রায়হান আহমেদ তপাদার
আন্তর্জাতিক
ফিরে দেখা ২০১৭
গত বছর ইউরোপে বেশ কটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটেন লিসবন চুক্তির ৫০ ধারা অনুসরণ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ডিসেম্বর মাসেই ব্রিটেন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন, ব্রেক্সিটের কারণে ব্রিটেনকে কী পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে (অর্থের পরিমাণ ৪০ থেকে ৬০ বিলিয়ন ইউরো)। ২০১৯ সালে ব্রিটেনের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। জার্মানিতে চলতি বছর যে নির্বাচন সম্পন্ন হয়, তাতে বর্তমান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মরকেলের দল বিজয়ী হলেও সরকার গঠনে সেখানে জটিলতা রয়ে গেছে। ডিসেম্বরে এসেও সরকার গঠনের কাজটি সম্পন্ন হয়নি। মে মাসে ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ম্যাক্রোঁ বিজয়ী হয়েছিলেন। সেটা ছিল একটা বড় ধরনের ঘটনা। সেপ্টেম্বর মাসে কাতালোনিয়ায় গণভোটে স্পেন থেকে বেরিয়ে গিয়ে আলাদা একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের পক্ষে রায় পড়লেও তা স্পেন স্বীকার করে নেয়নি; বরং কাতালোনিয়া সরকারকে বরখাস্ত করে। ডিসেম্বেরে নির্বাচনে এ বিচ্ছিন্নতাবাদীরাই আবার বিজয়ী হয়েছে। অস্ট্রিয়ার নির্বাচনে উগ্রপন্থিরা বিজয়ী হয়ে সেখানে সরকার গঠন করেছে। জুন মাসে মন্টিনিগরো ২৯তম সদস্য হিসেবে ন্যাটোয় যোগ দেয়। এক ধরনের উগ্র জাতীয়তাবাদ ইউরোপের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। মূলত ব্যাপক হারে সিরীয় ও ইরাকি অভিবাসীদের ইউরোপে প্রবেশের কারণেই এ দক্ষিণপন্থি প্রবণতা বেড়েছে। এটা ২০১৮ সালের রাজনীতিতেও বড় প্রভাব ফেলবে। ২০১৭ সালে বিশ্বরাজনীতিতে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে জেরুজালেম প্রশ্নে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা, জাতিসংঘ কর্তৃক ওই সিদ্ধান্ত অকার্যকর ও বাতিল ঘোষণা, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে সৌদি আরবের ভূমিকা, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া উত্তেজনা।
জেরুজালেম নিয়ে সংকটের প্রেক্ষাপটে ইস্তাম্বুলে ওআইসির বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ১৩ ডিসেম্বর। সেখানে বিশ্ববাসীর কাছে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ ক্ষেত্রে এটাকে একটি আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য নন-মুসলিম দেশকেও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করার কথা কোনো কোনো পর্যবেক্ষকের পক্ষ থেকে উচ্চারিত হয়েছে। বিশেষ করে চীনের কথা বলছেন কেউ কেউ (অধ্যাপক চন্দ্রা মুজাফফরের প্রবন্ধ, এষড়নধষ জবংবধৎপয। এটাকে নতুন এক ধরনের ব্যালফোর ঘোষণার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। বিশেষ এই অধিবেশনে সৌদি রাজা যোগ দেননি। বলা ভালো, ১৯১৭ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ জে ব্যালফোর ব্রিটিশ জায়নিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি লর্ড রথ চাইল্ডকে যে চিঠি দেন, তার ওপর ভিত্তি করেই ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। ফিলিস্তিনি এলাকায় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের উচ্ছেদ করে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হলেও আজ অবধি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। গণতন্ত্রের জন্য চলতি বছরটি ছিল ভালো ও মন্দের দিক মিলিয়ে। আফ্রিকার গণতন্ত্র ছিল প্রশ্নের মুখে। ২০১৭ সালে আলোচিত ঘটনাগুলোর আরো একটি হচ্ছে জিম্বাবুয়ের দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট বরার্ট মুগাবের ক্ষমতা থেকে অপসারণ। তিনি দীর্ঘ ৩৭ বছর জিম্বাবুয়ে শাসন করে আসছিলেন। কিন্তু তার ক্ষমতালিপ্সু স্ত্রী গ্রেস স্বামীর অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে নিজে প্রেসিডেন্ট হতে উদ্যোগী হন। আর তখনই ‘বিদ্রোহ’ সংঘটিত হয় দলের ভেতরে। সেই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে অপসারিত এমারসন মানানগা গাবা। আর তাকে সমর্থন করে সেনাবাহিনী।
