reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

চুয়েটে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে শিক্ষা উপমন্ত্রী

আগামীতে দেশ হবে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল অর্থনীতিনির্ভর

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য সরকার যুগান্তকারী নানা উদ্যোগও গ্রহণ করেছে। আমরা ইতোমধ্যেই এসব উদ্যোগের সুফলও দেখতে পাচ্ছি। জিডিপি বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশের সম্ভাবনাসহ অনেক বৈশ্বিক সূচকে আমরা এগিয়ে গিয়েছি। আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল অর্থনীতির। এমন প্রেক্ষাপটে চুয়েটের এ আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন অত্যন্ত প্রশংসাযোগ্য।’

তিনি সম্প্রতি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল (ইসিই) অনুষদের ‘‘ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়হভবৎবহপব ড়হ ঊষবপঃৎরপধষ, ঈড়সঢ়ঁঃবৎ ধহফ ঈড়সসঁহরপধঃরড়হ ঊহমরহববৎরহম (ঊঈঈঊ ২০১৯)’’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে তিন দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক কনফারেন্স। এতে সভাপতিত্ব করেন কনফারেন্স অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল (ইসিই) অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কোশিক দেব। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও চুয়েটের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. রুবাইয়াৎ তানভীর হোসেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বাণী পড়ে শোনান চুয়েটের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর মু. সাক্বী কাওসার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী আরো বলেন, বর্তমান সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবান্ধব। প্রধানমন্ত্রীর পরিবারই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে নানাভাবে সম্পৃক্ত। প্রধানমন্ত্রীর স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী, প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ধারণার প্রবক্তা এবং এটির সফল বাস্তবায়নে নেতৃত্ব প্রদানকারী। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য সন্তান, তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় হলেন একজন তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রকৌশলী এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম সফল বাস্তবায়নকারী। ফলে এ খাতের প্রসার বাড়ছে, বিপুল বিনিয়োগ হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এ ধরনের কনফারেন্স কেবল চুয়েট নয়, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের ইমেজও বৃদ্ধি করবে। তিনি বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিচর্চা এবং পাঠদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে সহজভাবে, আগ্রহের সঙ্গে সকলে পড়তে পারে, বুঝতে পারে এবং বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শক্তিশালী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের মিশনে আছে। এখানে প্রকৌশলীদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের কনফারেন্স বর্তমান সময়ের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্ববহ। কারণ সারা বিশ্বে তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল বিষয়ে নানা যুগান্তকারী আবিষ্কার ও উদ্ভাবন হচ্ছে। এ খাতে আমাদের দেশেও নানা অগ্রগতি এসেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন চুয়েটের ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রকি বৈদ্য ও সিএসই বিভাগের প্রভাষক ফারজানা ইয়াসমিন। এবারের আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন দেশ থেকে ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক, কম্পিউটার সায়েন্স, টেলিকমিউনিকেশন প্রভৃতি বিষয়ে শীর্ষস্থানীয় একাডেমিশিয়ান, সায়িন্টিস্ট, রিসার্চার, স্কলারস, ডিসিশন মেকার্সগণ অংশ নেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close