কবি নজরুল ইসলামের মতো এত গান রচনা করেছেন বিশ্বে এমন আর কোনো কবি আছে বলে আমার জানা নেই। তিনি ছিলেন একজন স্বতন্ত্র কবি। আমি কবি নজরুলের লেখা যতই পড়ি ততই তার প্রেমে পড়ি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি নজরুলকে ভারত থেকে এনে জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়ায় তিনি বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে কবির জীবন ও কর্মের ওপর এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। স্মারক বক্তা হিসেবে আলোচনা করেন বাংলাদেশ ও ভারতের বঙ্গীয় সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘কবি নজরুলের আগমনের কারণে ত্রিশাল আলোকিত হয়েছে। ত্রিশাল কবি নজরুলের তীর্থ কেন্দ্র হতে পারে। ত্রিশাল বিশ্ব তীর্থের মতো আন্তর্জাতিকভাবেও তীর্থ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠুক এ কামনা করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘কবি নজরুলের প্রতিটি লেখায় জেগে ওঠার আহ্বান রয়েছে। তিনি বাংলা ভাষার উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। কবির লেখাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে তার লেখাগুলো বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।’

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। সম্মানিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মো. জালাল উদ্দিন, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাহাবউদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, সংগীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. রশিদুন্ নবী, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমেদুল বারী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম এবং কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মো. মোকারেরম হোসেন মাসুম।

এর আগে বিদ্রোহী কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রথমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে এবং পরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"