ক্ষমতার দ্বন্দ্বে শেষ পর্যন্ত মুগাবে পদত্যাগ করেন এবং নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন মানানগাগাবা। তবে এ ক্ষেত্রে মুগাবেকে সব ধরনের অন্যায় ও অবিচার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাকে আর বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো যাবে না। বছরের একটা বড় সময়জুড়ে এ বিষয়গুলো বারবার আলোচিত হয়েছে। ইরানের সঙ্গে ছয় জাতি পারমাণবিক চুক্তি ট্রাম্প কর্তৃক বাতিলের ঘোষণাও বড় বিতর্কের ঝড় তোলে। রাশিয়ার সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ভালো ছিল না ২০১৭। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (২০১৬) রাশিয়ার প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি বারবার গণমাধ্যমে এসেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এক বছরের শাসনামলে একাধিক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা হয় পদত্যাগ করেছেন অথবা ট্রাম্প তাদের সরিয়ে দিয়েছেন। একটা বছর এক ধরনের অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে মার্কিন প্রশাসনের। দক্ষিণপন্থি উত্থান ইউরোপের রাজনীতিকে একটা বড় প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে গেল বছর। ট্র্যাডিশনাল রাজনীতির সেখানে ব্যত্যয় ঘটেছে। অস্ট্রিয়া কিংবা জার্মানিতে উগ্র ডানপন্থিদের উত্থান ও ক্ষমতা গ্রহণ (অস্ট্রিয়া) ইউরোপের সনাতন রাজনীতিকে একটা প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে; জন্ম দিয়েছে নানা বিতর্কের। লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দেশগুলোর জন্য গত বছর কোনো ভালো সংবাদ ছিল না। ভেনিজুয়েলার মাদুরো সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের যথেষ্ট অবনতি ঘটে। আর ওবামা প্রশাসন কিউবার রাহুল ক্যাস্ত্রো প্রশাসনের সঙ্গে যে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন, ট্রাম্প প্রশাসন তা এক রকম বাতিল ঘোষণা করেছে। চলতি বছর ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য বিশ্ব আসরে কিছুটা হলেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের যথেষ্ট অবনতি ঘটেছে।
গত বছর উত্তর কোরিয়া একাধিক আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। একটি হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণও ঘটিয়েছে তারা। শুধু তা-ই নয়, উত্তর কোরিয়া সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক বোমা হামলা চালাতে পারেÑএমন হুমকি দিয়ে আসছে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এই সম্ভাব্য ‘হামলা’কে ট্রাম্প প্রশাসন খুব সিরিয়াসলি নিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে কোনো নীতি অবলম্বন করা হবে, তা স্পষ্ট নয়। এরই মধ্যে জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়ার ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ ক্ষেত্রে ট্রাম্প-টিলারসন দ্বন্দ্বের খবরও পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে। সরাসরি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সংলাপে যাবে কি না, এটা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে। ট্রাম্প প্রশাসনের আমলেই দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘থাড’ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর কোরিয়া থেকে আসা যেকোনো মিসাইল মহাশূন্যেই ধ্বংস করে দিতে পারবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ব্যয়ভার কে বহন করবে? ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, এর ব্যয়ভার বহন করবে দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু তাতে আপত্তি জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। চলতি বছর উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধের ব্যাপারে ট্রাম্প যেমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি, ঠিক তেমনি ইরানের সঙ্গে ওবামা প্রশাসনের আমলে যে পারমাণবিক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তা থেকেও বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, ওই চুক্তি তিনি মানবেন না। তিনি মনে করেন, ওই