reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২২ অক্টোবর, ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনের পর্দা নামল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সংগঠন গত ১২ অক্টোবর প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী নিয়ে আয়োজন করে বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত সম্মেলন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ (ডানমান) ২০১৯’। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটির উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে।

এবাবের সম্মেলনটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘বাণিজ্য বিকাশকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বৈশ্বিক বৈষম্য হ্রাস করা।’ উক্ত প্রতিপাদ্য বিবেচনায় রেখেই ডিউমুনা এবার ১১টি কমিটি বাছাই করে। কমিটিগুলোর মধ্যে ছিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, অর্থনৈতিক এবং আর্থিক সংস্থা, বাংলাদেশ বিষয়ক বিশেষায়িত কমিটি, বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক জাতিসংঘের সম্মেলন, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন, নিরস্ত্রীকরণ এবং আন্তর্জাতিক সুরক্ষা কমিটি, জাতিসংঘের শিক্ষামূলক, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা, আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা, ইন্টারন্যাশনাল প্রেসসহ অন্যান্য। ডানমানের প্রতিযোগীদের জন্য ৯ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের হাবিবুল্লাহ বাহার কনফারেন্স হলে একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করে ডিউমুনা।

শিক্ষার্থী সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সংগঠনের সাবেক সভাপতি মামুন মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সংগঠনের মডারেটর প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন, ইউনিডোর বাংলাদেশের প্রতিনিধি জাকি উজ জামান, বাংলাদেশে অবস্থিত জাপান এমব্যাসির পাবলিক রিলেশন ও সংস্কৃতি বিষয়ক সেক্রেটারি মাচিকো ইয়ামামুরা, বাংলাদেশে জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্রের ন্যাশনাল ইনফরমেশন অফিসার মনিরুজ্জামান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ডিন ড. সাদেকা হালিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ গোস্বামী।

১৪ অক্টোবর বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে ডানমানের সমাপ্তি করেন ‘ডানমান ২০১৯’-এর সেক্রেটারি জেনারেল চৌধুরী মুজাদ্দিদ আহমদ। তিনি বলেন, ‘সম্মেলনটি অনেকের কাছেই প্রচুর ঋতী, যেহেতু প্রত্যেকেই তাদের সম্পূর্ণ দক্ষতায় অবদান রেখেছে। আমরা আমাদের মস্তিষ্ক নিয়ে কাজ করেছি, কিন্তু হৃদয় দিয়ে আপনাদের যতœ করেছি। আমি আমার সীমাবদ্ধতাগুলো স্বীকার করতে ভয় পাই না। কারণ আমার অসম্পূর্ণতাগুলো আমাকে নিজেকে বিকশিত করার এবং উন্নততর মানুষ হওয়ার সুযোগ দেয়।’

আয়োজনটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন।

উল্লেখ্য, ছায়া জাতিসংঘ হলো বর্তমান সময়ের অন্যতম পরিচিত শিক্ষার্থী সম্মেলন। প্রতি বছর শত শত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এসব সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এমইউএন শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব, দলীয় কাজ, বক্তৃতা ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের কূটনৈতিক ও সৃজনশীল চিন্তার দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close