reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭

স্টামফোর্ডে প্যানেল ডিসকাশনে বক্তারা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও যান্ত্রিকীকরণ বাড়ছে

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের আওতাভুক্ত এইচআর শাখার আয়োজনে সম্প্রতি সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে হয়ে গেল দিনব্যাপী প্যানেল ডিসকাশন এবং কেপিআই নিয়ে একটি সেমিনার। মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার সমসাময়িক বিভিন্ন দিক এবং নিত্যনতুন সংযোজন নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ২৫ জন এইচআর প্রধান।

বিভাগের সিনিয়র লেকচারার শবনম মোস্তারীর সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের ডিন প্রফেসর জামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আয়োজনে বক্তব্য রাখেন আয়োজনের প্রধান আকর্ষণ উপমহাদেশের এইচআর গুরু, বিএসএইচআরএমের প্রতিষ্ঠাতা মোশাররফ হোসাইন। এ সময় বক্তব্য রাখেন বিভাগের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাস কো-অর্ডিনেটর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর নাঈম জালাল উদ্দিন আহমেদ, উপস্থিত ছিলেন প্রগ্রেসিভ ট্রেনিং ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কনসালট্যান্ট অ্যাসোসিয়েটসের (পিটিডিসিএ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাশেকুর রহমান খান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এইচআরডি ইনস্টিটিউটের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ এ সোবহানী, বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন ফর লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বোল্ড) সভাপতি কাজী এম আহমেদ, বিভাগের এইচআর শাখার হেড শাম্মী আক্তার। এ সময় স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের পক্ষ থেকে এফএইচআরএম, বিএসএইচআরএম সভাপতি মোশাররফ হোসাইনকে ‘দ্য ইউনিভার্সাল এইচআর গুরু’ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সম্মাননা স্মারকটি তার হাতে তুলে দেন বিভাগের ডিন প্রফেসর জামাল উদ্দিন আহমেদ।

বক্তারা বলেন, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে শুধু কর্মী নিয়োগ আর ছাঁটাই হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। মূলত যেকোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও পরিবর্তিত অবস্থার সঙ্গে খাপখাইয়ে নিতে সহযোগিতা করে এ বিভাগ। এজন্য শারীরিক, মানসিক দিকের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কর্মীর আত্মিক সম্পর্কের বিষয় নিয়েও বিভাগের কর্মকর্তাদের ভাবতে হবে।

গবেষণার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও যান্ত্রিকীকরণ বাড়ছে। রোবটের ব্যবহার বাড়ছে। সুতরাং জ্ঞান, মুখস্থবিদ্যার মতো গুণাবলিগুলো কোনো কর্মীর জন্য যথেষ্ট নয়। এসব যোগ্যতা রোবটকেও দেওয়া যায়। এখন মূল্যায়ন করতে হবে আপনি একজন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে প্রতিষ্ঠানকে কী মূল্য সংযোজন করছেন। বর্তমানে একদিকে প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষ লোক পাচ্ছে না, অন্যদিকে অনেক লোক বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে। দক্ষতা ও প্রয়োজনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের কারণে এমনটি হচ্ছে। এটি নিরসনের চেষ্টা খুবই প্রয়োজন। এদিকে কর্মক্ষেত্রে এখন আর ৯টা-৫টা ব্যবস্থা কার্যকর করা লাভজনক হচ্ছে না। কর্মীদের কাজের জন্য নিজস্ব পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। এছাড়া আধুনিক ও ক্রমপরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারলে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকা সম্ভব নয়।

এজন্য মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার ধারণাগুলোকে পুনর্গঠিত করা জরুরি বলে বিশেষজ্ঞরা মত দেন। এ সময় বক্তারা আরো বলেন, মুখ্য কর্মক্ষমতা সূচকসহ (কেপিআই) বিভিন্ন পদ্ধতিতে কর্মীদের দক্ষতা যাচাই করা হচ্ছে। কোম্পানির উন্নয়নের জন্য এটি করা হলেও কখনো কখনো এটি নেতিবাচক ফল বয়ে আনতে পারে। এজন্য বাস্তবতার সঙ্গে এর মিল স্থাপন করা দরকার। দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিজ্ঞতার সঙ্গে তত্ত্বের সমন্বয় এজন্য খুবই জরুরি। বর্তমানে বৈশ্বিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যে তরুণ নেতৃত্ব বেড়েছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ৯৫ শতাংশ বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী পদে ৩৫ বছরের কম বয়সীরা কাজ করছেন। কারণ বৃদ্ধরা প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। আমাদের দেশেও পরিবর্তনশীল অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist