reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৬ জানুয়ারি, ২০২০

সিআইইউতে কবিতাবিষয়ক কর্মশালায় অনুবাদক কায়সার

কবিতা ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে চাইলেই কি মনের অভিব্যক্তি সহজে দুটি লাইনে প্রকাশ করা যায়? কবিতার অবয়ব নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। ছন্দ, চরণ, মাত্রা, পংক্তি, পর্ব...কত্ত কী!

কবিতার সাহিত্য বিশ্লেষণ ও অলংকার নিয়ে চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) অনুষ্ঠিত হলো জমজমাট সাহিত্যবিষয়ক কর্মশালা। গত ১৫ জানুয়ারি সকালে নগরের জামাল খানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের অ্যামেরিকান কর্নারে ইংরেজি বিভাগ এই কর্মশালার আয়োজন করে।

এই সময় কবিতাপ্রেমী শিক্ষার্থীরা ছাড়াও স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের সব ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় কবিতার আদ্যোপান্ত নিয়ে কথা বলেন জনপ্রিয় লেখক-কবি ও অনুবাদক অধ্যাপক কায়সার হক।

তিনি সৃজনশীলতা ও মনের ভাব বিকাশে কবিতা চর্চার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি বই পড়ার পরামর্শ দিয়ে শব্দভান্ডারকে আরো গতিশীল করার পরামর্শ দেন। অধ্যাপক কায়সার হক কবিতার সাহিত্য রস, বিশ্লেষণ, ছন্দের ধরন, অন্তঃমিল, উপস্থাপনা শৈলী, লেখার কলাকৌশলসহ নানান বিষয়গুলো চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলেন। এই সময় তিনি দুটি কবিতাও পাঠ করে শোনান।

পরে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভেতর পুরস্কার বিতরণ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সিআইইউর স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের ডিন কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ, ইংরেজি বিভাগের প্রধান সার্মেন রড্রিঙ্ক প্রমুখ।

কর্মশালায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, এই ধরনের অনুষ্ঠান তাদেরকে সৃষ্টিশীল কাজে জড়িত হতে আরো অনেক বেশি অনুপ্রেরণা জোগাবে। কবিতার ছন্দ কেবল পাঠে নয়, জীবনের প্রতিটি স্তরেই তা প্রভাবিত করে বলে জানান কেউ কেউ। ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী শারমিন আক্তার রুশ্নি বলেন, একটি কবিতার পেছনে যে এতো কিছু আছে তা কর্মশালায় অংশ না নিলে জানতাম না। খু-উ-ব ভালো লেগেছে। একই রকম অভিমত আরাফাত হোসাইন নামের আরেক শিক্ষার্থীরও।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close