ক্যাম্পাস ডেস্ক

  ১৩ জুন, ২০২০

ইউরোপের সেরা মিউনিখের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি

জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সেরা কোনগুলো? যদি এই প্রশ্ন করা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সেই তালিকায় চলে আসবে মিউনিখের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির নাম। প্রতি বছর এখানে দেশ বিদেশের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনার জন্য আসছে।

জার্মানিতে ব্যবহারিক বিষয়গুলো জোর দেওয়া হয় যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সেগুলোকে বলা হয় হোখশুলে। আর সেই তালিকায় বর্তমানে এক নম্বরে রয়েছে টেকনিশে উনিভার্সিট্যাট ম্যোনশেন বা টিইউএম। গোটা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নিয়ে যে ব্যাংকিং করা হয়, সেই শাংহাই ব্যাংকিং এ টিইউএম এর অবস্থান ৫৩। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগটি গোটা বিশ্বের মধ্যে ১২তম স্থান লাভ করেছে।

১ জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় সেই ১৮৬৮ সালে। প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে পড়াশোনা করছে প্রায় ৩১ হাজার ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে প্রায় ১৬ শতাংশ এসেছে বিদেশ থেকে। তাদের একজন বাংলাদেশি ছাত্র মাহফুজুর রহমান।

বাংলাদেশের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি থেকে ব্যাচেলর্স পাশ করা এক ছাত্র বর্তমানে কমিউনিকেশন্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ মাস্টার্স করছেন। টিইউএম এ ভর্তি হওয়ার কারণ জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি মিউনিখ প্রকৌশল নিয়ে পড়াশোনার জন্য অন্যতম নামকরা ইউনিভার্সিটি। অনার্স শেষ করার পর মাস্টার্সের জন্য যে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আমার মাথায় ছিলো তার মধ্যে এটি একটি। এখানে ট্যুইশন ফি অন্যদেশের তুলনায় কম, এ ছাড়া পড়াশোনার মান ভালো। জার্মানির অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এটি।

জার্মানির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটিগুলোতে পড়ার একটি বড় সুবিধা হলো ইন্টার্নশিপের সুবিধা। জার্মানির অর্থনীতি শিল্পভিত্তিক হওয়াতে এখানে অনেক বড় বড় শিল্প-কারখানা রয়েছে। তার মধ্যে নামকরা গাড়ি কোম্পানিগুলোতো রয়েছেই। টিইউএম এর প্রচুর ছাত্রছাত্রীর জন্য ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার হতে পারে এসব কোম্পানিতে।

মিউনিখের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১৩টি ফ্যাকাল্টি রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ইন্টিগ্রেটিভ রিসার্চ সেন্টার। ছাত্রছাত্রীদের জন্যও বৃত্তির সুযোগ রয়েছে এখানে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বৃত্তি, ডয়েচল্যান্ড স্টিপেন্ডিয়ুম সহ নানা বৃত্তির সুযোগ রয়েছে টিইউএম-এ। তবে এইজন্য ভালো ফলাফল করাটা জরুরি।

জার্মানির যে কোন শহরের চেয়ে মিউনিখের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেশি। অন্যদিকে এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সেমেস্টার ফিও কিছুটা বেশি। তাই জার্মানির অন্যান্য রাজ্যের শিক্ষার্থীদের তুলনায় এখানকার শিক্ষার্থীদের ওপর অর্থনৈতিক একটা চাপ থাকে। তবে সেই চাপ কমাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে পার্টটাইম জব সেন্টার, যেখানে গেলে শিক্ষার্থীরা কাজ খুঁজতে পারে।যারা পড়তে আসে তারা পার্টটাইম চাকরি করতে পারে এবং এখানে সুযোগও অনেক বেশি। অনেক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করছে। মিউনিখ অনেক ব্যয়বহুল শহর হলেও এখানে কাজেরও সুযোগ অনেক, সেটা দিয়েই পড়াশোনার খরচ চালানো সম্ভব। তাই স্কলারশিপই একমাত্র উপায় নয়।’

টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি হলেও এই বিশ্ববিদ্যালয় ভাষা শিক্ষার জন্যও একটি ভালো জায়গা হতে পারে। বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের জন্য জার্মান ভাষার কোর্স তো রয়েছেই, তার বাইরেও ইংরেজি, আরবি, ফরাসি সহ ১৫টি ভাষা শিক্ষার কোর্স রয়েছে ছাত্রছাত্রীদের জন্য।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close