রায়হান আহমেদ তপাদার

  ২৮ মার্চ, ২০১৮

আন্তর্জাতিক

পুতিনের জয় : পশ্চিমে বরফ নীরবতা

রাশিয়া-পশ্চিমা দেশ সমস্যার শেকড় অনেক গভীরে। পুতিন ছিলেন রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির বিভিন্ন স্তরের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা। অত্যন্ত মেধাবী এ মানুষটির রাশিয়া ও পশ্চিমাদের সম্পর্ক, দুর্বলতা সবকিছু সম্পর্কে আদ্যোপান্ত জানা আছে। ফলে তিনি অর্থনৈতিক, সামাজিক সংস্কারের দিকগুলো পরিবর্তনে উৎসাহিত হলেও সোভিয়েত সময়ের পররাষ্ট্রনীতির দিকে গভীর নজর রেখেছেন। তিনি পশ্চিমের সাম্রাজ্যবাদী চরিত্রটা সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন। বরিস ইয়েলিৎসিনের সময়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তিনি ধীরে ধীরে রাশিয়ার একক ক্ষমতায় পরিণত হয়েছেন। কিন্তু পশ্চিমাদের দিকে সব সময় আড়চোখে তাকিয়েছেন। এদিকে রাশিয়া একটি শক্তিশালী পরমাণু অস্ত্রের দেশ হওয়ায় সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ন্যাটোর শক্তি বিস্তার এবং তা রাশিয়ার দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু পুতিন সম্পর্কে হয়তো আন্ডার এস্টিমেট করেছিল তারা। মনে আছে, ২০০৮ সালে রাশিয়া জর্জিয়া আক্রমণ করেছিল? ওশেনিয়া, আফখাজিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মাধ্যমে তখন সংঘর্ষ বাধার পেছনে ছিল আরেকটি কারণ। জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট মিখাইল শাখাসভেলি ছিলেন পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত এবং পশ্চিমা ভাবাপন্ন। রাশিয়ার সীমান্ত তখন ভরে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচর দিয়ে। বিষয়টি ভ্লাদিমির পুতিনকে ভীষণভাবে বিরক্ত করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের সূত্রপাত সেখানেই। এরপর ক্রিমিয়াকে সোভিয়েত প্রশাসনে সংযুক্ত করা, ইউক্রেনে সোভিয়েত সেনাদের অভিযান এসবই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বলয় থেকে অঞ্চলকে প্রভাবমুক্ত করার পদক্ষেপ।

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় আরব বসন্ত শুরু হয়। তখন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ শরণাপন্ন হন পুতিনের। প্রসঙ্গক্রমে বলতে হয়, সম্প্রতি রাশিয়ায় এবং চীনে দুটি দেশেরই দুজন শাসক দীর্ঘদিনের জন্য ক্ষমতায় এলেন। দুটি দেশই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। দুটি দেশই অর্থনীতিতে হু হু করে আগাচ্ছে। এখন তাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক এবং অন্যান্য আদান-প্রদানের সম্পর্ক শক্তিশালী করতে কী করণীয়, তা আমাদের ফরেইন পলিসি মেকাররা বুঝবেন। কিন্তু একটা কথা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিকভাবে পররাষ্ট্রনীতিতে আমরা কারো সঙ্গে বৈরিতা করব না। ফস করে কোনো জোটে নাম লিখিয়ে অন্যপক্ষকে শত্রুতে পরিণত করব না। আর এ কাজটি করতে হলে অনেক সময় ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। তাই পররাষ্ট্রনীতিতে দৃঢ়তা ও দক্ষতা দেখানোর প্রয়োজন আছে। দেশটির কাগুজে নাম এখন রাশিয়ান ফেডারেশন। ইউনিয়ন অব সোভিয়েত সোশ্যালিস্ট রিপাবলিক আর নেই; নেই লেলিন, স্ট্যালিন, ক্রুশ্চেভ, ব্রেজনেভ, আন্দ্রপভ ও চেরনেনকো। নেই কমিউনিস্ট পার্টি বা সোভিয়েত পলিটব্যুরোর শাসন, নেই কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল বা কমিনটার্ন। শুধু একজন আছেন। নতুন গণতান্ত্রিক খোলসের অন্তরালে। আর সেই একজনের মেধা, ক্যারিশমেটিক চরিত্র, তীক্ষè বুদ্ধি, দেশ শাসনের কৌশল, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পদক্ষেপের দক্ষতা পশ্চিমাবিশ্বকে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ছে। পশ্চিমাদের কাছে অনুভূত হচ্ছে, যত দিন এই লোক রাশিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন, তত দিন তো সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার ফলটা খাওয়া যাচ্ছে না!

