপ থেকে ছিটকে পড়েছে। সম্প্রতি ব্রিটেনের ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকায় একজন ভাষ্যকার লিখেছেন, ব্রিটিশ রাজনীতি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে জটিল অবস্থায় পড়েছে। অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, অনেক সমস্যা সত্ত্বেও থেরেসার কোনো উপযুক্ত উত্তরসূরি ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে নেই। এদিকে দ্রুত ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে আসতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ওপর তার নিজ দলের ভেতর থেকে চাপ বাড়ছে। ৬০ জন কনজারভেটিভ এমপি দ্রুত ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পর যুক্তরাজ্যের আইন পরিবর্তন করতে যেন ইইউর অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা না থাকে, তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন তারা। ২০১৯ সালের মে মাসের মধ্যে যদি সব চুক্তি চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হয়ে যায়, কেবল তখনই ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ প্রস্তাব সমর্থনের কথা জানিয়েছেন এই এমপিরা। ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন চূড়ান্ত করতে থেরেসা মে’র সরকারের হাতে আট মাস সময় আছে।

থেরেসা মে নিজে চান ২০১৯ সালের মার্চের ২৯ তারিখের মধ্যেই সব কাজ শেষ করতে। কিন্তু তার দলের ভেতরেই ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন নিয়ে মতভিন্নতা আছে। এদের একটি অংশ বেশ কিছু বিষয়ে অনড় থাকতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ৬২ জন এমপির স্বাক্ষরিত চিঠিটিতে বলা হয়েছে, ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর স্বাধীনভাবে যুক্তরাজ্যের আইন প্রণয়ন করতে ও ‘অন্তর্বর্তীকালীন সময়’ নির্ধারণের ক্ষেত্রে যেন কোনো শর্ত যেন গ্রহণ করা না হয়। দলের সাবেক প্রধান আয়ান ডানকান স্মিথ এবং উন্নয়নবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলসহ অন্যদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘ইইউ ত্যাগের পর আপনার সরকার যেন প্রয়োজনমতো ব্রিটিশ আইন পরিবর্তনের অধিকার সংরক্ষণ রাখতে পারে। বাইরের কারো করে দেওয়া আইন মেনে নিতে যেন ব্রিটেনকে বাধ্য হতে না হয়। নিজেদের দেশের আইন পরিবর্তন করতে ইইউর কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা গ্রহণযোগ্য হবে না।’ এমপিরা বলেন, ইইউ ত্যাগে ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ প্রস্তাব তারা মেনে নেবেন যদি ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত সব চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে যায়। গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিটবিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস বলেন, তিনি এমন একটি ব্যবস্থা চূড়ান্ত করতে চান, যাতে উভয় পক্ষের আইন-কানুন একই ফল দেয়। কিন্তু সেই ফল নিশ্চিত করতে যেন উভয় পক্ষ যার যার মতো করে আইন পাস করতে পারে। উল্লেখ্য, ইইউ বারবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র কাছে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য তার প্রত্যাশার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন শর্ত, চুক্তি, সময় নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজ দলের মতবিরোধের কারণে থেরেসা মে তা প্রকাশ্যে জানাতে পারছেন না।

অন্যদিকে উত্তর আয়ারল্যান্ডের রক্ষণশীল দল ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন নিয়ে সংকটে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এই জোট উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সম্পাদিত ঐতিহাসিক ‘গুড ফ্রাইডে চুক্তির’ বরখেলাপ বলে সমালোচনা উঠেছে। এদিকে, থেরেসার ঘনিষ্ঠ দুই উপদেষ্টা নিক টিমোথি ও ফিওনা হিল পদত্যাগ করেছেন। তাদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী তথা দলের নেতা থেরেসা মে’র ওপর চাপ ছিল। আরেক জরিপে দেখা গেছে, কনজারভেটিভ পার্টির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যই নির্বাচনী বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে থেরেসা মে’র পদত্যাগ দাবি করেছেন। ডিইউপির সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়টিকে সমালোচকরা ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থে থেরেসা মে’র আরো একটি বেপরোয়া পদক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করেছেন। সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও থেরেসা ব্রেক্সিট আলোচনায় নিজের ক্ষমতাকে আরো সংহত করতে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেন। আভ্যন্তরিক অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তার কনজারভেটিভ পার্টি ১৩টি আসন হারিয়ে এখন এককভাবে সরকার গঠনেই ব্যর্থ। প্রয়োজনীয় ৩২৬ আসন থেকে ৮ আসন দূরে থাকায় ১০ আসন জেতা আঞ্চলিক দল ডিইউপির সঙ্গে জোটের ঘোষণা দিয়েছেন থেরেসা। উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতাকামীদের সঙ্গে কয়েক দশকের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ১৯৯৮ সালে স্বাক্ষর হয়েছিল ‘গুড ফ্রাইডে অ্যাগ্রিমেন্ট’। এ চুক্তি অনুযায়ী স্বায়ত্তশাসনের অধিকার পাওয়া ওই ভূখ-ের স্থানীয় রাজনীতিতে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নীতি গ্রহণ করে যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় সরকার। যে কারণে কনজারভেটিভ, লেবার বা অন্য কোনো কেন্দ্রীয় দলের রাজনীতি সেখানে নেই। এই তো ব্রিটিশ সম্ভাবনার ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী ফরেন মিনিস্টার বরিস জনসন প্রচ- ক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন, যা ব্রিটেনে তুমুল হইচই পরিলক্ষিত হচ্ছে। সবার একটাই ভাবনা, এখন কী হবে টরি সরকারপ্রধানের।

