অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন
নির্বাচন। সময়ের সর্বাধিক আলোচিত একটি শব্দ। নির্বাচনকে ঘিরেই যত আলোচনা। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হবে? কিভাবে হবে? সংঘাত এড়ানো সম্ভব হবে কি না? এ রকম নানা প্রশ্ন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশের আপমর জনগণ। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠারও শেষ নেই। সর্বশেষ গত শুক্রবার সিইসি কেএম নুরুল হুদার এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। সেক্ষেত্রে এমন নির্বাচনের জন্য বিএনপির অংশগ্রহণকে অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। বলেছেন, বিএনপি একটি বড় দল, তাদের ছাড়া সব দলের অংশগ্রহণ হয় কী করে? বিএনপি ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়। তার এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে ভোটের রাজনীতিতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়টি আবারও সামনে চলে এলো। বস্তুত ক্ষমতাসীনদের মতের বিপক্ষে অবস্থান নিল সিইসির এই বক্তব্য।
বিএনপিও বহুদিন ধরে একই বক্তব্য দিয়ে আসছে। তারা বলছে, বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হতে পারে না। আর আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপি নির্বাচনে এলে অংশগ্রহণমূলক হবে, না এলে হবে নাÑ এমন তত্ত্বে তারা বিশ্বাস করে না। তারা সংবিধানের ভেতরে থেকেই নির্বাচন করবে। সংবিধানের বাইরে কোনো কিছুকেই তারা প্রশ্রয় দেবে না। সংবিধান মেনেই বিএনপি নির্বাচনে আসবে এবং দলটিকে নির্বাচনে আনতে আলাদা কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না। সিইসি বিএনপিকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য বললেও সে শর্ত মানতে নারাজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাদের ভাষ্য, আওয়ামী লীগ নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে আগামী নির্বাচনে চায়। এ জন্য সব দলের প্রতি আহ্বানও থাকবে। সেই আহ্বান সবার জন্য একই রকম হবে। একটি বিশেষ দলের জন্য আলাদা কোনো পদক্ষেপ নেবে না সরকার। এই যদি হয় বাস্তবতা, তাহলে রাজনীতি কি কোনো ঘোলা পানিতে নামার ইংগিত দিচ্ছে! আমরা কেউই তা চাই না। আমরা একটি নির্বাচন চাই। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে চাই একটি সরকার। যে সরকার আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তিকে ত্বরান্বিত করবে এবং গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে।
"