reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৩ মে, ২০১৮

স্যাটেলাইট যুগে বাংলাদেশ

দিবাগত রাত ২টা ১৪, মে ১১ শুক্রবার ২০১৮। এলো সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তীব্র আগুনের হলকা পেছনে রেখে মহাকাশের পথে এগিয়ে গেল বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অভিজাত স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য হয়ে বিশ্বের দরবারে নিজেদের মর্যাদাকে আরো বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হলো। ৫৭ তম দেশ হিসেবে এই অভিজাত ক্লাবে যুক্ত হলো বাংলাদেশের নাম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নতুন এক যুগে প্রবেশ করল।’ নতুন যুগে প্রবেশের যে শিহরণ তা স্পর্শ করল দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষকে। সরাসরি সম্প্রচার দেখতে মানুষ রাত জেগে বসেছিল টেলিভিশনের সামনে। দেখেছে তাদের অর্জনের গতি। মহাকাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে যেতে এটিকে ৩৬ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। কক্ষপতে পৌঁছানোর পর স্যাটেলাইটটি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে আরো এক মাস সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্যাটেলাইটটির জন্য গাজীপুরের জয়দেবপুরে এবং রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় নির্মিত হয়েছে গ্রাউন্ড স্টেশন। স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উন্মুক্ত হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়ার তিনটি গ্রাউন্ড স্টেশনে চলে যাবে। সম্পূর্ণ চালু হওয়ার পরই স্টেশনটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের গ্রাউন্ডে স্থানান্তরিত হবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ নানাদিক থেকে লাভবান হতে পারে। যার মাঝে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত এবং তৃতীয়টি বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি। এ ছাড়াও রয়েছে চাকরির নতুন ক্ষেত্র ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, ডাইরেক্ট টু হোম (ডিটিএইচ) পদ্ধতিতে স্যাটেলাইট থেকে সিগন্যাল গ্রহণের মাধ্যমে দেশের সর্বত্র সরাসরি টেলিভিশন সম্প্রচার সম্ভব হবে। বর্তমানে ভাড়া করা স্যাটেলাইটের পেছনে আমরা যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে আমাদের প্রয়োজন পূরণ করছি, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ চালু হওয়ার পর সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে আমরা সক্ষম হব। বর্তমানে বিদেশি স্যাটেলাইট ব্যবহারের ভাড়া বাবদ যে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয় হচ্ছে, এ উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ফলে সেই অর্থ সাশ্রয় হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশেরও ভাড়া খাটিয়ে বিপুল অর্থ আয়ের পথও উন্মোচিত হবে।

প্রযুক্তিবিদদের মতে, স্যাটেলাইটের এসব সুবিধা নিশ্চিত করতে হলে সরকারকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী, কাজ করতে হবে। বেসরকারি খাতকেও দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে গবে। উৎক্ষেপণের পর মুহূর্ত থেকে এ স্যাটেলাইটের মেয়াদ থাকবে ১৫ বছর। সে জন্য সময় ক্ষেপণ না করে স্যাটেলাইটের উদ্দেশ্য পূরণে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না। আমরাও বিশেষজ্ঞদের এই মতামতের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বলতে চাই, সরকার এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist