কেসিসি নির্বাচন ২০১৮
অপেক্ষার পালা শেষ। আগামীকাল নির্বাচন। সব ধরনের প্রস্তুতিও শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটের সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। চার স্তরের নিরাপত্তায় থাকবেন আট হাজারেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী। সঙ্গে থাকছেন ৪ হাজার ৯৭২ জন নির্বাচন কর্মকর্তা। মোড়ে মোড়ে বসেছে নিরাপত্তা তল্লাশি। অবাধ মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ভোটার ছাড়া সব ধরনের বহিরাগতকে এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর ভোটের দিন অর্থাৎ আগামীকাল খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনী এলাকাকে সাধারণ ছুটির আওতায় থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অনেক দিন পর আগামীকাল সোমবার কেসিসি নির্বাচনী মাঠে নামছে দুই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। কাল নৌকা ও ধানের শীষের লড়াই।
গতকাল মধ্যরাতে প্রচারণা পর্ব শেষ হয়েছে। বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর ধরপাকড় ছাড়া আর কোনো অপ্রীতিকর কর্মকা-ের অবতারণা না হওয়ায় সবাই আশা করছেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই প্রবল। এ ছাড়া নিরাপত্তাব্যবস্থাকে যেভাবে রাখা হয়েছে, তাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটার সুযোগ আছে বলে মনে করছে না নির্বাচন কমিশন।
কেসিসি নির্বাচনে আট হাজারের মতো নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্র পাহারায় নিযুক্ত থাকবে পুলিশ, আনসার ও আর্মড পুলিশ সমন্বয়ে গঠিত ৬ হাজার ৮১৬ জন এবং কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে ১৬ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অর্থাৎ ৩২০ জন এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ২৬০ সদস্য। এ ছাড়া নির্বাচন চলাকালীন থাকছেন ৩১ ওয়ার্ডের জন্য ৬০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১৩ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। নিজস্ব পর্যবেক্ষক থাকবেন ৩১ জন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে থাকবেন ৪ হাজার ৯৭২ জন কর্মকর্তা। যারা প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। সিটিতে মোট ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন এবং মহিলা ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।
সবকিছু মিলিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ এখন পর্যন্ত বিতর্কের ঊর্ধ্বে রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আমরাও আশা করছি আগামীকালও নির্বাচনী পরিবেশ বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকবে এবং নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন সক্ষম হবে। আর এটাই বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি মানুষেরই একমাত্র প্রত্যাশা।
"