রায়হান আহমেদ তপাদার
আন্তর্জাতিক
নতুন মেরূকরণে দক্ষিণ এশিয়া
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এশিয়া সফরের মুহূর্তে এশিয়ার রাজনৈতিক-নিরাপত্তা পরিস্থিতি প্রকৃত বিচারে শান্ত নয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন স্বীকার করছেন পৃথিবীর ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ক্রমেই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কেন্দ্রে সরে যাচ্ছে। আর এই বাস্তবতায় তিনি এ অঞ্চলের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে আরো বেশি পারস্পরিক সম্পর্ক নির্মাণ আর সহযোগিতা বৃদ্ধির আহŸান করেছেন। গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর পৃথিবীর অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র এই অঞ্চলটির নিরাপত্তা আর স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে পারে। সা¤প্রতিক বছরগুলোয় দক্ষিণ চীন সাগরে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে চীনের আগ্রাসী কর্মকাÐ অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। চীনের এই আগ্রাসী ব্যবহার সামনের বছরগুলোয় অব্যাহত থাকবেই বলে মনে হচ্ছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১৯তম সম্মেলনে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং চীনকে বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আরো আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দুই দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক লক্ষ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, আফগানিস্তানে বিদ্রোহ দমনে অভিযান, ইরাক ও সিরিয়া। কিন্তু এখন জোরালোভাবে তা আবার আন্তরাষ্ট্রীয় প্রতিদ্ব›িদ্বতার দিকে মোড় নিচ্ছে; বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষ প্রতিদ্ব›দ্বী রাশিয়া ও চীনের দিকে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় এই প্রতিদ্ব›িদ্বতার প্রভাব অনেক বেশি দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্রের একসময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক যতটা তিক্ত রূপ নিচ্ছে, ততটাই নতুন মেরূকরণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। স্পষ্টতই পাকিস্তান এবং চীন ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। অন্যদিকে, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ছে।
উল্লেখ্য, উপমহাদেশের আঞ্চলিক রাজনীতি ও নিরাপত্তা কৌশলে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটছে। এ অঞ্চলের দেশগুলো, বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানের শত্রæ-মিত্রের হিসাব পাল্টে যাচ্ছে। স¤প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ নয়, বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে প্রতিদ্ব›িদ্বতাই এখন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য প্রধান বিবেচ্য বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশলপত্র প্রকাশকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। ম্যাটিস বলেন, চীন ও রাশিয়ার মতো সংশোধনবাদী শক্তিগুলো থেকে আমরা এখন ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখোমুখি হচ্ছি। এসব দেশ তাদের কর্তৃত্ববাদী ছাঁচের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ একটি বিশ্ব গড়ার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কৌশলের প্রভাব এ অঞ্চলের ছোট দেশগুলোর ওপর পড়তে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারতের একসময়ের অতি ঘনিষ্ঠ মিত্র ও প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ ছিল রাশিয়া। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে শান্তি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অন্যদিকে, ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর বাইরে, দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল পাকিস্তান। আফগান যুদ্ধের পর, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পর আবার পাকিস্তানের সামরিক গুরুত্ব বেড়ে যায়। কিন্তু পাকিস্তানের অভ্যন্তরে মার্কিন ড্রোন হামলাকে কেন্দ্র করে সে দেশে মার্কিনবিরোধী জনমত তীব্র হয়ে ওঠে। আফগানিস্তানে তালেবানরা নতুন করে সংগঠিত হতে থাকে। আফগান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিজয়ী হওয়ার অনিশ্চয়তা যতটা বাড়ছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ততই অবনতি ঘটছে। রাশিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার নেপথ্যে চীনের বড় ধরনের ভ‚মিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়।
চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার একাধিক চুক্তি রয়েছে। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড পরিকল্পনার অন্যতম সহযোগী দেশ পাকিস্তান। এ ছাড়া চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক যত ঘনিষ্ঠ হচ্ছে, দেশটির ওপর মার্কিন চাপ ততই বাড়ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার নতুন বছরের শুরুর দিন পাকিস্তান নিয়ে এক টুইট বার্তা প্রকাশ করেছেন। এরপর দুই দেশের সম্পর্ক বেশ উত্তেজনার রূপ নিয়েছে। ট্রাম্প তার টুইট বার্তায় বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বোকার মতোই পাকিস্তানকে গত ১৫ বছরে ৩৩ বিলিয়ন ডলার সহযোগিতা দিয়েছে। এর বিপরীতে তারা আমাদের মিথ্যা ও শঠতা ছাড়া কিছুই দেয়নি। তারা আমাদের নেতাদের বোকা ভাবছে। ট্রাম্পের অভিযোগ, আমরা আফগানিস্তানে যেসব সন্ত্রাসীকে তাড়া করছি, তাদের নিরাপদ আশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান। আমাদের কোনো সহযোগিতা করছে না। অন্যদিকে ট্রাম্পের এ ঘোষণার পর পাকিস্তান কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ। তা ছাড়া ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে তিনি বলেন, আমরা এমন একটা অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যখন আফগান বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে পাকিস্তানের মাটিতেই যুদ্ধ শুরু হবে। তার দাবি, সেটাই যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া। তবে ইসলামাবাদ কখনো দেশের মাটিকে আফগান যুদ্ধের ময়দান হতে দেবে না। পাকিস্তান-সংক্রান্ত নীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিবর্তন বা কঠোর অবস্থানের পেছনে আফগানিস্তানকে ঘিরে এ অঞ্চলে প্রভাবশালী দেশগুলোর প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগী তাও অন্যতম কারণ। যেখানে চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
আফগানিস্তানে চীনা প্রভাব নিয়ে পেন্টাগনের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেইজিং সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রভাব বাড়িয়ে তুলছে। এর মধ্যে গত ২৬ ডিসেম্বর বেইজিংয়ে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক বৈঠকে মিলিত হন। এই বৈঠকে ৫৭ বিলিয়ন ডলারের চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর আফগানিস্তান পর্যন্ত স¤প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, আফগানিস্তান, ইরান, মধ্য এশিয়া ও পশ্চিম এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে তার দেশ খুবই আগ্রহী। আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালাহউদ্দিন রব্বানী বলেছেন, আফগানিস্তানের চিরদিনের বিশ্বস্ত বন্ধু চীন। দেশটির বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পে সংযুক্ত হওয়ার জন্য আফগানিস্তান সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যদি চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর খাইবার পাস হয়ে আমুদরিয়ার তীর পর্যন্ত যদি স¤প্রসারিত হয়, তাহলে বাস্তবিক অর্থে নতুন সিল্ক রুটের পুনরুজ্জীবন ঘটবে। তখন মধ্য এশিয়া হয়ে এর সঙ্গে খুব সহজেই রাশিয়া সংযুক্ত হতে পারবে। ইতোমধ্যে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই গত ডিসেম্বরে একসঙ্গে নয়াদিল্লি সফর করেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রকল্পে ভারতকে সংযুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধে এ ধরনের অর্থনৈতিক প্রকল্প সম্পৃক্ত না করার কথাও বলেন।
চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরে রাশিয়া নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চাইছে মূলত কৌশলগত কারণে। বালুচিস্তানের গোয়াদর বন্দর ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আরব সাগরের উষ্ণ পানিতে পা ভেজাতে পারবে রাশিয়া। আফগানিস্তান এবং সিপিইসিকে ঘিরে চীন ও রাশিয়ার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পাকিস্তানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত চাপের নেপথ্য কারণ খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছে চীন। ফলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইট বার্তার পর চীনের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের পূর্ণ স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের দেওয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা পারস্পরিক শ্রদ্ধার সঙ্গে করছে বলে আমরা খুশি। আসলে যুক্তরাষ্ট্র চাইছে আফগান যুদ্ধে পাকিস্তানকে পুরোপুরি জড়িয়ে ফেলতে। এর মাধ্যমে এ অঞ্চলে চীন ও রাশিয়ার প্রভাব কমিয়ে আনতে। যুক্তরাষ্ট্রের এই কৌশল যে পাকিস্তানের জন্য আত্মঘাতী হবে, তা দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট। তিনি এ কারণে বলছেন, ইসলামাবাদ কখনো দেশের মাটিকে আফগান যুদ্ধের ময়দান হতে দেবে না। পরিহাস হচ্ছে, একসময় আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তারের জন্য পাকিস্তান থেকে যে সুবিধা যুক্তরাষ্ট্র পেয়েছে, একই ধরনের সুবিধা চীন ও রাশিয়াও পেতে যাচ্ছে। পাকিস্তানের ওপর চাপ প্রয়োগের মার্কিন নীতি কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। এর ফলে পাকিস্তান আরো বেশি চীন ও রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়বে। ইতোমধ্যেই তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে তিক্ততার কারণে পাকিস্তান যদি আফগান যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক ছিন্ন করে, তাহলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
এমনকি আফগানিস্তানে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা আরো বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। এ দিকটি সম্ভবত জেমস ম্যাটিস উপলব্ধি করতে পারছেন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি এশিয়ায় মার্কিন প্রভাব আরো খর্ব করতে পারে। একমাত্র ভারত ছাড়া এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র নেই। জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশলপত্র প্রকাশের অনুষ্ঠানে জেমস ম্যাটিস বলেছেন, আমাদের সামরিক বাহিনী এখনো শক্তিশালী কিন্তু আকাশ, স্থল, সাগর, মহাশূন্য ও সাইবার স্পেস-যুদ্ধের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সুবিধাজনক অবস্থান হ্রাস পেয়েছে এবং ক্রমাগতভাবে হ্রাস পাচ্ছে। রাশিয়ার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তোমরা যদি আমাদের চ্যালেঞ্জ করো, তাহলে তা হবে তোমাদের জন্য দীর্ঘতম খারাপ দিন। চীন স্বাভাবিকভাবেই এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আরো সক্রিয় হয়ে উঠবে। নেপালের রাজনীতিতে ভারতকে পাশ কাটিয়ে চীন এখন সামনের সারিতে চলে এসেছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পক্ষে চীন ও রাশিয়া সক্রিয় ভ‚মিকা নিয়েছে। বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশের নীতির বিপরীতে অবস্থান নিয়ে মিয়ানমারকে সমর্থন দেওয়ার পরও ভারতের ভ‚মিকা গৌণ হয়ে পড়ছে। সামনের দিনগুলোয় ইন্দো-প্যাসিফিকে শক্তির ভারসম্য নির্ধারিত হবে, ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরের ঘটনাবলির ফলাফলের দ্বারা। চীনের আগ্রাসী স্বপ্নকে প্রতিহত করতে তাই দেশটির নৌশক্তির কর্মকাÐকে সীমিত করতে জোর দিতে হবে। আর এ কাজে এশিয়ার সব গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। এশিয়ার গণতান্ত্রিক দেশগুলোর এই সমঝোতা হয়তো কোনো আনুষ্ঠানিক মৈত্রীতায় রূপ নেবে না, বরং তার মূল উদ্দেশ্য হবে কৌশলগত বিষয়গুলোতে পারস্পরিক বোঝা-পড়া বৃদ্ধি করা। এশিয়ার গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সহযোগিতামূলক সম্পর্ক নির্মাণের উদ্যোগে অঞ্চলটিতে স্থিতিশীলতা আর আন্তর্জাতিক আইনের অনুশাসন সমুন্বত করবে।
লেখক : রাজনীতি বিশ্লেষক ও কলামিস্ট
"