প্রতীক ইজাজ

  ২৬ অক্টোবর, ২০১৬

রাজনীতি এখন নির্বাচনমুখী

কয়েক মাস ধরেই দেশে জাতীয় নির্বাচনের হাওয়া বইছে। আলোচনা হচ্ছে নির্বাচনের নানা দিক নিয়ে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগই প্রথম নির্বাচনের ব্যাপারে কথা বলা শুরু করে। এরপর এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দেয় নানা হিসাব-নিকাশ ও বিশ্লেষণ। ক্ষমতার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ও সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের নানা কর্মকান্ড নির্বাচনী তৎপরতারই আভাস দিচ্ছিল। এমনকি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক এবং বাম দলগুলোর মধ্যেও এক ধরনের নির্বাচনমুখী ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। সর্বশেষ গত রোববার শেষ হওয়া আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের সেই মৃদুমন্দ হাওয়া বইতে শুরু করেছে আরো জোরে। স্বয়ং সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনমুখী নীতিনির্ধারণী বক্তব্যে নির্বাচনের প্রস্তুতির হাওয়ায় আরো বেশি গতি পেল।

সর্বশেষ গত সোমবার দলের পুনর্নির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনাকে গণভবনে নেতাকর্মীরা অভিনন্দন জানাতে গেলে সেখানে স্পষ্ট করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দলীয় নেতাকর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, হাতে আর দুই বছর দুই মাস সময় রয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাই এ সময়কে সর্বাত্মকভাবে ব্যবহার করতে হবে।

অর্থাৎ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দেশে জোরেসোরে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু হলো এমনটি বলা চলে। সে সঙ্গে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নিয়ম রক্ষার নয়, আগামী নির্বাচন হবে উৎসবমুখর এবং দেশের সবকটি রাজনৈতিক দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে- এমন ইঙ্গিতও এসেছে দলের পক্ষ থেকে। এমনকি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও আওয়ামী লীগের সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সম্মেলনকে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরুর আনুষ্ঠানিকতা বলেও মত দিয়েছেন। তাদের মতে, সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দেশে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু হলো। ক্ষমতাসীন দলের পাশাপাশি অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও আরো জোরেসোরে নির্বাচনের কাজে নামবে। কারণ ক্ষমতাসীন দল অন্ততপক্ষে এটি স্পষ্ট করেছে যে, আগামী নির্বাচন হবে প্রতিযোগিতামূলক ও সব দলের অংশগ্রহণে।

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. সালাহউদ্দিন এম আমিুনজ্জামান বলেন, সাধারণত সরকার সুসময়ে নির্বাচন দিতে চায়। বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে, সুসময় চলছে। আগামী বছরের মধ্যে আরো কিছু সাফল্য আসবে। সুতরাং এমন সুসময় থাকতে থাকতেই সরকার চাইবে নির্বাচন করতে। এমনো হয় যে, এমন পরিস্থিতিতে সরকার আগাম নির্বাচনও দিতে পারে।

‘অন্যদিকে রাজনৈতিকভাবেও সরকার সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। এ মুহূর্তে নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপির কোনো পছন্দ নেই। বিগত আন্দোলন থেকেও দলটি ইতিবাচক কিছু অর্জন করতে পারেনি। সুতরাং তাদের এবার নির্বাচনে যেতেই হবে। সেদিক থেকেও সরকার এগিয়ে। তাই সরকার নির্বাচন নিয়ে এমন তোড়জোড় করছে’- মন্তব্য করেন এই শিক্ষক।

সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মেয়াদ শেষে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। এর আগে নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ও সংসদ অধিবেশন শুরু হয় ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি। সেই হিসেবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ি ২০১৮ সালের শেষ অথবা ২০১৯ সালের শুরুতে একাদশ সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা।

আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও সম্মেলনের মাধ্যমে নবগঠিত কমিটি বিশ্লেষন করে দেখা গেছে, নির্বাচনী তৎপরতায় এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগই এগিয়ে। এ বছরের শুরু থেকেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দলটি। দলের ২০তম কাউন্সিলই হলো সেই প্রস্তুতির সূচনা। ঘোষণাপত্রে ও দলীয় সভাপতি বক্তব্যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি এসেছে। আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিশ্রুতি হলো শতভাগ দারিদ্র্য ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গঠন। এছাড়া কমিটি গঠনের মধ্যেও রয়েছে নির্বাচনী আমেজ। তেমনি সম্মেলনের সবকিছুই ছিলো সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে। মঞ্চসজ্জা, সমাবেশ স্টলের আয়োজন, দলের ইতিহাস ঐতিহ্য প্রদর্শণ ও প্রচার, প্যাভেলিয়ানগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের গত দুই বছরের অর্জন তুলে ধরা এবং জাঁকজমকের মধ্য দিয়ে সারাদেশের মানুষকে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসার যে প্রয়াস-তার সবই আগামী নির্বাচনকে ঘিরে।

দলীয় সূত্রগুলো জানায়, সম্মেলন উপলক্ষে গত কয়েকমাস ধরে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেছেন, সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলের সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করার জোয়ার সৃষ্টি করতে হবে। তিনি ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন চান না। আগামীতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে এবারের নিয়ম রক্ষার নির্বাচনকে ছাপিয়ে যেতে যান। আর সে জন্যই এবারের কমিটিতে এমন নেতৃত্ব আনা হয়েছে, যেন তৃণমূলকে গুরুত্ব দেওয়া যায়।

অবশ্য এবারের কমিটির প্রধান চমক প্রথমবারের মতো নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্মেলনের পর সোমবার পর্যন্ত নির্বাচনমুখী কোন বক্তব্য দেননি। কিন্তু গতকাল সম্পাদকমন্ডলীর সংবাদ সম্মেলনে দলে যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দলে অনেক পরিবর্তন আসছে। যারা জনগণের সঙ্গে আচরণ খারাপ করবে, যাদের অপকর্মের কারণে সরকার ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে, আগামী নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন থাকবে।

এ ব্যাপারে টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিক বলেন, এবারের সম্মেলন থেকেই দলকে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। নেত্রী (শেখ হাসিনা) সম্মেলনে ও সম্মেলনের আগে প্রস্তুতি সভাগুলোতেও সবাইকে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ গণ ও নির্বাচনমুখী দল। নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনই দলের অঙ্গীকার। সুতরাং জনগণকে আস্থায় আনতে তাদের দোরগোড়ায় গিয়ে সমস্যার সমধানের নির্দেশ রয়েছে।

অবশ্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের অবস্থা এখন ভালো। ভূ-রাজনীতিতে সরকার মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। তারমানে বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। দেশের বড় বিরোধী দল বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে তছনছ করে দিতে পেরেছে সরকার। বিএনপির রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামীও প্রায় নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনের মতো চলছে। সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ঝিমিয়ে পড়েছে। বাম দলগুলো অনৈক্য ও বিভ্রান্তির জালে ঘুরপাক খাচ্ছে। ফলে সরকার নির্বাচনকে ইতিবাচকভাবেই দেখছে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনমুখী সম্মেলনের পর এখন পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কোন বক্তব্য দেয়নি; কিন্তু দলের অনেক আগেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরুর আভাস মিলেছে। দলের নীতিনির্ধারণী মহলের মতে, বড় ধরনের জটিলতা সৃষ্টি না হলে বিএনপি আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার মতো ভুল দ্বিতীয়বার করবে না। জাতীয় নির্বাচন যখনই হবে বিএনপি তাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে। এজন্য শুধু নির্বাচনী প্রস্তুতি ছাড়া ভিন্ন কোনো এজেন্ডা নিয়ে বিএনপি আর সময় ব্যয় করবে না। হাইকমান্ডের এমন মনোভাবের কথা দলের সব ধাপকে জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্র আরো জানায়, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের ভেতর কৌশলগত বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। দলের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে পরবর্তী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা। দলের নেতারা মনে করছেন, পরবর্তী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হলেই কেবল তা বিএনপির জন্য ভালো ফল বয়ে আনতে পারে। নির্বাচনকালীন সরকার কাঠামো কেমন হবে, তা নিয়ে বিএনপি তাই নতুন করে ভাবনা শুরু করেছে। তবে এ ভাবনায় কট্টর কোনো অবস্থান নেই। বিদ্যমান ব্যবস্থায় অর্থাৎ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে দলটি প্রধানত আলোচনার পক্ষপাতী। পাশাপাশি জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনমুখী মানসিকতায় পরিবর্তন এনে নতুন স্ট্র্যাটেজির দিকে এগোচ্ছে বিএনপি। এক্ষেত্রে সাংগঠনিক ও কূটনৈতিক তৎপরতার পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেও বলেছেন, বিএনপি একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গ্যারান্টি চায়। আর এটা নিশ্চিত করার পথে কোনো বিষয়েই অনমনীয় নয় বিএনপি। প্রয়োজন শুধু আলোচনা-সমঝোতা।

তবে বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদের মতে, বিএনপি সব কমিটি এখনো করতে পারেনি। দলটি বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে পড়েছে, সেখান থেকে উত্তরণের কোনো লক্ষণ নেই। তাই বিপুল জনসমর্থন থাকলেও তাদের সংগঠিত করার মতো শক্তি দলটির নেই। আর এ অবস্থার সুযোগ সরকার নেবে। সরকার যখন দেখে বিরোধী দল দুর্বল, তখনই সেই সময়টিকে মোক্ষম মনে করে নির্বাচন দিয়ে থাকে।

রাষ্ট্র পরিচালনায় যেতে চাইলে জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে সম্ভব নয়- এমন ধারণা থেকেই নির্বাচনী প্রচারণায় আগেভাগেই নেমেছে দলটি। এ জন্য নির্বাচনে সব কয়টি আসনে এককভাবে দলীয় প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন দলের চেয়ারম্যান এরশাদ। ১ অক্টোবর সিলেটের হযরত শাহজালালের (রহ.) মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দলের জাতীয় নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তুতি ক্যাম্পেইনের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। সে অনুয়াযী প্রস্তুতি নিতে তিনি দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ভবিষ্যতে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়ার বিষয়টি এখনই আমলে নিতে নারাজ এরশাদ। তিনি চান একক নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করে এগোচ্ছেন তিনি। ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ। এর আগে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের পাশাপাশি বিভাগীয় শহরগুলোতেও এরশাদ যাবেন বলে তিনি জানান।

নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বাম দলগুলোর মধ্যেও। বিভিন্ন দল ইতোমধ্যেই নির্বাচনী আসন বিন্যাসের কাজ শুরু করেছে। সে জন্য তৃণমূলে নেতাকর্মীদের সক্রিয় হতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে অবশ্যই আমাদের পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে। আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আগামী কংগ্রেসে সার্বিক বিষয়ের পাশাপাশি নির্বাচনী ভাবনাও তুলে ধরা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist