reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০১ জুলাই, ২০১৯

‘নদী রক্ষা করতে না পারলে দেশি মাছ বিলুপ্ত হবে’

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অধিকাংশ নদীই মরে গেছে। বর্ষা মৌসুমে কিছুটা পানি থাকলেও অন্য মৌসুমে পানি থাকে না বললেই চলে। এসব নদী রক্ষা করতে না পারলে আমাদের দেশি মাছ বিপন্ন হবে। ইতোমধ্যে দেশীয় ২৬০ প্রজাতির মাছের মধ্যে ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত প্রায়। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) অডিটরিয়ামে ‘মৎস্য প্রযুক্তি সম্প্রসারণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় সম্প্রতি একথা বলেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। কর্মশালায় বাংলাদেশের মৎস্যশিল্পের বর্তমান অবস্থা, মৎস্যশিল্প ধ্বংসের কারণ, নদী-নালায় মাছ চাষের জন্য অভয়ারণ্য তৈরির প্রয়োজনীয়তা এবং মাছ চাষে বর্তমানে কী কী নতুন প্রযুক্তি ও জাত উদ্ভবিত হয়েছে, তা সাধারণ মানুষের নাগালে নিয়ে আসার জন্য গণমাধ্যমের ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। বিএফআরআইয়ের গবেষণায় পাবদা, গুলশা, টেংরা, গুতুম, মেনি, মহাশোল, কুচিয়া, দেশি, পুঁটিসহ প্রায় ১৯ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছের প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন করা হয়েছে। মৎস্য অধিদফতরের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে এসব বিলুপ্তপ্রায় মাছ চাষ সম্প্রসারিত হওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বাজারে এসব মাছের দামও ক্রমশ কমেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ এবং ইলিশ মাছ উৎপাদনে প্রথম। মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের এ সাফল্য অর্জনে বিএফআরআইয়ের অন্যতম ভূমিকা রয়েছে। কর্মশালায় বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিম উদ্দিন খান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. নুরুল্লাহ, ড. মো. খলিলুর রহমান ও ড. এ এইচ এম কোহিনুর। এ ছাড়া ওই কর্মশালায় ময়মনসিংহ বিভাগের ৮০ জন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে মাঠপর্যায়ে ইনস্টিটিউটের স্বাদুপানি কেন্দ্রে চলমান গবেষণা কার্যক্রম ও অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন সাংবাদিকরা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close