ক্যাম্পাস ডেস্ক

  ১০ জুন, ২০২০

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দ রাইন-ভালো ইউনিভার্সিটি

রাইন-ভালো ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস জার্মানির নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে প্রচুর বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে। বিজ্ঞান ও ব্যবসা নিয়ে পড়ার জন্য রাইন-ভালো ইউনিভার্সিটি খুব ভালো। রাইন-ভালো বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র চার বছর আগে তার যাত্রা শুরু করেছে। বিগত ২০০৯ সালের পহেলা মে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয়টি বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের একটি মিলনস্থলে পরিণত হয়েছে। রাইনভাল ইউনিভার্সিটিতে জার্মান এবং ইংরেজি দুটি ভাষাতেই পড়াশোনা করা যায়। সেটি ব্যাচেলর হোক কিংবা মাস্টার্স।

প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়টি তার পরিসীমা বাড়িয়ে চলেছে। গত বছরের শীতকালীন মৌসুম থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি অনুষদে ২০টি নতুন ব্যাচেলর এবং তিনটি নতুন মাস্টার্স কোর্স শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে দুটি ক্যাম্পাস। একটি রয়েছে ক্লিভ শহরে, অন্যটি ক্যাম্প লিনফোর্ট এলাকাতে। দুটি ক্যাম্পাসেই এখনও অবকাঠামো সম্প্রসারণের কাজ চলছে। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তাই পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য অত্যাধুনিক সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ও প্রযুক্তি রয়েছে। এর বাইরে এমারিশ শহরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অন্তর্র্বর্তী ক্যাম্পাস রয়েছে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে চারটি অনুষদ। এগুলো হলো টেকনোলজি অ্যান্ড বায়োনিক্স, লাইফ সায়েন্স, কম্যুনিকেশন অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট এবং সোসাইটি অ্যান্ড ইকনোমিকস। প্রতি বছর গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন সেমিস্টারে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়। এখানেই দুই বছর আগে ভর্তি হয়েছেন বাংলাদেশি ছাত্র নুর হোসাইন নাইম। তিনি এখানে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস নিয়ে ব্যাচেলর করছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় এই রাইন-ভালো ইউনিভার্সিটির খবর তিনি পান।

বাংলাদেশের তুলনায় জার্মানির পড়াশোনার যে পার্থক্য সেটা কেবল ব্যবহারিক এর বেলাতেই নয়, তত্ত্বীয় এর বেলাতেও। আন্তর্জাতিক ব্যবসা নিয়ে পড়তে গিয়ে গত দুই বছরে সেটি অনুধাবন করেছেন নাইম। পড়া এবং পরীক্ষা এই দুটিতেই জার্মানির শিক্ষাব্যবস্থা ভিন্ন। চালু হওয়ার পর গত কয়েক বছরে হোখশুলে রাইন-ভালো এ বিদেশি ছাত্রছাত্রীর আগমন ক্রমেই বাড়ছে। এসব ছাত্রছাত্রীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়া থেকে আসা ।

রাইন-ভালো ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে পাঁচ হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে একটি সেমিস্টার পড়ারও সুযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে তারা সেখানে পড়ার পাশাপাশি ভিন্ন সংস্কৃতিরও অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও চীন, নেদারল্যান্ডস, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থী বিনিময় কার্যক্রম রয়েছে রাইন-ভালো ইউনিভার্সিটির। সম্প্রতি রাইন-ভালো বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথ শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে রাইন-ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী।

মূলত ফলিত বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় উচ্চশিক্ষার ব্রত নিয়েই ২০০৯ সালের ১ মে প্রতিষ্ঠা লাভ করে রাইন-ভালো বিশ্ববিদ্যালয়। তবে বিজ্ঞানের বাইরেও আইন এবং বিবিএ রয়েছে এখানে। জার্মানির যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হলে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সামনে প্রথম যে বাধা আসে তা হলো জার্মান ভাষা জানার বাধ্যবাধকতা। তবে সেই বাধা দূর করে আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষার সুযোগ সহজতর করতে চায় রাইন-ভালো বিশ্ববিদ্যালয়? সেজন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি মাধ্যমেই লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছে তারা।

রাইন-ভালো গড়ে তুলতে চায় বিশ্বের খ্যাতিমান উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে গবেষণা, বৃত্তি এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে পারস্পরিক সহযোগিতা ও মেধা বিনিময়ের সম্পর্ক। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ইতিমধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে রাইন-ভালো বিশ্ববিদ্যালয়। আর চলতি বছরের শীতকালীন সেমেস্টারেই বাংলাদেশ থেকে রাইন-ভালোর ক্যাম্পাসে হাজির হয়েছে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী। এখানে বায়োনিক্স, ডেভেলপমেন্ট ইকোনোমিক্স, ন্যানো টেকনোলজির মতো বিষয়গুলোতে লেখাপড়া করার সুযোগ রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close