এস এম মুকুল

  ২৮ জানুয়ারি, ২০১৮

উন্নয়ন অন্বেষণ

বঙ্গবন্ধুর ভাবনায় সমবায়

বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ছিল সাধারণ মানুষের কল্যাণের রাজনীতি। সত্যিকার অর্থে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির স্থায়িত্ব আনয়নে তিনি সমবায়কেই একমাত্র উপায় নির্ধারণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু বাইরের দেশ থেকে সাহায্য এনে এদের অভাব সাময়িকভাবে দূর করার পথ পরিহার করে স্থায়ী পথ হিসেবে সমবায়কে বেছে নিয়েছিলেন। তাই তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতির চাকা সচল করতে গণমুখী সমবায়ের ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষায়, ‘আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, শিক্ষা পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবেÑএই হচ্ছে আমার স্বপ্ন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গণমুখী সমবায় আন্দোলনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’ দেশের সিংহভাগ গ্রামের জনগণ, যারা অশিক্ষিত এবং দরিদ্র। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে একমাত্র সমবায়কে অবলম্বন হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেছেন। তিনি দরিদ্র অশিক্ষিতদের উন্নয়নের স্বপ্ন বিনির্মাণে সমবায়ের অন্তর্নিহিত শক্তি পুরোমাত্রায় ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। তাই রাষ্ট্রের মালিকানার নীতি বিষয়ে সংবিধানের ১৩নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র মালিকানাব্যবস্থা হবে প্রথমত রাষ্ট্রীয় মালিকানা, দ্বিতীয়ত. সমবায়ী মালিকানা, তৃতীয়ত. ব্যক্তিগত মালিকানা। মালিকানায় সমবায়কে দ্বিতীয় অন্যতম খাত হিসেবে স্থান দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। উল্লেখ করা প্রয়োজন, সমাজের সাধারণ ও দরিদ্র মানুুষের ক্ষমতায়নের ঐতিহাসিক প্রয়োজনে সমবায়ের সৃষ্টি হয়েছিল। সমবায়ের মাধ্যমে সংগঠিত হয়ে অনেকের পুঁজির সমন্বয়ে বৃহৎ বিনিয়োগ সম্ভব, যা সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে সহায়ক হয়। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে মাইক্রোক্রেডিট দারিদ্র্যবিমোচনের হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত। অথচ মাইক্রোক্রেডিটের চেয়ে সমবায় দারিদ্র্যবিমোচনে অনেক শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে। মাইক্রোক্রেডিটে ঋণগ্রহীতা একজন খাতক মাত্র। সেখানে সংশ্লিষ্ট এনজিও এর নীতিনির্ধারণে ঋণগ্রহীতার কোনো ভূমিকা নাই। আর মাইক্রোক্রেডিটের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণের ও দরিদ্র মানুষের পণ্যের উপযুক্ত মূল্য অর্জনে ভূমিকা রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু সমবায়ের মাধ্যমে বৃহৎ পুঁজি ও উদ্যোক্তা তৈরি সম্ভব। ক্ষুদ্রঋণ শুধু দরিদ্র মানুষের জন্য। ব্যক্তির দক্ষতা ভায়াবেল না হলে, এনজিওর পক্ষ থেকে সঠিক সহযোগিতা না পেলে ঋণ দরিদ্র জনগণের গলায় ফাঁসে পরিণত হয়। কিন্তু সমবায় ঋণগ্রহীতা নিজেই ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক। কাজেই নিজস্ব পুঁজির বিকাশ ও উদ্যোক্তা তৈরি ছাড়া সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়।

বঙ্গবন্ধু স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, ‘সমবায়ের মাধ্যমে গরিব কৃষকরা যৌথভাবে উৎপাদন-যন্ত্রের মালিকানা লাভ করবে। অন্যদিকে অধিকতর উৎপাদন বৃদ্ধি ও সম্পদের সুষম বণ্টন ব্যবস্থায় প্রতিটি ক্ষুদ্র চাষি গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ ও অধিকার পাবে। জোতদার ধনী চাষির শোষণ থেকে তারা মুক্তি লাভ করবে সমবায়ের সংহত শক্তির দ্বারা। একইভাবে কৃষক, শ্রমিক, তাঁতি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যদি একজোট হয়ে পুঁজি এবং অন্যান্য উপাদানের মাধ্যমে একত্র করতে পারেন তবে আর মধ্যবর্তী ধনী ব্যবসায়ী শিল্পপতি গোষ্ঠী তাদের শ্রমের ফসলকে লুট করে খেতে পারবে না। সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামবাংলায় গড়ে উঠবে ক্ষুদ্রশিল্প, যার মালিক হবে সাধারণ কৃষক শ্রমিক এবং ভূমিহীন নির্যাতিত দুঃখী মানুষ।’ বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন অর্থনৈতিক সামগ্রিক উন্নয়নের সুফল সামাজিকভাবে পেতে হলে সমবায়কে সত্যিকার গণতন্ত্রায়ণে নিয়ে আসতে হবে। সমবায় সংস্থাগুলোকে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তিনি ঘোষণা করেনÑ‘সংস্থার পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ওপর, কোনো আমলা বা মনোনীত ব্যক্তির ওপরে নয়। দেখতে হবে, সমবায় সংস্থাগুলো যেন সত্যিকারের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠে।’ আমরা জানি, সমবায়ের মূলধারা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ইতিবাচক। সমবায়ের মূলকথাÑআমাদের সঞ্চয়, আমাদের বিনিয়োগ, আমাদের সমৃদ্ধি। সমবায়ের লক্ষ্য হলো স্বাভলম্বন ও স্বনির্ভরতা। বাংলাদেশের সংবিধানে উৎপাদন ও মালিকানা ব্যবস্থায় ‘সমবায়’কে একটি অন্যতম খাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৯৯৫ সালে ইউএনডিপি-আইএলওর এক যৌথ মিশন বাংলাদেশে সমবায় উন্নয়ন, কর্মপরিকল্পনা ও কৌশলবিষয়ক একটি রিপোর্ট সরকারের কাছে দাখিল করে। রিপোর্টে সমবায় খাতকে পুনর্বিন্যাসের নিমিত্ত সমবায় আইন সহজীকরণ, সমবায় অধিদফতকে উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে সম্পৃক্তকরণ, সমবায় প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদারকরণ এবং সমবায় আন্দোলনের ক্ষেত্রে নতুন কর্মসূচির সুপারিশ করা হয়। রিপোর্টে দারিদ্র্যবিমোচনে সমবায়কে সম্পৃক্তকরণসহ জাতীয় সমবায় নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশও অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছেÑবঙ্গবন্ধু যে গণমুখী সমবায়ের সূত্রপাত করেছিলেন কার্যত তার বাস্তবমুখী প্রতিফলন ঘটছে না। বর্তমান সরকারের প্রধান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের টেকসই উন্নয়নে সমবায়ের মাধ্যমে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। এই সরকারের আমলেই সমবায়কে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কাজ হলেওÑ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহ অনুযায়ী সমবায়ের নীতিমালাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর তেমন তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের রূপকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ ১৯৭৫ স্বাধীনতা দিবসের র‌্যালিতে সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেনÑ‘আগামী ৫ বছরে সরকার বাধ্যতামূলকভাবে ৬৫ হাজার গ্রামে বিভিন্নমুখী সমবায় চালু করবে।’ বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সমবায়ের মাধ্যমে দেশের জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন বাঙালি জাতির সাঁইকি। তাই তিনি সব ধরনের উন্নয়নের কথা ভেবেছিলেন দেশের আপামর জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ৩০ জুন ১৯৭২ বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন আয়োজিত সমবায় সম্মেলনের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেনÑ‘সমবায়ের পথÑসমাজতন্ত্রের পথ, সমবায়ের পথÑগণতন্ত্রের পথ।’ কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সমবায়ী চেতনা এই মূলধারা থেকে দেশ অনেকটাই বিচ্যুত। গণমুখী সমবায়ে বঙ্গবন্ধুর সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রের দৃষ্টিভঙ্গির কথা পাঠ্যসূচিতে উঠে আসা দরকার।

সমবায় সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘দল বেঁধে থাকা দল বেঁধে কাজ করাই মানুষের ধর্ম। যথেষ্ট পরিমাণ স্বাধীনতাকে সর্বসাধারণের সম্পদ করে তোলবার মূল উপায় হচ্ছে ধন অর্জনে সর্বসাধারণের শক্তিকে সম্মিলিত করা।’ এই সম্মিলিত শক্তিই সমবায় শক্তির নামান্তর। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেনÑওরে নিপীড়িত, ওরে ভয়ে ভীত, শিখে যা আয়রে আয়।/দুঃখ জয়ের নবীনমন্ত্র সমবায়, সমবায়। উল্লেখ করা প্রয়োজন, বাংলাদেশে সমবায় চেতনার পথিকৃৎ ব্যক্তিটির নাম ড. আখতার হামিদ খান। তিনি মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে সমবায় মন্ত্রে দীক্ষিত করেছেন কৃষক, শ্রমিক, আম-জনতাকে। সমাজের সাধারণ, দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়নের ঐতিহাসিক প্রয়োজনে সমবায়কে নতুনরূপ দিয়েছেন, যার অমর সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)। সমবায়ের দীক্ষা হলোÑদেশের টাকায় দেশীয় প্রতিষ্ঠান। সমবায়ের মাধ্যমে সদস্যদের সঞ্চয় দিয়ে গড়ে তোলা সম্ভব শিল্পপ্রতিষ্ঠান। আমাদের টাকায় গড়ে ওঠা আমাদের প্রতিষ্ঠানে আমাদেরই কর্মসংস্থান হবে। দেশের টাকা দেশেই থেকে যাবে। আমাদের লাভ দিয়ে গড়ে উঠবে আরো নতুন প্রতিষ্ঠান। এভাবেই ঘটবে সমাজে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। দূর হবে দারিদ্র্য। মানুষে মানুষে তৈরি হবে মানবতার সেতুবন্ধ। সমবায় ব্যবস্থায় সমাজ গড়ে তোলতে পারলে বিদেশি অর্থ সাহায্যের মুখাপেক্ষী হতে হবে না। তাদের কঠোর শর্ত মেনে কাজ করতে হবে না। বিদেশি প্রতিষ্ঠান আমরা গড়ে তুললে খুব লাভ নেই। কারণ আমাদের শ্রমে যে লাভ হয় তার সিংহভাগ চলে যায় বিদেশে।

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার উৎপাদন যন্ত্র, উৎপাদনব্যবস্থা ও বণ্টন প্রণালীসমূহের মালিক বা নিয়ন্ত্রক হিসেবে সমবায়কে দ্বিতীয় স্থানে নির্ধারণ করে আইন প্রণয়ন করেন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা দেনÑসমবায় হবে সম্পূর্ণ গণমুখী ও গণতান্ত্রিক এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় এর নীতি হবে সমাজতান্ত্রিক ও আন্তর্জাতিক। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু সমবায় আন্দোলনকে জোরালো ও গণমুখী করার লক্ষ্যে অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নেন। কৃষিতে ভর্তুকি দিয়ে সার সরবরাহ, সহজ শর্তে ঋণদান, মৎস্য সরঞ্জাম আমদানি শুল্ক রহিত, মৎস্যজীবীদের জলমহল ইজারা প্রদান, তাঁতিদের উৎপাদিত সুতা থেকে নির্দিষ্ট অংশ প্রদান, তাঁতশিল্প সরঞ্জাম আমদানিতে আইন প্রণয়ন, তাঁতিদের সহজ শর্তে ঋণদান ইত্যাদি সে সময় করা হয়েছিল। তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পেরেছিল যে যুদ্ধবিধ্বস্ত বিপুল জনগোষ্ঠীর এই দরিদ্র জনসাধারণের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন একমাত্র সমবায়ের মাধ্যমেই সম্ভব। সমবায়ের মাধ্যমে বিন্দু থেকে সিন্ধু গড়ে ওঠে। এ চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সমবায় আন্দোলন প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে, সেই সঙ্গে নতুন নতুন দিগন্ত সংযোজিত হচ্ছে। সমবায়ীদের সমবেত প্রচেষ্টা দারিদ্র্যবিমোচন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক সংস্কার, খাদ্য সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র ও স্বল্পবিত্ত জনগোষ্ঠী বিচ্ছিন্ন ও ক্ষুদ্র সম্পদকে একত্র করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ রচনা করছে। কৃষি, মৎস্য, তাঁত, সেচ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা খাতে গড়ে ওঠা বিভিন্ন পেশাভিত্তিক সমবায় সমিতি দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। সব সমবায়ী দারিদ্র্যবিমোচন ও আত্মকর্ম সংস্থানমূলক কর্মকা-ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে রং বদলাচ্ছে সমবায়ের। বঙ্গবন্ধুর ভাষায়Ñ‘...এই লক্ষ্যে যদি আমাদের পৌঁছাতে হয় তবে অতীতের ঘুণে ধরা সমবায় ব্যবস্থাকে আমূল পরিবর্তন করে একটি সত্যিকারের গণমুখী আন্দোলন গড়ে তুলতে আমাদের সমবায় আন্দোলন হবে সাধারণ মানুষের যৌথ আন্দোলন। সমবায় হবে কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি জনতার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান। ...ভাইয়েরা আমারÑআসুন, সমবায়ের জাদুস্পর্শে সুপ্ত গ্রামবাংলাকে জাগিয়ে তুলি। ...আমাদের সঙ্গবদ্ধ জনশক্তির সমবেত প্রচেষ্টায় গড়ে তুলতে হবে সোনার বাংলা।’

লেখক : কৃষি-অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়ন বিশ্লেষক

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist