reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

ডিআরইউয়ের দেড় যুগপূর্তির রঙিন দিন

ঢাকার অদূরে ছায়াঘেরা, পাখির কলকাকলীতে মুখরিত ছায়া সুনিবিড় শান্তিময় পরিবেশ আশুলিয়া। সেখানে ১৫০ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস। সেখানে গত ২২-২৫ জানুয়ারি চার দিনব্যাপী ‘অষ্টাদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উৎসবের প্রথম দিন ২২ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে ১০০টি ঘুড়ি উড়িয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি। দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশবরেণ্য সাংবাদিক, গবেষক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ। তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের সামনে অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তব্য দেন বিজিএমইএর সভাপতি ও মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রুবানা হক। এ ছাড়াও তিনি আনিসুল হক ভবনের উদ্বোধন করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক এবং প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের বোন জেসমিন ওয়াফা।

ঢাকার অদূরে, পাখির কলকাকলীতে ভরা, শহরের কোলাহলমুক্ত, ছায়া সুনিবিড়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যঘেরা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যম্পাস পরিপূর্ণ হলো শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের এক মিলনমেলায়। প্রতি বছর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উৎসব একদিনে অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথম চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো এ আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদের অধীনে চার দিন ধরে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনের আয়োজনে উৎসবে মেতে উঠেছিল প্রকৌশল অনুষদের শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় দিন ছিল অ্যালাইড হেলথ সায়েন্স অনুষদ এবং মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের যৌথ আয়োজন। তৃতীয় দিন ছিল ব্যবসায় ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের শিক্ষার্থীদের উৎসব এবং চতুর্থ ও সমাপনী দিনে ছিল বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের আয়োজন। প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যন ড. মো. সবুর খান। এ ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিন অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

শেষ দিনে সকাল ৯-৩০ মিনিটের মধ্যেই ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর পদভারে ও ব্যাপক উচ্ছ্বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ উৎসবে মুখরিত হয়ে উঠে। সবার মাঝেই একটা সাজ সাজ রব পরিলক্ষিত হয়। সব শিক্ষার্থীর কাছে ক্যাম্পসের মূল আকর্ষণ ছিল সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও অপূর্ব নির্মাণশৈলীতে ভাস্বর ও নান্দনিক সৌন্দর্যের আধার বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবন। সারা দিনমান এ ভবন ঘিরে শিক্ষার্থীদের কৌতূহলের অন্ত ছিল না। চলতে থাকে অবিরাম ফটোসেশন। ক্যাম্পাসের সন্মুখভাগ, প্রশস্ত সিঁড়ি, দোতালা, তিন তলা যে যেখানে পারছেন, ক্যাম্পাসকে একান্ত আপনার করে ক্যামেরা বা মোবাইলে ছবি তুলে নিচ্ছে। কেউ কেউ আবার শুরু করে বাস্কেটবল খেলা, কেউ আবার বিশাল দাবাকোর্ট নিয়ে ছিল ব্যস্ত। কর্তৃপক্ষ যেমন নানা আয়োজনের কোনো কমতি রাখেনি; তেমনি শিক্ষার্থীরাও তেমনি তাদের প্রাণের উচ্ছ্বাস শতধারায় উৎসারিত করে আনন্দ সঞ্জীবনীর অমৃত সুধা গ্রহণে বিন্দুমাত্র কার্পুণ্য করেনি। এরপর সবাই একে একে পরখ করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আঁধার বনমায়া, নলেজভেলিতে চলে জম্পেষ আড্ডা। মাঠের একপাশে স্টলগুলোতে সারা দিন চলে বিভিন্ন বিভাগের প্রদর্শনী, পিঠা প্রদর্শনী, রক্তদান কর্মসূচি ও প্রাথমিক প্রতিবিধানসহ নানা আয়োজন। চার দিনের অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল ঘুড়ি উৎসব, রক্তদান কর্মসূচি, মোটরবাইক শোডাউন, বাস র‌্যালি, আলোচনা অনুষ্ঠান, বৃক্ষরোপণ, বনভোজন, পিঠা উৎসব, প্রকল্প প্রদর্শনী, সেলিব্রিটি শো, খেলাধুলা, ফান ইভেন্টস, র‌্যাফল ড্র, সাংস্কৃকিত অনুষ্ঠান ইত্যাদি। অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস সেজেছিল বর্ণিল সাজে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close