ডিআইইউতে স্মার্ট সিটি-গুড সিটি আওয়ার সিটি কর্মশালা
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) ও ফ্রেডরিক ন্যুম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম, বাংলাদেশের (এফএনএফ) যৌথ আয়োজনে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির মিলনায়তন-৭১-এ ‘স্মার্ট সিটি-গুড সিটি-আওয়ার সিটি’ শীর্ষক এক কর্মশালা গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় মুখ্য আলোচক ছিলেন দেশের বিশিষ্ট স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ মো. মাসুদুল ইসলাম। উদ্বোধন করেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ হামিদুল হক খান। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ফ্রেডরিক ন্যুম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডমের কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রফেসর ড. নাজমুল হোসেন, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির পরিচালক (স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স) সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু ও স্থাপত্য বিভাগের সিনিয়র লেকচারার শেখ মোহাম্মদ রিজওয়ান।
কর্মশালায় স্মার্ট সিটি সম্পর্কে নানা বিষয় তুলে ধরেন স্থপতি মো. মাসুদুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের বসবাসযোগ্য শহর নির্মাণের ধারণাকেই বলা হচ্ছে স্মার্ট সিটি।
এ সময় তিনি সিঙ্গাপুর, হংকং, দুবাই, কোরিয়াসহ বিভিন্ন স্মার্ট সিটির
উদাহরণ দেন।
বাংলাদেশের উদাহরণ টেনে মোঃ মাসুদুল ইসলাম বলেন, আমাদের শহরগুলোকে স্মার্ট সিটিতে পরিণত করতে হলে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
সবার আগে দরকার অবকাঠামোগত পরিকল্পনা। স্মার্ট সিটির অন্যতম শর্ত হচ্ছে উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা, প্রশস্ত ফুটপাত, পর্যাপ্ত গাছপালা ইত্যাদি। এ সময় মো. মাসুদুল ইসলাম আরও বলেন, স্মার্ট সিটি ডিজাইনের সময় ভৌগোলিক বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া ও পরিবেশ ইউরোপ, আমেরিকা বা মধ্যপ্রাচ্যের মতো নয়। ফলে দুবাইয়ের মতো স্মার্ট সিটি তৈরি করতে চাইলেই হবে না। নিজ দেশের ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় রেখে নগর পরিকল্পনা করা উচিত।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"