reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৯ মে, ২০১৯

যবিপ্রবিতে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল-বিষয়ক কর্মশালা

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেছেন, দেশের বিরাট যুবসমাজকে জনসম্পদে রূপান্তর করাই আমাদের এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যারা শিক্ষা জগতে আছি, এটা করার দায়িত্ব তাদের। সুতরাং আমাদের ডিগ্রিসর্বস্ব শিক্ষা দিলে হবে না, কার্যকর শিক্ষা দিতে হবে। এই জনসম্পদকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।

২১ এপ্রিল রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা : প্রেক্ষিত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আবদুল মান্নান এসব কথা বলেন।

দেশের বিরাট জনসম্পদকে জনশক্তিতে রূপান্তর করাই বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেন, এ জন্য সরকারের ফোকাস হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ওপর। বর্তমান সরকারের আমলে যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এর মধ্যে সাতটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপরই সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করছে। আমাদের কাজ হচ্ছে এসব জায়গায় ঠিকভাবে পারফরম্যান্স হচ্ছে কি না, তার ওপর নজর দেওয়া। তিনি বলেন, শুদ্ধাচার হচ্ছে আমাদের আচার-আচরণ শুদ্ধ করা। আমরা যতটুকু করি সেটা যেন নিষ্ঠার সঙ্গে করি। যতটুকু করার প্রয়োজন শুধুমাত্র ততটুকুই করি। আর যেটা বলি সেটাই যেন করি। আমরা কথা বলি একটা করি আরেকটা এটা শুদ্ধাচারের মধ্যে পড়ে না। যেহেতু আমরা শিক্ষাঙ্গনে থাকি, তাই আমাদের ক্লাসগুলো যেন ঠিকমতো হয়, ল্যাবরেটরির কাজগুলো যেন সঠিকভাবে হয়, সেটিই হচ্ছে মূল কাজ।

সভাপতির বক্তব্যে দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ তৈরির ওপর জোর দিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক রেমিট্যান্স আসে। অথচ চলে যায় প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। কারণ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমরা দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে পারছি না। যদি আমাদের টেকসই উন্নয়ন করতে হয়, তা হলে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে।

অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মূল সমস্যা হচ্ছে সেখানকার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, বাইরের রাজনীতির হস্তক্ষেপ। এটা থাকলে কখনোই সৃজনশীল কোনো কাজ করা সম্ভব হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়কে বাইরের রাজনীতির হস্তক্ষেপ মুক্ত রাখতে হবে। এ জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবাইকে সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে। তা হলেই কেবল বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে। এ সময় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামো উন্নয়নে ইউজিসির চেয়ারম্যানের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, ডিনস্ কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. ওমর ফারুক, ইউজিসির পরিচালক মো. কামাল হোসেন, যবিপ্রবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ও এপিএ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক মাকসুদুর রহমান ভূঁইয়া, উপপরিচালক আব্দুল জলিল মিয়া, উপসচিব শাহিন সিরাজ, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামসহ যবিপ্রবির সকল ডিন, চেয়ারম্যান এবং দফতর প্রধানরা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close