বাংলাদেশ আইন সমিতির ৩৩তম বার্ষিক সম্মেলন-২০১৮ ৭ ডিসেম্বর শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাজী মোতাহার হোসেন ভবনের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. কামরুজ্জামান আনসারীর সভপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, প্রধান বিচারপতির স্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী সামিনা খালেক, সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ। স্বাগত ভাষণ দেন সম্মেলন প্রস্ততি কমিটি-২০১৮-এর আহ্বায়ক মোল্লা মো. আবু কাওছার। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম ফারুক। এ ছাড়া, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের কয়েকজন বিচারপতি, আইন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, রঞ্জন কর্মকার প্রমুখ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, গণতন্ত্রের সুষ্ঠু চর্চা, দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিচার বিভাগের দক্ষতা হচ্ছে একটি দেশের সাফল্যের মাপকাঠী। বিশ্বব্যাপী আইন পেশা একটি মহান পেশা হিসেবে স্বীকৃত। বাংলাদেশ আইন সামিতি বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মানব-উন্নয়নসহ দরিদ্র ও সহায়-সম্বলহীন জনগনকে আইনি সেবা প্রদানে নিরন্তর প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাবে বলে প্রধান বিচারপতি আশা প্রকাশ করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। গণতন্ত্র সম্প্রসারণে আইন বিভাগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, যারা আইনের সাথে সম্পৃক্ত তারা গণতন্ত্রকে সমৃদ্ধ করতে কাজ করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"