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর রাশিয়া প্রায় গুরুত্বহীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু গত ১৮ বছরের ওয়ানম্যান শোতে রাশিয়া এখন বিশ্বব্যাপী শুধু গুরুত্বপূর্ণই নয়, কোনো দেশের জন্য অপরিহার্য বন্ধু আর কারো জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের চেয়েও বড় মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে এখন ভোট হয়। আমরা যাকে গণতন্ত্র বলি। না, ভোট কাটাকাটি হয় না, ব্যালট ছিনতাই হয় না, সরকারের পোষা যুবকরা গিয়ে বুথ দখল করে না। কিন্তু ভোট চুরি? সেটা হয়তো আছে। আর এ অভিযোগ থেকে তো খোদ গণতন্ত্রের প্রবক্তা যুক্তরাষ্ট্রও মুক্ত নয়। আমেরিকার সাম্প্রতিককালের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে অভিযোগগুলো দেখলেই তা পরিষ্কার হয়ে যায়। যাহোক, গত ১৮ মার্চ বিশাল রাশিয়ার ৯৭ হাজার পোলিং সেন্টারে হাতাহাতি, মারামারি, বোমাবাজি ছাড়াই শান্ত পরিবেশে নির্বাচন হয়ে গেল। আর এ নির্বাচনে আবার বিপুলসংখ্যক অর্থাৎ প্রদত্ত ভোটের ৭৭ শতাংশ পেয়ে নির্বাচিত হলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রনায়ক ভøাদিমির পুতিন। অবশ্য আমরা রাষ্ট্রনায়ক বললেও পশ্চিমাবিশ্ব তাকে রাষ্ট্রনায়ক বলতে রাজি নয়। বরং তিনি নির্বাচিত হওয়ায় পশ্চিমাবিশ্ব বা গণতন্ত্রের প্রবক্তারা আরো ক্ষেপে গেছেন। পুতিনের এ নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাবিশ্বে এক রকম ঝড় উঠেছে। সেখানকার ভাষ্যকাররা বলছেন, পুতিনের এ নির্বাচন ছিল প্রতারণাপূর্ণ, ভোট কারচুপির নির্বাচন। ঘটনার অন্য মাত্রাও আছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের একটি যোগসাজশের সন্দেহ করা হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের এক নম্বর প্রতিদ্বন্দ্বী ভ্লাদিমির পুতিন হলেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনে তিনি হস্তক্ষেপ করেছেন এবং ট্রাম্পকে বিজয়ী হতে সাহায্য করেছেন বলে একটি শক্তিশালী অভিযোগ আছে। তা নিয়ে আমেরিকায় বিতর্ক চলছেই।

এরই মধ্যে চতুর্থ দফায় পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পুতিনকে টেলিফোন করেন। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সেই টেলিফোনে কী আলাপ হবে, সে সম্পর্কে ট্রাম্পের পরামর্শকরা একটি নোট দেন। সেই নোটে ক্যাপিটাল লেটারে লেখা ছিল ডু নট কংগ্রেচুলেট। রিপোর্টে বলা হয়েছে, টেলিফোন করার সময় সেই নোটটি ট্রাম্প দেখেছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কিন্তু ট্রাম্প ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলার সময় চতুর্থবার রাশিয়ার ক্ষমতায় আসার জন্য অভিনন্দন জানান। এতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় ওঠে। ডেমোক্র্যাটরা তো বটেই, খোদ ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের প্রভাবশালী নেতা এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জন ম্যাককেইন বলেছেন, একজন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভুয়া নির্বাচনে জয়ী কাউকে অভিনন্দন জানিয়ে মুক্তবিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারেন না। ট্রাম্প পুতিনকে অভিনন্দন জানিয়ে রাশিয়ার নাগরিকদের অপমান করেছেন। উত্তরে ট্রাম্প বলেছেন, ২০১২ সালে একই রকম নির্বাচনে জয়ের পর পুতিনকে বারাক ওবামাও অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। ওবামা যখন লিবিয়া স্টাইলে বাশার আল আসাদকে উৎখাতে সামরিক হস্তক্ষেপের প্রস্তুতি নেয়, তখনই পুতিন অত্যন্ত আক্রমণাত্মক হয়ে ভূমধ্যসাগরে রণতরী পাঠান এবং আসাদের পক্ষে সরাসরি বিদ্রোহীদের ওপর আক্রমণ চালাতে শুরু করেন। বড় আকারের যুদ্ধ এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ থেকে পিছিয়ে যায়। পুতিনের এ আক্রমণাত্মক মনোভাব তাকে বেশ কয়েকটি সুবিধা এনে দিয়েছে। রাশিয়ায় যে সমাজতান্ত্রিকরা আছেন, তারা পুতিনের এ বিশ্বব্যাপী উত্থানকে সোভিয়েত ইউনিয়নের ছায়া হিসেবে দেখতে পান।

