reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৯ মে, ২০১৬

দীর্ঘগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী ইউনিয়নে একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ভোগান্তি পোহাচ্ছে দীর্ঘগ্রামসহ প্রায় ২০ গ্রামের অধিবাসী। উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১৬ কিমি পশ্চিমে এ গ্রামের অবস্থান। প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার লোকের বসবাস এ গ্রামে কিন্তু লাগেনি তেমন কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া। গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যায় একটি খাল। এ খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছেন এ গ্রামসহ ১০-১২টি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, খালের ওপর তৈরি সাঁকোটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেতুটির সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে হাট-বাজার, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাতায়াত করতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে ঝুঁকি নিয়েই কাঠের সাঁকো দিয়ে খাল পারাপার হচ্ছেন স্কুল-কলেজ, মাদরাসার সহরাধিক শিক্ষার্থী। এতে কখনো কখনো তাদের দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘগ্রাম খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণ দীর্ঘদিনের দাবি এলাকাবাসীর। নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা সেতুটি সংস্কারের আশ্বাস দিলেও এ পর্যন্ত কেউ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। ৫-৬ বছর ধরে সেতুটি এ অবস্থায় পড়ে আছে। দুর্ভোগ ছাড়া কিছুই জুটেনি প্রত্যন্ত অবহেলিত এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. হাসান জানান, এ সাঁকো দিয়ে হেঁটে চলাচল করলেও কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। স্থানীয় গৃহিণী সালমা বেগম বলেন, বর্ষা মৌসুমে রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। এ সাঁকো সংস্কার হলে তাদের দুঃখ-কষ্ট অনেকটা কমবে। এই কাঠের সাঁকোর ওপর দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। যার কারণে অসুস্থ কোনো রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হলে দ্রুত না নেওয়ার ফলে রোগীর অবস্থা আরো অবনতি হয়। দীর্ঘগ্রাম সরকারি প্রাথমিক ও জৈনতপুর আশরাফুল উলুম মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও এ সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন। দীর্ঘগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, তার স্কুলে যেতে শিক্ষার্থীদেরও কাঠের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। ফলে অনেকেই অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই সেতু তৈরি হলে আমরা আরো বেশি শিক্ষার্থী পাব।

মো. শামীম, নবাগঞ্জ

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist