উচ্চশিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব অনেক। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এ বিষয়টিই সবাই গভীরভাবে অনুধাবন হয়েছে। শুধু তাই নয় পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অনলাইন প্ল্যাটফরম বাদ দিয়ে ভবিষ্যতেও উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব নয়।

২৬ জুন শুক্রবার রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ‘বাংলাদেশে অনলাইন শিক্ষা সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এই সভার আয়োজন করে। এতে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির প্রধান অতিথি এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় অংশ নেন বিভাগীয় অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মো. জাহিদুল ইসলাম। সভায় অনলাইন শিক্ষার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং চীন ও মালয়েশিয়ায় অধ্যানরত মেহেদী হাসান জনি ও জেসিয়া শারমিন।

সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে গোটা বিশে^র শিক্ষাব্যবস্থা আজ জর্জরিত। এক্ষেত্রে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪ কোটি এবং উচ্চশিক্ষা প্রায় ২৫ লাখ শিক্ষার্থী ভুক্তভোগী। তিনি বলেন, ফেস টু ফেস যোগাযোগ না হলেও শিক্ষা বন্ধ থাকতে পারে না। কারণ বিশে^ এর আগে যত ধরনের মহামারি এসেছে, সব মহামারিতেই শিখন প্রক্রিয়া চালু ছিল। তাই চতুর্থ বিপ্লবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এরই মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত যে পরিবর্তন এসেছে, সেটাকে এগিয়ে নিতেই অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে গুরুত্ব দিতে হবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রমের অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। এক্ষেত্রে গত আড়াই মাসে প্রায় ৯ হাজার ৭৪টি অনলাইন ক্লাস পরিচালিত হয়েছে। শুধু ক্লাস নয়, অনলাইন ভর্তি থেকে শুরু করে পরীক্ষা পদ্ধতি, পেমেন্ট সিস্টেমসহ অনেক কাজ এখন অনলাইনে হচ্ছে। এ সময় তিনি অনলাইন শিক্ষায় বাংলাদেশের নানা সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। অন্যান্য বক্তারা বলেন, অনলাইন শিক্ষার জন্য যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা দরকার, গত কয়েক দশকেও বাংলাদেশে সেটি তৈরি হয়নি। সুতরাং নানামুখী চ্যালেঞ্জ থাকলেও করোনা সংকটকালে অনলাইন শিক্ষার পূর্ণ সুবিধা সবাইকে নিতে হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"