চুক্তির মধ্য দিয়ে ইরানের পারমাণবিক শক্তিধর হয়ে ওঠার সম্ভাবনাকে বন্ধ করা যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলের অভিমতও অনেকটা তেমনই। ইসরায়েল মনে করে, ইরান এরই মধ্যে পারমাণবিক বোমা তৈরি করার সক্ষমতা অর্জন করেছে! কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, ইরান সমঝোতায় শুধু ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রই জড়িত নয়; বরং ২০১৫ সালে যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তাতে জড়িত ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও জার্মানি। এখন এককভাবে যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতে পারে না। একই কথা প্রযোজ্য জলবায়ু চুক্তির ক্ষেত্রেও। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্যারিসে জলবায়ু চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ১৯৫টি দেশ এতে স্বাক্ষর করেছিল। পরে ২০১৬ সালের ২২ এপ্রিল জাতিসংঘের সদর দফতরে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এটি অনুমোদিত হয়েছিল এবং আন্তর্জাতিক আইনে পরিণত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রও তখন চুক্তিটি অনুমোদন করেছিল ও জাতিসংঘের সদর দফদরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাতে স্বাক্ষর করেছিল। এটা এখন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, গ্রিনহাউস গ্যাসের কারণে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের হার কমাতে হবে। প্যারিস চুক্তিতে সেভাবেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এখন ট্রাম্প বলছেন, তিনি এ চুক্তি মানেন না। তিনি চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহারের কথাও বলেছেন। এ কারণে সত্যি সত্যিই যদি যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে বিশ্বের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা আদৌ সম্ভব হবে না। ভুলে গেলে চলবে না, জ্বালানি একটা বিশাল ব্যবসা। ট্রাম্প নিজে ব্যবসায়ী। তিনি যা করছেন, তা ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই করছেন। আজ তিনি যখন জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন, তখন ওই ব্যবসায়িক স্বার্থটাই বড় হয়ে দেখা দেয়। চলতি বছর মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে সিরিয়া-ইরাকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যোদ্ধাদের পরাজয়।
২০১৪-১৫ সালে আইএসএর উত্থান ও তাদের হত্যাযজ্ঞ সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। তারা বন্দিদের আগুনে পুড়িয়ে মেরে নিজেরা তা প্রচারও করেছিল। তারা বিশ্বব্যাপী একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছিল। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে তারা তথাকথিত একটি খেলাফত প্রতিষ্ঠার কথাও ঘোষণা করেছিল। সিরিয়া-ইরাকের একটা অংশ দখল করে নিয়ে তারা তথাকথিত একটি ‘জিহাদি রাষ্ট্র’ও প্রতিষ্ঠা করেছিল, যার রাজধানী ছিল সিরিয়ার রাকায়। শেষ পর্যন্ত সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপের কারণে পুরো দৃশ্যপট পাল্টে যায়। সিরিয়া থেকে আইএস উৎখাত হয়। তবে এই উৎখাত মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির সুবাতাস নিশ্চিত করেনি। সৌদি আরবের একটি ভূমিকা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে একটি বড় অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। চলতি বছর পুরোটা সময় সৌদি আরব ইয়েমেনে বিমান হামলা অব্যাহত রাখে। অব্যাহত বোমা হামলায় হাজার হাজার শিশু সেখানে মারা গেছে; সেখানে বড় ধরনের চিকিৎসা সংকট দেখা দিয়েছে। ইয়েমেন কার্যত এখন দ্বিধাবিভক্ত একটি দেশ। অন্যদিকে ইয়েমেনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সৌদি আরবের সামরিক হস্তক্ষেপ কাতারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ও কাতারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ, লেবাননের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ সব মিলিয়ে সৌদি আরবের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
লেখক : সমাজবিশ্লেষক ও কলামিস্ট
"