সাধারণত রাশিয়ানদের মধ্যে জাতিয়তাবাদের প্রশ্নে একটি সংহতি তৈরি হয়েছে, যা পুতিনকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সাহায্য করছে। রাশিয়া বিশ্বের এসব যুদ্ধ-বিগ্রহের কারণে অস্ত্রের আধুনিকীকরণে মনোনিবেশ করেছে এবং রাশিয়ার অস্ত্র ব্যবসাকে জনপ্রিয় করে তুলতে পেরেছে। সমাজতান্ত্রিক চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রশ্নে একটি সুসম্পর্ক থাকায় রাশিয়া এ অঞ্চলে সামরিক দিক দিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানের রয়েছে। তাই ইউরোপের দেশগুলোও পুতিনের সঙ্গে বাড়াবাড়ি করতে সাহস করছে না। রাশিয়ার সাম্প্রতিক উদ্ভাবিত সুখই ৩৫ যুদ্ধবিমান এবং এস-৪০০ এন্টি এয়ারক্রাফট মিসাইল সিস্টেম রাশিয়ার সামরিক শক্তিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ফলে ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরবসহ অনেক দেশ এ মিসাইল সিস্টেম ক্রয় করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এমন বহু কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ঘনিষ্ঠরা পুতিনের অবসানের অপেক্ষা করে আসছিল। কিন্তু ১৮ মার্চের নির্বাচন সে গুড়েবালি ঢেলে দিল। রাশিয়ার সংবিধান অনুসারে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টর মেয়াদকাল ৬ বছর। আগাম নির্বাচন দিয়ে পুতিন ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিজের ক্ষমতা পাকা করে নিলেন। তার এ নির্বাচন দেওয়ার একটি বিশেষ কারণ ছিল। সময়টা তিনি অনুকূলে বলে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। একটি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তো সব সময় এক রকম থাকে না। সেটা পুতিন বুঝতে পেরেছিলেন। গত ডিসেম্বর মাসের একাধিক জরিপে দেখা গেছে, পুতিন অন্য নেতাদের চেয়ে জনপ্রিয়তায় বেশ এগিয়ে আছেন। ফলে তিনি নির্বাচনের কথা ভাবতে পেরেছেন।

ভাষ্যকাররা প্রায়ই একটি কথা বলে থাকেন, পুতিনের কোনো যোগ্য উত্তরসূরি নেই। কথাটা ঠিক। পুতিনের দেশে ঘুষ-দুর্নীতি আছে, আছে গুপ্তহত্যাও। কিন্তু যতটা বলা হচ্ছে ততটা কি? রাশিয়ানরা স্বাধীনচেতা জাতি।

একেবারে জনপ্রিয়তা না থাকলে কারো পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব নয়। কথাটা দোষারোপের আগে পশ্চিমাদের বিবেচনায় নেওয়া উচিত। তা ছাড়া সিরিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার অংশগ্রহণের মাধ্যমে আবারো আলোচনায় উঠে আসে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ রাশিয়ার শক্তিধর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম। ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমাদের টেক্কা দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের অবস্থান সুসংহত করতে সমর্থ হন। পারমাণবিক ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা শক্তি কর্তৃক সৃষ্ট বিরোধে তেহরানের একনিষ্ট বন্ধুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে শেষতক উভয় পক্ষকে এক টেবিলে এনে শান্তি চুক্তি সম্পাদনের ন্যায় ঝুঁকিপূর্ণ একটি ইস্যু শন্তিপূর্ণভাবে সম্পাদনেও ভ্লাদিমির পুতিন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। দক্ষিণ চীন সাগরের কয়েকটি ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে চীনের বিরোধ অতঃপর কোনো কারণ ছাড়াই আমেরিকার রণপ্রস্তুতি বিশ্ববাসীকে আতঙ্কিত করে তোলে। শেষতক কোনো ঘোষণা ছাড়াই আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ প্রত্যাহারের নেপথ্যে কাজ করেছে চীনের প্রতি ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থন। মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে এবার নড়েচড়ে বসেছে ভ্লাদিমির পুতিন। বিশেষ করে উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার হচ্ছে। রাজা-বাদশাহ এমনকি তাদের প্রতিনিধিরাও মস্কো যাতায়াত বৃদ্ধি করেছে। নিজ দেশে স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতির চাকা সচল করতে সমর্থ হন তিনি। পাশাপাশি সামরিক শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে চোখ ধাঁধানো সাফল্যের নেপথ্যে পুতিনের নিরলস প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবি রাখে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে পশ্চিমাদের বিপরীতে কঠোর অবস্থান গ্রহণের মাধ্যমে রাতারাতি হিরো বনে যান ভøাদিমির পুতিন। ফলে বিশ্ব রাজনীতিতে ভøাদিমির পুতিন এখন চালকের আসনে।

লেখক : লেখক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist