ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের বার্ষিক চিত্রকলা প্রদর্শনী ৭ আগস্ট সোমবার চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে উদ্বোধন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ভালো পেশাজীবী অনেক পাওয়া যায়, কিন্তু ভালো মানুষের বড়ই অভাব।

অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক জামাল আহমেদ এবং অধ্যাপক ড. ফরিদা জামান। জুরিবোর্ডের পক্ষে বক্তব্য দেন অধ্যাপক শিশির কুমার ভট্টাচার্য, স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রদর্শনীর আহ্বায়ক আবদুস সাত্তার তৌফিক। প্রদর্শনীতে চিত্রকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তেলরং, জলরং, পেনসিল এবং নিরীক্ষাধর্মী বিভাগে নয়জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। শহীদ শাহনেওয়াজ স্মৃতি পুরস্কার (পেনসিল মাধ্যম) পেয়েছেন মো. নাজমুস সাকিম খান, শ্রেষ্ঠ মাধ্যম পুরস্কার (পেনসিল) সৌরভ ধর, মাহবুবুল আমীন স্মৃতি পুরস্কার (জলরং) ভুটানের শিক্ষার্থী উগেন তেসরিং দয়া, শ্রেষ্ঠ মাধ্যম পুরস্কার (জলরং) সৈকত সরকার, দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি পুরস্কার (তেলরং) শাহানা মোস্তফা, শ্রেষ্ঠ মাধ্যম পুরস্কার (তেলরং) মো. তরিকুল ইসলাম, কাজী আবদুল বাসেত স্মৃতি পুরস্কার; মো. রাকিবুল আনোয়ার, আনোয়ারুল হক স্মৃতি পুরস্কার; মো. রেজাউল করিম এবং নিরীক্ষাধর্মী কাজের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়েছেন শেখ ফাইজুর রহমান।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তার বক্তব্যে বলেন, চারুকলা, ব্যবসায় শিক্ষা বা বিজ্ঞান সব ধরনের শিক্ষার ক্ষেত্রেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে সত্যিকার অর্থে মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। ভালো পেশাজীবী অনেক পাওয়া যায় কিন্তু ভালো মানুষের বড়ই অভাব। চারুকলার শিক্ষার্থীরা প্রকৃতির কাছাকাছি থাকে বলে তাদের পক্ষে প্রকৃতির মতোই উদার হওয়া সম্ভব। একবিংশ শতাব্দীর জঙ্গিবাদী তৎপরতার যে সংকট তা থেকে পরিত্রাণের উপায় হচ্ছে ভালো মানুষ হওয়া। একজন প্রকৃত মনুষ্যত্ব সম্পন্ন মানুষ কখনো আরেকজন মানুষকে হত্যা করতে পারে না। প্রদর্শনীতে ৬০ জন শিক্ষার্থীর ৭২টি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। প্রদর্শনী চলবে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত । সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"