যুক্তরাজ্যের অখ-তাপন্থি ডিইউপি এবং স্বাধীনতাকামী ‘সিন ফেইন’ সেখানে বড় দুটি দল। সাধারণ নির্বাচনে এখানকার মোট ১৮টি আসনের মধ্যে ডিইউপি ১০টি এবং ‘সিন ফেইন’ ৭টি আসন পেয়েছে। ‘সিন ফেইন’ কেন্দ্রীয় কনজারভেটিভদের ঘোরতর বিরোধী। আবার থেরেসা মে এমন সময়ে ডিইউপির সঙ্গে জোট করছেন, যখন বিবাদের কারণে উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রাদেশিক সরকার ভেঙে গেছে। চলতি মাসের মধ্যে ডিইউপি ও সিন ফেইন নতুন সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার সব সময় নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা রাখে। কিন্তু থেরেসা মে’র জোট সেই ভূমিকাকে খর্ব করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যে কারণে উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি আবারও বিনষ্ট হওয়ার ঝুঁকি দেখছেন অনেকে। থেরেসা মে যেভাবে ব্রেক্সিট (ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ) বাস্তবায়ন চান, তার সঙ্গে দ্বিমত রয়েছে ডিইউপির। দলটি ব্রেক্সিটের পক্ষে হলেও স্বাধীন আয়ারল্যান্ড রাষ্ট্র ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে কোনো কঠোর সীমানা চায় না। তারা ইইউর একক বাজারের সুবিধা ধরে রাখারও পক্ষে। সমালোচকরা বলছেন, থেরেসা মে শক্তিশালী ও স্থিতিশীল নেতৃত্ব চেয়েছিলেন, কিন্তু জনরায় তাকে দিয়েছে দুর্বল ও নড়বড়ে নেতৃত্ব। কনজারভেটিভ পার্টি না জিতলে বিরোধীদের বিশৃঙ্খল জোট হবে বলে জনগণকে সতর্ক করেছিলেন থেরেসা। এখন তিনিই সমীকরণহীন অদ্ভুত জোট নিয়ে হাজির হয়েছেন। আর লেবার পার্টির প্রভাবশালী নেতা জন ম্যাকডোনাল্ড বলেন, থেরেসা মে প্রয়োজনে কোনো চুক্তি ছাড়াই ইইউ থেকে বের হয়ে আসার হুঙ্কার দিয়েছিলেন। কিন্তু জনরায়ের পর তিনি এখন ‘খোঁড়া হাঁস’। এদিকে থেরেসা মে’র ঘনিষ্ঠ দুই উপদেষ্টা নিক টিমোথি ও ফিওনা হিলের পদত্যাগের খবর দিয়ে বিবিসি জানায়, তাদের না সরালে নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে থেরেসাকে সতর্ক করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, থেরেসার প্রথম বিকল্প যাকে ধরা যেতে পারে তিনি ডেভিড ডেভিস। রাজনৈতিক খামখেয়ালিপনার জন্য তাকে ব্রিটেনের ডোনাল্ড ট্রাম্প হিসেবে দেখা হয়। থেরেসা তাকে ইইউর সঙ্গে ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনার দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে ব্রিটেনকে কোন দিকে নিয়ে যাবেন, বলা কঠিন। তিনি এমন কথাও বলে রেখেছেন, উত্তর সাগরের তেল সম্পদের ওপর ব্রিটেনের যে মালিকানা রয়েছে, সেটি তিনি কোনো চুক্তি বা সমীক্ষা না করে ছেড়ে দিতে পারেন। ডেভিডের পর এ তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন। তিনি নিজেকে একজন লিবারেল টোরি হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ক্যামেরনের পদত্যাগের পর একসময় ধারণা করা হয়েছিল তিনি হয়তো দলের হাল ধরবেন। তার সম্পর্কে সমালোচনা রয়েছে, প্রয়োজনের সময় আসল কাজটি তিনি করতে পারেন না। যে কারণে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তিনি মেয়রের পদটি ধরে রাখতে পারেননি। জনসনের পর এ তালিকায় আর যার নাম আসতে পারে তিনি মাইকেল গোভ। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ব্রেক্সিট ইস্যুতে ক্যামেরনের সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন। আরো আছেন একক মুদ্রা ইউরোবিরোধী উগ্র ডানপন্থি জ্যাকব রিজ মগ। আসতে পারে অ্যান্ড্রিয়া লিডসামের নামও। উল্লেখ্য, ক্যামেরনের উত্তরসূরি নির্বাচনের সময় থেরেসার পাশাপাশি এই নারীর নামও এসেছিল। এসব কিছু বাদ দিলে দলের মধ্যে নেতা সবচেয়ে ইতিবাচক ভাবমূর্তি আছে অর্থমন্ত্রী (চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার) ফিলিপ হ্যামন্ডের। তবে তাকে থেরেসার মতো তুলনা করা হয়। তিনি ব্যবসাবান্ধব ও কৃচ্ছতানীতির বিরোধী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, তাকে দলের প্রধান বানানো হবে দলের কম্পিউটার সেটআপ নতুন করে দেওয়ার মতো।

লেখক : বিশ্লেষক, গবেষক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist